অনেকদিন হলো তেমন কিছু লেখি না। বলতে গেলে লিখতে ভাল লাগে না। অনেক লেখক আছেন তারা ভাল ভাল লিখেন- আমরা পড়ি। কিন্তু এই সব লেখার মাধ্যমে সমাজের কি কোন পরিবর্তন হচ্ছে? আমরা পড়ছি আর পিছনে ফেলছি তাই কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এখন কেউ কাউকে মূল্য দেন না বা মূল্য দিতে পারেন না। শুনি আগে নাকি একটা লেখা বা বক্তৃতাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতো কিন্তু আজ দেখি তার পুরো উল্টোটাই! আজ আর লেখা বা বক্তব্যে ঐক্য নয় বরং বিভেদই বেশি সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে মৌলিক কথা বলার মানুষ তেমন নাই বললেই চলে। যে সকল কথা বলা হয় বা বলেন তার প্রায় সবগুলোই ধার করা। কেউ বলেন বঙ্গবন্ধুর কথা আর কেউ বলেন স্বাধীনতার ঘোষকের কথা। কিন্তু বর্তমানে কি আর কিভাবে করতে হবে এই নিয়ে মাথা শুন্য।
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী দীর্ঘদিন রাস্তায় পড়ে থেকে দুই নেত্রীকে একত্রে বসাতে চেষ্টা করলেন কিন্তু তাঁর সেই পথে বসা পথেই বসে গেল!
অনেকেই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন কিন্তু সমাধানের জন্য মানুষ নেই, কারন আজ আর কেউ কাউকে মানতে চান না-একাই একশ- যার কারনে জনসাধারণ পথে বসলেও কারো কোন যায় আসে না।
বাংলাদেশের কত শত মানুষ আজ বিদেশ বিভুঁইয়ে মানবেতর জীবণ যাপন করছেন কিন্তু সরকারের নিকট সেই তথ্য নেই! আর থাকারই বা কি দরকার। যে হারে দেশের মানুষ বাড়ছে সেখান থেকে কিছু মানুষ এভাবে মরে গেলে সমস্য কোথায় বরং জনসংখ্যা কমানোর এটাও একটা পন্থা হতে পারে!
আজকে ভারতীয় সংস্কৃতি আমদানীর ফলে ভারতের মতোই বাংলাদেশে বাসে আর মাইক্রোতে নারী ধর্ষন হচ্ছে কিন্তু সে ব্যাপারে তেমন কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। দু’একটা মানব বন্ধন হলেও সেটা দায় সারা। আর এই দায় সারা কাজেও পুলিশ সক্রিয়। এক্ষেত্রে পুলিশ কিন্তু দায় সারা কাজ করেন না বরং দায় নিয়েই কাজ করেন। বোধ হয় তাদের মতে- কি দু’চার জন নারীর সাথে দুষ্টোমি করা হলো আর তোমরা তার প্রতিবাদ জানাতে এসেছো, খেয়ে দেয়ে আর তোমাদের কাম নাই না!
দিনে-দুপুরে ঘরে ঢুকে নারী-পুরুষকে খুন করা হচ্ছে কিন্তু পুলিশ সেখানে নিষ্ক্রীয়, কারন সম্ভবত একটাই ওখানে গেলেতো আর নিজের তেমন লাভ হবে না, এজন্যই মনে হয় তারা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
কত মানুষ যে আজ গুম হচ্ছে তার কয়টার খবরই বা আমরা রাখি! যে কয়েকটার খবর আমরা জানি তাঁদের উদ্ধারের বিষয়েও পুলিশ নির্বিকার। তাদের কাছে ওগুলো কোন কাজই নয় বলে মনে হয়।
উপরে যতগুলো বিষয় উল্লেখ করলাম এরকম অসংখ্য বিষয় আপনাদের জানা, কিন্তু এগুলোর সমাধান কবে আর কিভাবে হবে সেটা নিয়েই এখন চিন্তা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা সময়ের অনিবার্য দাবী বলে মনে করি।