আমার প্রেমে পড়ার কাহিনী পর্ব - ১.
কাকাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো ভাই-বোন ছিলাম একদঙ্গল। একসাথে ফুটবল টিম তো হবেই তারপরে আবার অন্য কোন টিমও গঠন করা যাবে আর দুই-একজন আউট থেকে নিলে। আমার বাবার বাড়ি আর দাদার বাড়ি পাশা-পাশি দুটি ইউনিয়নে। হেটে যেতে লাগে ৪ মিনিট। কলেজে গেলে কাকাদের উঠোন দিয়েই যেতে হয়। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েই কেমন যেন মনের দখিনা দুয়ার খুলে গিয়ে হিমেল হিমেল একটা সুখানুভুতি মনের কোন দিয়ে বয়ে চলল। কি যেন একটা নেই নেই ভাব মনের কোনে অবস্থান করে আছে। ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এরই মধ্যে অনেক উপন্যাস পড়ে ফেলা হয়ে গেছে আর বাংলা, হিন্দী সিনেমা তো আছেই। দু চারজন সিনিয়র ভাইয়া-আপুর জটিলজ প্রেম কাহিনী ও জানা হয়ে গেছে। তখনও মোবাইল ফোনের বিস্ফোরণ গ্রাম বাংলায় ঘটে নি। তাই তারা চিঠি-পত্তরের মাধ্যমে অথবা আমাদের মতো বিশ্বস্ত পিয়নের মাধ্যমে তাদের মনের উষ্ণ আবেগ বিনিময় করতো। আমাদের দেখে যাওয়া বা দু/চার/দশ টাকা বকশিস নেয়া ছাড়া আর কোন ফায়দা ছিল না। তো যা বলছিলাম, দাড়ি-গোঁফ ভালোভাবে না উঠলেও জিলেট ব্লেড চালিয়ে দিয়েছি যাতে করে তাদের আত্মপ্রকাশের গতি ত্বরান্বিত হয়। একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি মাথার চুলও ব্যাক ব্রাশ হয়ে গেছে। যাহ, বড় তাহলে হয়েই গেছি। তবে গায়ে গতরে না, টিঙটিঙে গড়নের হালকা পাতলা বডি, লম্বায় মাশাল্লাহ। তার উপর একখান ফনিক্স সাইকেল চালাই। ধানক্ষেত, কলাক্ষেত, মুলাক্ষেত, সবজিক্ষেত আর ক্ষেতের আইল সবকিছুর উপর দিয়েই আমার দ্বি-চক্র যান আপন গতিতে চলে। গ্রামে এমন একখান দ্বি-চক্রযান যার আছে সে-ই নিজেকে হিরো মনে করে, তো আমি ভাবতে দোষ কি? ভালো রেজাল্ট করার কারণে এলাকার ভাবী, কাকা, কাকী বা ভাই সম্পর্কের সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো তাদের ছেলে মেয়েকে পড়ানোর জন্য। আমি সবাইকে না করে দিলাম। কিন্তু একদিন আমার কাকা বললো বিকেলে তো বসেই থাকিস। তো বাড়িতে মেয়েগুলিকে তো একটু অঙ্ক-টঙ্ক দেখিয়ে দিলেই পারিস। না হয় তারা তোদের বাড়িতেই গিয়ে পড়ে আসবে। আমিও কিছুই না বোঝে বলে দিলাম আচ্ছা ঠিক আছে। তো সব মিলিয়ে আমার ছাত্রঅ সংখ্যা হলো ৬ জন। ক্লাশ সেভেন থেকে ক্লাশ নাইন পর্যন্ত। তাদের মধ্যে রানী আর সুরাইয়া ক্লাশ এইটে পড়ে। কিছুদিন পড়ানোর পর মনে হলো আমার শূন্যতাটা কেমন যেন কেটে যাবার উপক্রম হলো। কেউ যেন আমাকে লক্ষ্য রাখে, জামা-কাপড় ধোয়া আছে কিনা, খোজ খবর নেয় কলেজে কি করি, মেয়েদের সাথে গল্প করি কিনা ইত্যাদি। এই বিষয়ে দুইজনই সমান সমান কাজ করে।
আমি তো মনে মনে বলেই ফেলি, "আমি পাইলাম, আমি তাহদেরই পাইলাম।" কিন্তু সমস্যাটা হলো তারা দুজনেই আমার দাদা বাড়িতে থাকে; আমরা তিনজনই কাকাতো ভাই-বোন। এখন কাকে রেখে কাকে কি বলি??? তো এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে না আসতে পেরে আমার চার বছরের ভাগ্নে কে জিজ্ঞেস করি "বলোতো মামা, কে তোমাকে বেশি আদর করে? তোমার রানী আন্টি না সুরাইয়া আন্টি"। ভাইগ্না বলে নানি আন্টি। আমাকে চকলেট, চানাচুর দেয়। তারপর আর আমার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয় না কাকে কি বলব। কিন্তু সমস্যা হলো বলবটা কি? আমি তো তাকে তুই বলে ডাকি। যার সাথে প্রেম করবো তাকে কি আর তুই বলে ডাকা যায়? হঠাত করে তুমি ডাকতে শুরু করলে তো আবার আমার ছাত্রী সকল মাইন্ড খাবে।
তারপর কোন কিছু বলাবলী ছাড়াই শুরু হল দুজনের পথ চলা। কোথাও বেড়াতে গেলে সে আমাকে নিয়ে যায়। সেখানে একসাথে বসে গল্প করি। গাছ থেকে ফল-টল পেড়ে দিই। পুকুরে যখন জাল দিয়ে মাছ ধরি সে পেছনে ঘুর ঘুর করে। রাতে তাদের বাড়িতে টিভি দেখি। সে আমার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ডেকে নিয়ে খাওয়ায়। আবার কোনদিন যদি বাড়ি ফিরতে বেশী রাত হয়ে যায় তাহলে সুরাইয়াদের ঘরে তার ছোট ভাইয়ের সাথে ঘুমাই। এভাবেই না বলে প্রথম প্রেম তার গতিতে চলতে থাকল।
একটা কলেজ ব্যাগ কিনেছি নিউমার্কেট থেকে কাধে ঝোলানো। সেটা কাধে ঝুলিয়ে কলেজে যাই। সাইন্সে পড়ি। পদার্থ, রসায়ণ, জীব, গণিত সব বিষয়েই প্রাইভেট পড়ি। তবে মেয়েদের ব্যাচে। মেয়েরা আমাকে নিরাপদ মনে করে তাদের ব্যাচে নিয়ে নেয়। এখানে আছে তন্দ্রা, ন্যান্সি, পলি, শারমিন, ঝুমা, সোমা, নাদিয়া ও আমি কেবলাকান্ত। ব্যাগ ঝুলানোর কারণে আমার নাম হয় কবি। শুরু হয় নতুন জগতের সন্ধান কাব্য জগত। প্রতিদিন পড়া ফেলে রেখে মন দিই কাব্য জগতে। প্রসব করি নতুন নতুন কবিতা। কবিতা পড়ে খুশি হয় সুতন্নী ছিপছিপে গড়নের তন্দ্রা।
বাকিটুকু আসবে পর্ব ২ এ। ভালো থাকবেন সবাই।
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।