আট দিন মিয়ানমারে আটক থাকার পর ২৫ জুন বিজিবি নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল। ১৭ জুন কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত থেকে টহলরত বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। আব্দুর রাজ্জাককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসায় অনেক সরকারের কূটনৈতিক সফলতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সরকারের সফলতা বা বিজিবি কখন কতটা নির্যাতিত হয়েছে তা তুলে ধরা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবে একটা ঘটনার জন্য আজ আমি মনে করছি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা ( বিজিপি) মনে হয় কুকুর বা সমজাতীয় প্রাণী।
নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে দেশে ফিরিয়ে আনার পর পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। যেখানে ব্রিফ করছিলেন বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে নায়েক রাজ্জাকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রসঙ্গ আসলে তিনি জানান, ১৭ জুন তাকে ধরে নেয়ার সময় ধস্তাধস্তি হয়। সেখানে মায়ানমারের একজন সীমান্তরক্ষী রাজ্জাকের নাকে কামড় দিয়েছিলেন । সেই ক্ষত থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়।
যদি বিজিবি মহাপরিচালকের কথা সত্য হয় তাহলে মনে হচ্ছে সীমান্ত পাহাড়া দেওয়ার জন্য মিয়ানমার কুকুর প্রশিক্ষন দিচ্ছে। একটা বিষয়ে মিয়ানমারকে সাধুবাদ জানানো দরকার। আর পরামর্শ যে আপনারা আরও উন্নত জাতের কুকুর পালন করুন। কারণ আপনার প্রতিবেশী দেশগুলো মানুষ দ্বারা সীমান্ত পাহাড়া দেয়। আপনাদের কুকুররা যেন আমাদের মানুষ সীমান্তরক্ষীদের চিনতে পারে এবং সময়ে অসময়ে আতর্কিত হমলা না করে।
Written By Ahmed Nur
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৯