somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

খালেদা জিয়ার জন্য কি একাত্তরের শহীদ-মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত হয়ে ফিরে আসতে হবে? তারপর সে পাকিস্তানী-জেনারেলদের সঙ্গে নিয়ে গুনে-গুনে দেখবে কতজন শহীদ হয়েছিলো একাত্তরে!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তোমাদের এতো কথা বলার দরকার নাই।তোমরা বাংলাদেশে থাকলে
ভালো হয়ে থাকো, আর নয়তো সোজা পাকিস্তানে চলে যাও।

সাইয়িদ রফিকুল হক

বাংলাদেশের “জাতীয় পাগল” খালেদা জিয়া হঠাৎ ক্ষেপে গেছেন।পাকিস্তানীপ্রভুদের নির্দেশে দেশের ভিতরে একটি শয়তানীজটলা পাকানোর উদ্দেশ্যে সে এমনটি করছে।অবশ্য এসব তাদের দ্বারা সৃষ্ট নতুন-কিছু নয়।সে বা তার পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে “মুক্তিযুদ্ধবিরোধীগোষ্ঠীর” লোক।তারা বংশপরম্পরায় পাকিস্তানের বিশেষ আস্থাভাজন ও সুবিধাভোগী।বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত করার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া-গং দিনের-পর-দিন ও বছরের-পর-বছর এভাবে একের-পর-এক আমাদের মহান “মুক্তিযুদ্ধকে” কটাক্ষ করছে।এটি সম্পূর্ণ ধৃষ্টতা ও চরম বেআদবি।বাংলাদেশ-রাষ্ট্রে এর কোনো ক্ষমা নাই।এই রাষ্ট্র তাকে প্রত্যাখান করেছে।

খালেদা জিয়া শিক্ষাগত-যোগ্যতার দিক থেকে “এইট-পাস”, তার গুণধর-লম্পটপুত্র কোনোরকমে ম্যাট্রিক বা এস.এস.সি. পাস, তার স্বামী আই.এ. বা আইএস.সি. পাস। খুবই শিক্ষিত-পরিবার!
খালেদা জিয়ার লম্পটপুত্র বর্তমানে পাপের শহর “লন্ডনে” বসে “পশ্চিমা আউট-ল”দের মতো বিলাসী-জীবনযাপন করছে।আর মাঝে-মাঝে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, “বাঙালি-জাতির জনক” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা-রাজনৈতিক দল “বাংলাদেশআওয়ামীলীগ” সম্পর্কে সবসময় “আজেবাজে” “আবোলতাবোল” ও “আলতুফালতু” কথা বলছে।সে নিজে একা পারছে না বলে, এই বাজে-কাজে তার মা খালেদা জিয়াকেও সম্পৃক্ত করছে। এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে “বংশীয়-ধৃষ্টতা”।অচিরেই এর পরিসমাপ্তি ঘটাতে হবে।নইলে, দেশের একশ্রেণীর বোকামানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।তবে দেশের সচেতন-নাগরিকসমাজ “চিহ্নিত-পাগল-ছাগলের” কথা শুনে কখনও বিভ্রান্ত হবে না।আর দেশের মানুষ দিন দিন সচেতন হয়ে উঠছে।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে আমাদের “জাতির জনক” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ও তাঁর নেতৃত্বে।তাঁর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য-সৈনিকেরা ১৯৭১ সালের “১৭ই এপ্রিল” মেহেরপুর জিলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে “বাংলাদেশের অস্থায়ী-সরকার-গঠন” করে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।আর তাঁর কথাই ইতিহাস।তিনি বাঙালি-জাতির সবচেয়ে বিশ্বস্ত-বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি আনুমানিক হিসাব করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে “তিন মিলিয়ন” মানুষ শহীদ হয়েছেন।সেই হিসাবে ত্রিশলক্ষ মানুষ।এটি এখন সর্বজনগ্রাহ্য সত্যকথা।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ এই উক্তিতে বিশ্বাসী।তারা কখনও দ্বিমত-পোষণ করে না।দ্বিমত-পোষণ করে তারাই, যারা বংশগতভাবে “রাজাকার” কিংবা আদর্শ ও চেতনার দিক থেকে এখনও পাকিস্তানপন্থী।তাই, তারা মাঝে-মাঝে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মানুষের সংখ্যা নিয়ে এভাবে ধৃষ্টতা-প্রদর্শন করে।আসলে, এদের বাংলাদেশ ভালো লাগে না।বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা শুনলে এরা পাগল হয়ে যায়।বাংলাদেশের অগ্রগতি ও ভালোকিছু দেখলে এদের ভিতরে প্রচণ্ডরকম জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।আর পাগলের পাগলামি নাকি বেড়ে যায় শীতকালে।তাই, খালেদা জিয়ারা এখন বড় বেসামাল।তাদের মুখে যা-আসছে তা-ই জনসম্মুখে বলে দিচ্ছে।এতে এদের মধ্যে সামান্যতম লজ্জাবোধ জাগ্রত হচ্ছে না।এরা এতে নিজেদের এখন “বাহাদুর” মনে করছে।
খালেদা জিয়া আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রকৃত-সংখ্যা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী-দল “বাংলাদেশআওয়ামীলীগ” সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে লাগামহীন মন্তব্য করে দেশের ভিতরে “ঘাপটিমেরে” বা “ঘুমিয়ে থাকা” পাকিস্তানপন্থী ‘অভিশপ্ত-জীবদে’র জাগ্রত করার চেষ্টা করছে। এটি তার ব্যর্থ প্রচেষ্টামাত্র।বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো শয়তানীচক্রান্তে জড়াবে না।কিংবা কারও কোনো চক্রান্তে কিংবা শয়তানীফাঁদে পা দেবে না।

এই খালেদা জিয়া আরও ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি করেছে: এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরও নাকি বিচার হওয়া উচিত।কারণ, তারা “পাকিস্তানী-নরপশু” ও “রাজাকারদের” হত্যা করেছে।দেশের ভিতরে তার সঙ্গে সুরমিলিয়ে আর-এক দল “পশু” বলছে: একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা নাকি পাকিস্তানের দালাল “বিহারীনরপশুদের” হত্যা করেছে।করেছে, বেশ ভালো করেছে।আর একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি ও মুক্তিযোদ্ধার এটাই তো করা উচিত।আসলে, এরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে।কারণ, এই মুক্তিযোদ্ধারাই ১৯৭১ সালে খেয়ে, না-খেয়ে, আধ-পেটা খেয়ে পাকিস্তানী-নরপশুদের সঙ্গে নয়টি মাস যুদ্ধ করে “পাকিস্তানকে কবর” দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।বাংলাদেশের শত্রুরা আজও তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনলে “ক্ষ্যাপাটে” হয়ে যায়।এ আর নতুন এমন কী?

খালেদা জিয়া বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত আগুনসন্ত্রাসী(আর বর্তমানে তার মনে কী আছে জানি না)।তার আগুনসন্ত্রাসে এদেশের শত-শত নিরীহ-মানুষ নিহত হয়েছে।আর আহত হয়েছে প্রায় হাজারখানেক মানুষ।সুতরাং, তার মতো পাপীর মুখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের “পবিত্র ইতিহাস” নিয়ে “আলোচনা-সমালোচনা” মানায় না।দেশের রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য সে তার বিদেশীপ্রভুদের কথায় একনাগাড়ে “৯২” দিন বাংলাদেশের বুকে “আগুনসন্ত্রাস” চালিয়েছে।আর নিরীহ-দেশবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিলো।

খালেদা জিয়ার পাগলামি কথাবার্তায় দেশের ভিতরে “ঘুমিয়ে থাকা” ও “অর্ধ-জাগ্রত” কিছুসংখ্যক “বিবেকহীন-নরপশু” বড়ই আনন্দ পায়।এরা এইসব পাগলামি কথাবার্তা নিয়ে আবার বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করে।এরাও পাকিস্তানের আদর্শপুত্র ও শেষ-বংশধর।আর এরা একটুখানি সুযোগ পেলেই অমনি অপব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।এরা সমাজ-রাষ্ট্রের অযাচিত-পামর।এরা আমাদের বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের প্রকৃত-শত্রু।এরা পাঞ্জাবিদের পরমাত্মীয়।এরা পাকিস্তানের দোসর।আর এরা এখন বাংলাদেশে টিকে থাকার জন্য স্বঘোষিত “সুশীলসমাজ”, “নাগরিকসমাজ”, “শত নাগরিক কমিটি” ইত্যাদি নামধারণ করেছে।এদের বাংলাদেশে থাকার কোনো মানে হয় না।আর এরা বাংলাদেশ-রাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেলে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক।তাই, সবদিক বিবেচনা করে আজ এদের অনতিবিলম্বে এদের “স্বর্গীয় পিতৃভূমি পাকিস্তানেই” ফিরে যাওয়া উচিত।

খালেদা জিয়া ও তার অনুসারীদের বাংলাদেশ ভালো লাগে না।তাদের ভালো লাগে তাদের “সোনার পাকিস্তান”।এদেশে থেকে তোমাদের মিথ্যা-দেশপ্রেমের আর অভিনয় করতে হবে না।এবার তোমরা ক্ষান্ত হও।আর তোমাদের “স্বপ্নের পাকিস্তানে” চলে যাও।আর তোমাদের “পাকি-জেনারেলরা” তোমাদের অভ্যর্থনা করার জন্য ইসলামাবাদ কিংবা করাচী বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।যাও, তোমরা এখনই পাকিস্তানে ফিরে যাও।তোমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো!তোমরা এখনই একদৌড়ে পাকিস্তানে চলে যাও।ছোটবেলায় “গোল্লাছুট” খেলার দৌড়ের মতো করে একদৌড় দাও।ওই তো তোমাদের পাকিস্তান দেখা যাচ্ছে!আর আমাদের বাংলাদেশ আমরাই রক্ষা করতে পারবো।১৯৭১ সালে আমাদের পূর্বপুরুষরা যে-ভাবে “পাকিস্তানী-হায়েনাদের” প্যাঁদানী দিয়েছিল, আমরাও সেইভাবে আবারও ওদের প্যাঁদানী ও তৎসহ এবার “নাকানি-চুবানি” দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের বিজয়-পতাকা ও স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবো।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।আর দিনে-দিনে বাংলাদেশ আরও ধন্য হোক।জয়-বাংলা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×