ওপাড়ার চৌধুরি বড়লোক ভারি!
কোটি-কোটি টাকা তার বড় বড় গাড়ি!
বিল আছে ঝিল আছে, মিল আছে কতো,
দেখো যদি এক্ষুনি খাবে থতমত!
দ্যানে-ধ্যানে সবখানে তারে পাবে খুঁজে,
দান-টান করে যান চোখকান বুঁজে!
দান করে তাঁর কতো নামডাক হলো,
তবু হায়! তাঁর কাছে সব লাগে জোলো!
আরও তাঁর নাম হবে,যশ হবে মেলা—
এইসব ভেবেটেবে কাটে তাঁর বেলা।
আর কারে দান করে কামাবেন নাম,
সেই লিস্ট করে তার ছুটে যায় ঘাম!
শেষকালে হুট করে কী যে তাঁর হলো—
কোত্থেকে তেল ভরা ড্রাম এলো ষোলো;
ইঞ্জিন-টিঞ্জিন এলো কতো কিছু,
টন টন লোহাটোহা এলো আগুপিছু।
ধুম-ধাম শব্দতে টেকা হলো দায়,
লোক খালি ছুটে মরে ডানে আর বায়;
ছুটে ছুটে শেষতক হলে নির্মাণ
বোঝা গেল সেটা এক মহাকাশ-যান!
লোকজন ছুটে এলো কাণ্ডটা দেখে—
চোখ হলো ছানাবড়া গাল গেল বেঁকে!
বিস্মিত সকলেই মহাউঁচু-স্বরে
‘এটা দিয়ে কী হবে গো?’ জিজ্ঞাসা করে।
সব শুনে চৌধুরি গমগমে স্বরে
কন—বাপু! বোঝোনি তা এতোদিন পরে?
কাজ আছে এতে বাপু! শুধু নয় ভাব এ,
এতে করে সহজেই চাঁদে যাওয়া যাবে।
চাঁদে গিয়ে দান করে আমি হবো দাতা—
চাঁদের বুড়িকে দেব বয়স্কভাতা!
—দানবীর
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা।
১০ নভেম্বর, ২০১৭।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭