somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যদি আমরা সবাই ভালো মানুষ হতাম!!!!!!!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনের ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশী হিসেবেই লজ্জা লাগছিল। ভাবতাম সত্যিই কি আমরা এরকম? নিজেদের মধ্যে ভালবাসা নেই? অপরিচিত কাউকে সাহায্য করতে মন টানে না? আমার মনে হয় নি সব বাঙালি এরকম। অপরিচিত কাউকে রাস্তা বা কোথাও বিপদে পড়তে দেখলে আমরা সাধারণত এগিয়ে যাই না। আমার নিজের একটি ঘটনা মনে দাগ কেটে আছে।

আমার চাচা একবার রাস্তায় accident করেছিল ঢাকাতে। চাচা রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিলেন। একটা গাড়ি চাচাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতবেগে চলে যায়। পাশের পথচারীরা কি করেছিল জানেন? একজন চাচার মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল। আর একজন নিয়ে গিয়েছিল মানিব্যাগ। একবার বাসায় জানায় পর্যন্ত নি যে একজন মানুষ accident করে অচেতন হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে আছে। হঠাৎ করে চাচার কোন খোজ নেই। সব আত্মীয়ের বাসায় খোজ নিয়েও কোন হদিস পাওয়া গেল না। বাসার সবাই খুজতে খুজতে এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে চাচার সন্ধান পাওয়া গেল। অচেতন। সারা শরীর রক্তে ভেজা। বেওয়ারিশ কোন লোককে চিকিৎসা দেওয়া আমাদের সরকারী ডাক্তারদের কাজ না। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছিল। ফলে আমার চাচাকে আর বাচানো সম্ভব হয় নি। মানুষের মনুষ্যত্ব কোন পর্যায়ে গেলে মানুষ এরকম আচরণ করতে পারে আমার জানা নেই। রাজনের ঘটনার পরেও আমার এরকম অনুভূতি হয়েছিল। আসলে আমরা সবাই কি এরকম?

আজকে কলেজের উদ্দশ্যে যাচ্ছিলাম। বাসে করে চট্টগ্রাম। ঈদের ছুটি শেষ। ঈদের সময় এদেশে জার্নি করা যে কি কষ্ট তা সবাই মোটামুটি ভালই জানেন। বাসে করে অনেকদূর আসার পরে পিছে বসা একটা বাচ্চা মেয়ে জানতে চাইল বাস কোথায় যাচ্ছে। ১১/১২ বছরের বাচ্চা। পাশের একজন বলল চট্টগ্রাম। মেয়েটা বলল "আমি তো ঢাকা যাব"। পরে কাহিনী যা জানা গেল তার সারমর্ম হল, মেয়েটা আর তার ছোট ভাই ঢাকা যাবে। কিন্তু বাবা ভুলে চট্টগ্রামের বাসে তুলে দিয়েছে। হাতে আর কোন টাকা নেই। পাশের একজন বাচ্চাটার আত্মীয়দের কাছে ফোন দিয়ে খোজ খবর নিল। গরীব মানুষ। হাতে কোন টাকাও নেই। কী করবে এখন?

এক মুরুব্বি কন্ডাকটরকে ডেকে কথা বললেন। পিচ্চিদের হাতেও কোন টাকা নেই। আমরা বাসের সবাই মিলে কিছু টাকা তুলে দিলাম। যা উঠল তাতেই ঢাকা যাওয়া যাবে। সবাই বাচ্চা দুইটার প্রতি সহানুভূতি দেখাল। জিনিসটা ভাল লাগছে। একজন বলল সে নিজে বাচ্চা দুইটারে বাসে তুলে দিবে। কন্ডাকটর বলল সেই তুলে দিবে। কারও থাকা লাগবে না। ভাবলাম তখন, আমরা এখনো মানুষই আছি, আমাদের মাঝের দুই একটা শুধু পশু।
ইশ! আমরা সবাই যদি ভাল সভ্য মানুষ হতাম!



পিচ্চি দুইটার ছবি...........

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×