আমি মোঃ আহসান হাবীব, বাসা লালমনিরহাট। আজ আমি আমার প্রেম কাহীনি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
আমি যখন এইস এস সি পাশ করলাম হঠাত আমার চাচা ফোন দিলো যে আমার চাচাতো ভাই আগুনে পরে সারা শরীর পুরে গেছে এবং রংপুর সরকারী হাস্পাতালে ভির্তি আছে। আমি আমার ছোট ভাই কে খুব ভালোবাসতাম তাই ছুটে চলে গেলাম তাকে দেখতে। তাকে দেখে আমার সারা শরীর শিরশির করতে লাগলো । আমার চাচির উপর খুব রাগ হচ্ছিলো কিন্তু কিছু বলার সাহস পেলাম না। আমার চাচা ঢাকায় থাকতো। আমি আম্র চাচাকে ফোন করলাম এবং জারিফ কে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললাম। তারপর তাকে নিয়ে ঢাকায় যাবার আগে তার নানুর বাসায় গেলাম সেখানে আমার চাচার শালিকার মেয়ে যুথির সাথে দেখা হয়.........
তারপর যুথি, যুথিএ আম্মু, আমার মা, আমার চাচি এবং যুথির খালাতোভাই পারভেজ ও ঢাকায় যায় এবং ঢাকা বার্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। কিছুদিন চাচা ও চাচি অনেক কষ্ট করে হাস্পাতালে থাকে কিন্ত চাচার বাসায় থাকার মত কোন পুরুষ ছিলো না। থাকার মধ্যে ছিলো যুথি ,মৌ (আমার চাচাতো বোন), দাদি এবং আমার মা। আমার চাচার বাসায় কোন পুরুষ না থাকায় আমার চাচা আমাকে ঢাকায় যেতে বলে এবং আমি ও ঢাকায় চলে যাই। সেখানে আমার ডিউটি ছিলো প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে চাচা চাচিকে খাবার দিয়ে আশা। যুথির সাথে সব সময় আমার টম এন্ড জেরীর মত ঝগরা লাগতো। একদিন আমি মৌ (আমার চাচতো বোন) কে বললাম আমি যুথীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে প্রতিশোধ নিবো। যুথীও মৌ এর সাথে একই প্লান করলো। এভাবেই আমাদের ফোনে কথা বলা শুরু হয়। এবং একটা সময় আমাদের গভির একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। এদিকে জারিফ (আমার চাচাতো ভাই) ও সুস্থ হয়ে যায়। যুথি রংপুর চলে যায়। আমি চাচার বাসায় জারিফ এর সেবা করতে থাকি। যুথির সাথে আমার যোগাযোগ চলতে থাকে। কিছুদিন পর.........
সবাই আমাদের ব্যাপার টা জানাজানি হলো। যুথির মোবাইল তার আম্মু কেরে নিলো। আমার বাবা ও আমাকে আমার বাসা থেকে বের করে দিলো। আমার পরাশুনা সব বন্ধ হয়ে গেলো।
ঢাকা এসে অনেক কষ্ট করে একটা জব পেলাম। কিন্ত যুথির আর কোন খোজ নাই কোন যোগাযোগ ও নাই। কিছুদিন পর যুথি চুপ চুপ করে তার আম্মুর মোবাইল থেকে কল করতো। আমি যখন তার মায়ের নম্বর এ ফোন করলে মেয়ে কন্ঠে কথা বলতাম। যুথি আমাকে বি বি এ ভর্তি হওয়ার জন্য টাকা দিলো। আমার বি বি এ করার সব টাকা যুথি দিত তার বাবার টাকা চুরি করে। আমার বি বিএ শেষ হওয়ার পর যুথির সাথে আবার ও হঠাত করে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় পরে যানতে পারলাম ওকে নাকি ঢাকায় ভর্তি করে দিবে। যুথিকে তার বাবা মা ভুল ভাল বুঝিয়ে আমার নামে খারাপ কথা বলে আমার থেকে দূরে রেখে দেয়। যুথি ও আমাকে ভুল বুঝে। তাই সে ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি দির্ঘ্য ১ বছর অর সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি পাগলের মত হয়ে গেলাম। ১ বছর ২ মাস পর একদিন আমি গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে একজন বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে যুথির সাথে আবার দেখা হয়। অনেক কষ্টে যুথির সাথে কথা বলার সুযোগ হয়। তার পর সে তার ভুল বুজতে পারে। এবং সে আবার ও আমার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বাবা মা আবার ও টের পায়। কুন্তু যুথি আর তার বাবা মার কাছে ফিরে যায় নি। সে আমার সাথে সংসার শুরু করে। এখন আমার একটা সন্তান ও হয়েছে। যুথির বাবা মা ও মেনে নিয়েছে। আমরা অনেক সুখি।