somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাজের ধীরগতি : মানুষের ভোগান্তি মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার -

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন এবং নগরবাসীর যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়েই নগরজুড়ে একের পর এক নির্মিত হচ্ছে ফ্লাইওভার। ইতোমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। রাজধানীর অন্যতম যানজটপ্রবণ এলাকা মগবাজার-মৌচাক ও মালিবাগ। এ অঞ্চলের যানজট নিরসন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চলছে ফ্লাইওভার নির্মাণের মহাকর্মযজ্ঞ। মৌচাক মোড় থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত অংশের নির্মাণ কাজের ধীরগতি এবং সমন্বয়হীনতার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসংখ্য মানুষ প্রতিমঞ্চ বিভাগে অভিযোগ করেছেন, নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়, যানবাহন চলাচলের রাস্তাটি কেটে অত্যন্ত সরু করে ফেলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আশপাশের রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

মৌচাক মোড় থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত রাস্তাটুকু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সায়েদাবাদ-গাজীপুর, গুলিস্তান-গুলশান, সদরঘাট-গাজীপুর, মতিঝিল-ফার্মগেট, মাওয়া-নরসিংদী, কমলাপুর-গাবতলী এবং নিউমার্কেট-উত্তরা রুটের যাত্রী ও মালমালবাহী বাস ও ট্রাকগুলো এ রুটে নিয়মিত চলাচল করে। এ ছাড়া এ রুটে চলাচল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, ভিকারুন-নিসা-নূন স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুলসহ অসংখ্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ব্যক্তিগত ও স্কুল বাস। সচিবালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম যাতায়াতের রাস্তা এটি।

প্রতিমঞ্চ টিম সরেজমিন গিয়ে দেখতে পায়, এ রুটে যাতায়াতকারী পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। দুর্ঘটনা, পরিবহনের ক্ষতি এবং দীর্ঘ যানজটের কারণে এ রুটে যাতায়াতকারী পরিবহন শ্রমিকদের কাছে এ রুটটি এখন আতংকের নাম। গর্তে পড়ে যাওয়া সিএনজি টেনে তুলতে তুলতে এমনটাই জানালেন এর চালক হিরক খান। তিনি বলেন, ফ্লাইওভার করে আমাগো ভালোর জন্য কিন্তু মৌচাক এলাকার অবস্থা দেখে মনে হয় ফ্লাইওভার না করাই ভালো ছিল। এদিকে আসতে চাই না যাত্রীদের অনুরোধে আসলেই গাড়ির কোনো না কোনো একটা ক্ষতি হবেই।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী মো. শাহজালাল বলেন, প্রায় প্রতিদিনই মৌচাক মোড়ে বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট জ্যামে আটকে থাকতে হয়। ফ্লাইওভারের কাজ চলার কারণে রাস্তাটি এতটাই সরু করা হয়েছে যে একটির বেশি গাড়ি যেতে পারে না। ফলে প্রায়ই বিলম্বে কর্মস্থলে পৌঁছতে হয় আমাদের।

অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরাও- মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি শপিংমল এবং বিপণি বিতান। নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ না হওয়ায় কাজের ধীরগতি এবং রাস্তা-ঘাটের দুরাবস্থার কারণে এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও বলেছেন হতাশার কথা। লাখ লাখ টাকা লগ্নি করেও কোনো ক্রেতা না পেয়ে এখন তারা দিশাহারা।

আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত সাফা কালেকশন্স নামের পাঞ্জাবি দোকানের স্বত্বাধিকারী খোরশেদ আলম রানা বলেন, এ ফ্লাইওভারের কাজে ধীরগতি এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতার কারণে আমাদের বেচাকেনা একেবারেই। যদি আগামী রোজার আগে এর কোনো সুরাহা না হয় তাহলে এ এলাকার ব্যবসায়ীদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

মালিবাগ মোড়ে অবস্থিত মারুফ গ্লাসের স্বত্বাধিকারী আবদুল খালেকও ক্ষোভের সঙ্গে জানালেন তাদের ব্যবসা মন্দার কথা। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কাজের তেমন উন্নতি চোখে পড়ছে না। ক্রেতা এখন আর এদিকে আসতে চায় না।

হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ

মালিবাগ মোড়ে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয় যানজট মোকাবেলায়। বিশেষত অফিসের সময়ে তাদের যেন দম ফেলার ফুরসত মেলে না। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলেও কাজ না হলে তারা নিজ দায়িত্বেই স্বেচ্ছাশ্রমে ভরাট করেন খানাখন্দ। এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় অফিসের সময়ে আমাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক বেগ পেতে হয়।

মগবাজার-মৌচাক ও মালিবাগ অংশের কাজ করছে তমা গ্রুপ। মালিবাগ অংশের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তমা গ্রুপের অফিসে গিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেন এ প্রতিবেদক। কিন্তু কল দিয়ে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তমা গ্রুপের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা তো আমাদের সাধ্যমতো রাস্তাঘাট ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসারও এখানে দায়িত্ব রয়েছে তারা এ ব্যাপারে আমাদের তেমন কোনো সহযোহিতা করছে না। আমরা ইট-সুরকি ফেলে রাস্তাগুলো মেরামত করলেও ড্রেনের পানি উপচে অনেক জায়গায় জমে গিয়ে সকলের অসুবিধা সৃষ্টি করছে। - See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×