প্রথমেই দেখা যাক ডক্টর অফ ফিলোসফি চিজটা কি? এটার মিনিং জানতে আনেক ঘাঁটা ঘাটি করে যা পেলাম, প্রাচীন কালে রোমান ক্যাথলিকরা ৩৩ জন বিশেষ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন সেইন্টদের ধর্ম শিক্ষা কাজে নিয়োগ করে। তাদের ডক্টর অব চার্চ বলা হতো।
যদিও সেখান থেকেই এই কিম্ভুতকিমাকার শব্দটার উৎপত্তি, কিন্তু এখন ঠিক এই ধরনের ডেফিনেশান টেকে না /
মানুষ জানতে চায় ডক্টর অব দার্শনিক মানে কি?
ওকে সিরিয়াসলি আমি একটা এক্সপ্লেনেশান দেয়ার চেষ্ট করছি। (ইটস ধার করা রিয়ালিটি)
ধরে নেই নিচের সার্কেলটা পৃথীবির সব মানুষের জ্ঞান ধারন করছে। এর সেন্টার থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশ করছে জ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়।
যখন আপনি এলিমেন্টারি স্কুল কমপ্লিট করলেন আপনি এই পৃথীবির জ্ঞান ভান্ডার থেকে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করলেন (ছোট ব্লু সার্কেল)
এর পরে আপনি হাইস্কুল শেষ করলেন, তার মানে আপনি আরও কিছুটা জ্ঞান অর্জন করলেন জ্ঞানের প্রায় সব বিষয়েই (গ্রীন সার্কেল)
আপনি যখন ব্যাচেলর ডিগ্রী করলেন তখন আপনি কিছুটা স্পেশালিটি পেলেন জ্ঞানের কোন একটা বিশেষ দিকে।
এরপর মাস্টারস ডিগ্রী করলে আপনার স্পেশালিটি আরও খানিকটা বাড়ল।
বাট লক্ষ করুন আপনি কিন্তু কোন একটা বিশেষ সাবজেক্টে পৃথীবির সর্বচ্চো জ্ঞান এখনো অর্জন করতে পারেননি। (নিচের ছবি)
মাস্টারস ডিগ্রী শেষ করার পর আপনি আপনার ফিল্ডে অনেক অনেক প্রয়োজনীয় এবং রিসেন্ট রিসার্চ পেপার পড়লেন এবং বুঝলেন। তার মানে আপনার বিষয়ে আপনার জ্ঞান আপ টু ডেট হয়ে গেল, যা জ্ঞানের বাউন্ডারি ছুঁয়ে ফেললো। (নিচে দেখুন)
যখন আপনি বাউন্ডারিতে পৌঁছালেন তখন আপনার মাথাই ভূত চাপলো।
আপনি সেই ভূতের আছরে আরও জ্ঞান (যেটা এই মূহুর্তে পৃথীবিতে নাই) লাভের আশায় কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করে বা ডাটা কালেক্ট এবং এ্যানালাইসিস করে সেই বাউন্ডারি কে গুঁতাতে শুরু করলেন।
একটা সময় আসলো যখন আপনি সেই বাউন্ডারির সামান্য থেকে সামান্যতর যায়গা ভেঙ্গে ফেললেন। ঠিক নিচের ছবির মত।
এবং এই পৃথীবির সেই বিশেষ বিষয়ে মহারথিরা ( কিছু মানুষ যাদের সাধারনত দাঁড়ি চুল পাকা হয় আর কোন জিনিশ সহজে বিশ্বাষ করতে চায় না ) বিভিন্ন ভাবে উল্টে পাল্টে দেখল আপনি সত্যি সত্যিই বাউন্ডারি ক্রস করেছেন। তারা তখন আপনাকে পিএইচডি ডিগ্রী দিতে একমত হলো।
এরপর আপনি আপনার এক্সক্লুসিভ জ্ঞানটা একটা জার্নালে বা থিসিস পেপারে লিখে ফেললেন। ঠিক সাথে সাথেই অন্যেরা সেটা পড়ে ফেলল এবং এই পৃথীবির জ্ঞানের পরিধিটা খুব সামান্য বৃদ্ধি পেল। কারন ঠিক আপনার সাথে সাথে অন্য আরও বিষয়ে পৃথীবির অন্য কোনখানে কেও জ্ঞানের বর্তমান পরিধির করেসপন্ডিং যায়গাটা ভাঙ্গছে।
এবার বড় ডায়াগ্রামে আপনার বর্ধিত জ্ঞানটা একবার দেখুন। লজ্জা পায়েনা আবার
সো আপনার বিষেশ জ্ঞানটা শুধু একান্ত আপনাই থাকল মাত্র অল্প কয়েকটা দিন।
এতক্ষন বললাম একে বারেই ফরমাল কথা, বাট পেইনফুল রিয়ালিটিটা একটু ভিন্ন।
যখন আপনি জ্ঞানের পরিধিটা পাগলেরমত ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন, ঠিক সেই সময় অন্যান্য বিষয়ে আপনার আগে অর্জিত জ্ঞান ক্ষয়ে যেতে শুরু করবে ঠিক এই ভাবে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সো, এবার আপনি এরিয়া ইন্টিগ্রেট করে দেখতে পারেন একচুয়েলি পিএইচডির পরে আপনার জ্ঞান বাড়লো না কমলো
সো কনক্লুশান ইজ দ্যাট ইউ আর নট স্মার্টার দ্যান ফিফ্থ গ্রেডার (রিয়েলিটি শো)
স্যরি, ছবি না আসার কারনে আগের পোষ্টটা মুছে দিতে হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮