somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলৌকিক কথোপকথোন

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.

-ওস্তাদ ! এইরকম বেহুদা হরতালের নামে আম পাবলিক মারেন কেন ? দুই একটা রাজা উজির মারলে তাও না হয় মনডারে বুঝ দিতে পারতাম।
- আরে ব্যাডা আহাম্মক ! পৃথিবীতে সব বিপ্লবেই কমবেশি মানুষ মরে। বিনা কষ্টে বিজয় আসলে সেই বিজয়ের কোন মূল্য থাকে না। এই জন্যই কবি বলেছেন, বিপ্লব ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা নয় সৃষ্টির প্রসব বেদনা মাত্র।
-বিপ্লব যদি প্রসব বেদনা হয় তাইলে মা কে আর সন্তানই বা কে ?
-ভাগ এইখান থিকা! দুনিয়ার বড় বড় দার্শনিকরা পর্যন্ত ঠিকমত বিপ্লব বুঝতে পারে নাই, তুই আইছোস বিপ্লব বুঝতে ?
- হ বেবাক আপনেরাই বোঝেন ! আপনাগো হরতালের নাম বিপ্লব। ভোটের নাম বিপ্লব। মদ, গাঞ্জা, ফেন্সি খাওয়ার নাম বিপ্লব। চুরি, ডাকাতি, খুন, গুম সব কিছুর নামই বিপ্লব। এর থেইকা আপনার নামটা বদলাইয়া বিপ্লব রাখেন, তাইলে যা করবেন সব কিছুতেই মাইনষে কইবো বিপ্লব করতাছে।

দুই.

-ওই পন্ডিত এদিকে আয়! ক তো এই দেশের বামপন্থী দলগুলা রাজনীতি করে ক্যান ?
-ক্যান আবার বিপ্লবের লাইগ্যা !
-আন্ডা জানো তুমি । তারা রাজনীতি করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য।
-এইডা একটু বেশি কঠিন হইয়া গেল ওস্তাদ।
-ওই দল গুলা কি গণতন্ত্র প্রতিষ্টার জন্য রাজনীতি করে ? নাকি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে ?
-সমাজতন্ত্র।
-তাইলে তুই ই ক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে হইলে গণতন্ত্ররে হত্যা করা লাগে নাকি বাচাইয়া রাখতে হয় ?

তিন.

- ওস্তাদ ! গণতন্ত্রের নামে যদি যা ইচ্ছা তা-ই করা জায়েয হয় তাইলে সবাই গণতন্ত্র গণতন্ত্র কইয়া এত চিল্যাইতাছে কেন ? গণতন্ত্ররে পিডাইয়া মাইরা কবর দিয়া ফালাইলেই তো সবাই আরামে থাকে।
-গণতন্ত্র হইলো গিয়া তোর চিংড়ি মাছ। সব তরকারির সাথেই দেয়া যায়।
-মানে বুঝলাম না।
-সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, মোল্লাতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র- যেই তন্ত্রই দেশে চালু থাকুক না কেন সেইটা বুক ফুলাইয়া কওয়ার টাইম এইডা না। তাতে নানা ধরণের জটিলতা বাড়ে। তাই দেশে যে তন্ত্রই চালু থাকুক না কেন কইতে হয় যে, গণতন্ত্রের স্বার্থেই এইডা করা হইছে। এতে পাবলিকও দেশে গণতন্ত্র আছে বইলা বলদের মত উল্লাস করে আর বিদেশীরাও খুশী থাকে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×