মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মনের অব্যাক্ত কথাগুলো শোভা পায় তাদের ডায়রীতে, ফেসবুক-টুইটারের প্রোফাইলে। এই মধ্যবিত্ত মানুষগুলো না পারে নিজেদের স্বাদ-আহ্লাদ পুরণ করতে না পারে অন্য কারোটা পুরণ করতে। মনের কথা গুলোও বলতে পারে না কারো সাথে, তাদের কাছের মানুষ বলতে কেউ থাকে না। কোন মেয়েকে ভালো লাগলেও সেই কথা বলতে বলতে সে মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় কিংবা অন্য কারো সাথে মনের মিল হয়ে যায়। মধ্যবিত্ত মেয়েদের থাকে আরেক সমস্যা। তারা না পারে ঠিক মত প্রেম করতে, না পারে পরিবারের সবার বিশ্বাস অর্জন করতে। যার সাথে প্রেম করে সেই ছেলেটাও বিশ্বাস করে না তাকে অনেক ক্ষেত্রে। আবার সব কিছু ঠিক থাকলেও, হয়না সেই ছেলেটার সাথে বিয়ে। বিয়ের রাত থেকে মরার আগ পর্যন্ত রেপ হতে থাকে বিয়ে করা সেই পুরুষের হাতে। নিষিদ্ধ পল্লীর নারীদের মতো ক্ষণে ক্ষণে প্রতিটা মূহুর্তে নিজের শরীরটাকে আরেকটা পুরুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়। আবার সেই মধ্যবিত্ত সংসারের ছেলেটারও একসময় বিয়ে হয়। বিয়ের রাত থেকে মরতে থাকে তিলে তিলে স্লো-পয়জনের মত করে। তিলে তিলে ধ্বংস হতে থাকে নিজের মাঝে। সেই পুরোনো প্রেমের জ্বালায়, সেই মেয়েটির আশায়। সংসার জীবনে হয়ে যায় পুতুলের মতো। ব্যাস্ত হয়ে যায় নিজের আর্থিক উন্নয়নের আশায়। কিন্তু তা আর হয়না। সংসারের বেড়াজালে নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। এইসব সংসারে সারা জীবন ঝগড়া লেগেই থাকে। অবস্থার কোন সমাধান না পেলে হয়ে যায় ডিভোর্স। আর তা যদি হয় বাচ্চা নেবার পর তা হলে দুইটা জীবনের সাথে আরেকটা জীবনের বোনাস হয়ে যায়। এই বোনাসের লাভ একটাই ধ্বংস, আর কিছুই না। এই সমাজের মানুষ এই সব নষ্ট জীবনকে নিয়ে অনেক আমোদ-ফুর্তি করে। তাদের নষ্ট জীবনকে দেখে দূঃখময় সুখ লাভ করে। জ্বলন্ত সিগারেটের মত পুড়তে থাকে সেই সব জীবনগুলো।
***আমার মাঝে ক্ষমতা থাকলে মধবিত্ত সবগুলো সংসারকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে উচ্চবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত করে দিতাম। কিন্তু ক্ষমতা না থাকায় নিজেই জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি। সেই আগুনের তাপে পুড়ে যাবার মতো আর কিছুই বাকি নেই নিজের মধ্যে। সবকিছুই ছাই হয়ে উড়ে গেছে। এখন শুধু একটা বাতাসের অপেক্ষা। সেই বাতাসে শুধু উড়ে যেতে পারলেই যেন বেঁচে যাই।