somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খন্ডিত রুপকথা (৪ র্থ অংশ)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(৩)
শ্লোগান শুনতে শুনতে দীপ্তর মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়।বিবেককে ডাক দেয়।মানুষের গর্জনের প্রচন্ড শব্দে দীপ্তর ডাক বিবেকের কানে পৌছায়না।দীপ্ত মনে মনে ভাবে বাঙালীর পক্ষেই সম্ভব ছিল উল্টো দিকে হাঁটা।তাই পঁয়তাল্লিশ বছর পর জন্ম নিয়েছে শাহবাগ।
-অতখানি আশাবাদী হওয়া ঠিক হবে?
ঘার ঘুরিয়ে বিবেককে দেখতে পায় দীপ্ত।
-কেন?
-অর্থের স্রোত বইছে এখানে।আর?
বিবেক থেমে যায়।
-আর কি?
-সামনে থাবা বাবা নামক ছদ্মবেশী ব্লগারকে হত্যা করা হবে।এই হত্যাকান্ডের ভেতর দিয়ে একটি নেগেটিভ মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
-আমি থাবা বাবার লেখা পড়েছি।আমার কাছে লেখককে সাইকো মনে হয়েছে।
বিবেক আর কথা বাড়ায় না।হাঁটতে থাকে।দীপ্তও হাঁটতে থাকে।
-আমরা কি সিরাজগঞ্জে যাচ্ছি?
-না।
-আমাকে সিরাজগঞ্জে যেতে হবে।সানু মামার সব গল্প শোনা হয়নি।
-একাত্তরের গল্প শুনতে ভালো লাগে?
-বারে,পূর্বপুরুষের অতীত ইতিহাস জানতে হবেনা?
বিবেক কিছুক্ষণ চুপ থাকে,তারপর দীপ্তকে প্রশ্ন করে
-বদর দিবসের মিছিল তোমার কাছে কেমন লাগলো?
-কোন বদর দিবস?
বিবেক বুঝতে পারে দীপ্তর কোন কিছুই মনে নেই।বিবেক কথা বাড়ায় না হাঁটতে থাকে।সাথে দীপ্ত হাঁটছে। হাঁটছে।হাঁটছে।

ওমর তার চকচকে বাঁকানো ড্যাগার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখায়।নিরীহ ড্যাগারটি ভাবলেশহীন দৃস্টিতে দেখে দীপ্ত।বিশেষ কিছু মনে হয়না।ওমর জোড়ে জোড়ে হাত ঘুরিয়ে বাতাস কাটার চেষ্টা করে।
-“দিনের বেলায় আমি ওমর।কিন্তু রাত্রে আমি সীমার।তুমি কি আমার এই ড্যাগার দেখছো?কত যে কাফের আমি জবাই করেছি তা গুনে শেষ করা যাবেনা”।
দীপ্ত কোন প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেনা।দীপ্তর দিকে তাকিয়ে হেসে উঠে ওমর।
-কাফেররা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়।তাই ভারতের উস্কানিতে দেশটারে ভাঙ্গতে চাইছে ইসলাম বিদ্বেষীরা।তাদের হত্যা করা তোমার-আমার ঈমানী দায়িত্ব।যদিও তোমার নামটা হিন্দুর তবুও তোমার উচিত পাকিস্থানের এই দুঃসময়ে,ইসলামকে রক্ষা করার স্বার্থে এই যুদ্ধে অংশ নেওয়া।তা না হলে হাসরের ময়দানে তোমার কাছে কোনই জবাব থাকবেনা।
দীপ্তকে ওমর যশোর ক্যান্টমেন্টে নিয়ে যায়।পাকিস্থানী আর্মিরা তাকে শিখিয়ে দেয় কিভাবে খুব সহজে মানুষ জবাই করা যায়।কিভাবে তীব্র অত্যাচার করে মানুষের মুখ থেকে কথা বের করে আনতে হয়।ট্রেনিং শেষে দীপ্ত ওমরের সাথে নড়াইলে ফিরে আসে।প্রতিদিন ওমরের লোকজন আর্মির সহায়তায় পনেরো-বিশ জন বাঙালী ধরে আনতো।ওমরের লোকজন তাদেরই ধরে আনতো যারা আওয়ামীলীগ করতো,কিম্বা সমর্থক,ধরে আনতো হিন্দুদের অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের।অবশ্য ওমরের কাছে ওরা মুক্তযোদ্ধা নয়,ওরা ইসলাম বিদ্বেষী ওরা শুধুই কাফের।মানুষ নয়।নদানর মাঠে ওরা এই হত্যাকান্ড ঘটাতো।মাঠটিকে ওরা কসাইখানা বানিয়েছিল।দীপ্তর সাথে একাত্তরের এপ্রিলে দেখা হলেও জুনে চুকনগরে গিয়েছিল দীপ্ত।হাত-পা বাঁধা একজনকে এনে প্রথম যেদিন দীপ্তর সামনে এনে ফেলা হয় সেদিন দীপ্ত খুব মজা পেয়েছিল।কত হবে?পঁচিশ-ছাব্বিশ বছরের যুবক হবে।দীপ্ত যুবকটির কান কেটে ফেলে।ওমর হো হো করে হেসে ফেলে।যুবকটির চিৎকার,ওমরের হাসি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।কাতর চোখে দীপ্তকে দেখতে থাকে যুবকটি।দীপ্ত খুঁচিয়ে তার চোখ উপড়িয়ে ফেলে।যুবকটি শুয়োরের মত চেঁচাতে থাকে।অসহ্য লাগে দীপ্তর।ওমরের দিকে তাকায়।ওমর ওই সময় একজনকে জবাই করছিল।দীপ্ত আর সময় নেয়না।সেও জবাই শেষ করে।এরপর দীপ্ত ওমরের কাছ হতে বিদায় নিয়ে চুকনগরের দিকে রওনা দেয়।




সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×