যে সমাজে সামর্থ্যবান ব্যাক্তি দ্বারা সমাজে দুর্বল ব্যাক্তি আক্রান্ত হয় সেখানে কখনো শান্তি আসতে পারে না। আমরা যতই বলি আমরা শান্তিতে বসবাস করছি, কিন্তু আসলে কি আমরা শান্তি তে আছি। না কোথাও শান্তির বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে না। সমাজের সর্বত চলছে নানা রকম শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে কোথা বলতে চাই না। তা যত শক্তিহীন হই না কেন। আমাদের থেকে দুর্বল ব্যাক্তিকে অবশ্যই নানা কৌশলে দামিত করে চলছি। আসলে কাকে দোষ দেওয়া যায় আর কাকে যায় না তার উত্তর আমাদের জানা নেই।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজের স্বাধীন করা দেশে রিক্সা চালায়, একজন বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে ফেরিকরে ফেরে স্বপ্নের দেশে। আর কিছু কিছু সুবিধাবাদী মানুষ জোড়ে হাকিয়ে চলে নতুন কেনা গাড়ি। হায়রে বিধাতার লিলা খেলা আর সমাজপতির হাতে যখন অত্যাচার হয় তখন সেই সমাজে আর সুখ শান্তি থাকতে পারে না। আমাদের সমাজের প্রতি কোনায় মারাত্মক অসুখ বাসা বেঁধেছে। আর সেই জায়গা থেকে সহজে মুক্তির স্বপ্ন দেখা সম্ভব নয়। আমাদের অসুখের নিরাময় আমাদেরকেই খুজতে হবে। আর সেই জন্য যতটা সময় আমাদের জন্য প্রয়োজন সেই সময় অবশ্যই দিতে হবে ।
জীবনের অভিজ্ঞতা হয় ভিন্ন ভিন্ন অর্থে। একটি জীবনে সেই অভিজ্ঞতা শেষ করা যাবে না। আমরা সবাই প্রতিক্ষনে নানা রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমাদের সেই অর্জন যদি আমরা কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর হত। কিন্তু এটাই সত্যি যে, সারা জীবন আমাদের ভুল পথেই চলতে হয়। তাহলে অভিজ্ঞতার কি প্রয়োজন। কি প্রয়োজন আমাদের জীবনের গল্প বাঁচিয়ে রাখার। আসলেই প্রতি দিন আমরা কেবল শিখি কিন্তু সেই শেখা আমরা কখনো ব্যাবহার করতে পারি না। যে শিক্ষা কাজে না আসে তার কি কোন অর্থ আছে।