বর্তমান তাবলীগ জামাতের বিশ্বব্যাপী সংকটে বিভক্তির স্পষ্ট রেখা বিদ্যমান হয়েছে, পুরা দুই শিবিরে বিভক্ত। এমতাবস্থায়, এই দ্বীনী জামাতের কোন অংশ শুদ্ধ আছে ও দ্বীনী দিক থেকে নিরাপদ আছে- তা কিভাবে বুঝবেন? যারা তাবলীগে সময় লাগাতে চান, তাদের জন্য বিষয়টা জরুরী।
সাদ-পন্থী গ্রুপঃ মাওলানা সাদ-কে আমীর মেনে একদল অনুসারী তার পেছনেই তাবলীগ করতে বদ্ধ পরিকর। এরা বলে, “আমরা এতায়াতে আছি”, অর্থাৎ, সাদ সাহেবের এতায়াতেই এরা তাবলীগ করবে। সাদ ব্যতীত অন্য কারো অনুসরন এরা করতে নারাজ। এ কাজে এরা উগ্রতা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত। এরা বর্তমানে মিরপুর ডি ব্লকের মার্কায কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালনা করছে।
কিন্তু, এখানে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়ঃ
১। সাদ সাব কিভাবে আমীর হলেন?
২। সাদ সাব কি সর্ব-সম্মত আমীর?
৩। সাদ সাব কি শরীয়তসম্মতভাবে আমীর নির্ধারন হয়েছেন?
৪। সাদ সাব কি বিতর্কিত বিষয়গুলি থেকে ফিরে এসেছেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলি সমাধা না হওয়া পর্যন্ত তার অনুসরন করা উচিত নয় বলে ফতোয়া দিয়েছেন আলেমগণ।
আলমী শুরা গ্রুপঃ
অন্যদিকে, সাদ সাহেবের বিতর্কিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তাবলীগের বিশ্ব-মুরুব্বি গণ , যাদের মধ্যে সাদ সাহেবের ওস্তাদ্গণ-ও আছেন, তারা সবাই মিলে একটা শুরা বা কমিটি বানিয়েছেন তাবলীগের কাজ-কে চালিয়ে নেবার জন্যে। এই শুরা বিশ্বের অধিকাংশের কাছেই মকবুল বা গ্রহনযোগ্য।
বিশ্বের বরেন্য ওলামাগণ এই শুরার অধীনে কাজ করাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন, যা শরয়ী আলোকে অধিক সঠিক।
তাবলীগের কাজ একটা নিখাদ ধর্মীয় কাজ। সেহেতু ওলামাদের নির্দেশনা মেনেই করতে হবে।
তাবলীগের সংকটে ওলামাদের সিদ্ধান্ত
এতায়াত ফেরকার আগ্রাসী মনোভাবঃ
অন্যদিকে, সাদ- সমর্থিত ফেরকার মধ্যে বাতেলের সকল আলামত বিদ্যমান। এরা উগ্র, ওলামাদের মানে না, এবং বে-শরীয়তী কথা বলতে অভ্যস্ত।
আসছে টঙ্গী বিশ্ব এজতেমায় এরা ব্যাপক হাঙ্গামা বাধানোর পরিকল্পনা নিয়ে আছে।
সারকথাঃ
আল্লাহ আমাদের শুদ্ধভাবে কাজ করার তৌফিক দেক। তাবলীগের কাজে দেশের বরেন্য ওলামাদের অনুসরনেই ভালাই রয়েছে। ওলামাদের দিক নির্দেশনা ছাড়া কোন দ্বীনী কাজ সঠিক নেহাজ ও পথে থাকে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৬