আমাদের জীবনধারা এখন বিকিনি বনাম নেকাবের বাইনারি সমীকরণে স্বিদ্ধ হচ্ছে। আমার বাংলাদেশেও এই ক্যাম্পের যোদ্ধাদের বৃহৎ রণাঙ্গনে পরিণত হতে যাচ্ছে।আজকে গরম খবর, দায়েশের(আই এস) দলত্যাগী পোস্টার গার্ল বসনিয়ান বংশোদ্ভুত অস্ট্রিয়ান নাগরিক ১৭ বছর বয়সী সামরা কেসনভিচকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।কিছু দিন আগে ঐশীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
সামরার পরিবার বসনিয়ার যুদ্ধ থেকে বাঁচতে, উন্নত জীবন এবং স্বাধীনতার জন্য অস্ট্রিয়ায় মাইগ্রেট করে। ২০১৪ সালের এপ্রিলের কোন দিনে একটি চিঠি ফেলে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।চিঠিতে লিখা ছিল ''আমাদের খোঁজার চেষ্টা করোনা,আমরা আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত থাকব এবং শহীদ হব''।দায়েশের দুর্গ রাক্কা প্রদেশে তার কথিত জিহাদী স্বামীর সাথে ঘর বাঁধে।দায়েশের প্রপাগান্ডায় AK-47 হাতে সামরাকে দেখা যায়,প্রোপ্যাগান্ডায় তিনি বাড়ি না ফেরার কারণ হিসেবে তিনি ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও হালাল খাবারের কথা উল্লেখ করেন। দায়েশের তিউনিশিয়ান দলত্যাগী মহিলার বরাত দিয়ে জানা যায় দায়েশের হত্যাযজ্ঞে সামরা মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মন বদল করে কথিত খিলাফত ত্যাগ করে বাড়ী ফেরার চেষ্টা করে।এবং দায়েশ ১৭ বছরের কিশোরি ''মুরতাদকে'' ক্বতল করে।পক্ষত্যাগ দায়েশের কাছে ইসলাম ত্যাগের সামিল।
অন্যদিকে, ডিজে পার্টির নিয়মিত ড্যান্সার ঐশী পার্টীর উন্মত্ত ক্রাঊডকে মাতিয়ে রাখত।সে তার বাবাকে ঘৃণা করত কারণ তার বাবা ছিল ''ব্যাকডেটেড'' । তার সঙ্গে তাঁর ''ম্যাচ'' করত না।কোনো ''ফ্রিডম'' ছিল না। আদালত ঐশীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পৃথিবীর ধরা-বাধা নিয়ম-কানুন থেকে ''ফ্রিডম'' দেয়।রায় শোনার পর তিনি অঝোরে কাদেন।ঐদিন তিনি আদালতে ঘোমটা দিয়ে মাথা নিচু করে আসেন।
আমদের বিশ্ব এই দুই শিবিরে বিভক্ত হচ্ছে.....
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭