একজন লেখক যিনি সত্য ঘটনার উপর গল্পের বই লেখার জন্য পরিবার সহ ওঠেন এক বাড়িতে । যে বাড়িতে এর আগে ক্রাইম সংগঠি
হয়েছিল । কিন্তু পূর্বে গঠিত কোনো ক্রাইমের রহস্য ভেদ করতে পারেন পুলিশ । লেখক বুঝতে পারেন এ বাড়িতে থাকলে তার পরিবারের জন্য মঙ্গল জনক হবে না । তাই তিনি তড়িত সিদ্ধান্ত নিলেন বাড়িটা ছেড়ে দিবেন ।কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে , বাড়ি ছাড়া মানেই যে মৃত্য তা লেখক বোঝেন নি । যদিও মৃত্যর আগে তিনি রহস্য ভেদ করতে পেরেছিলেন কিন্তু তাতে লাভ ছিলনা । লেখক তার পুরো পরিবার সহ মারা পড়েন ।
আচ্ছা এবার আসি অন্য একটা মুভির কাহীনি তে ,
একজন বাবার বড় শহরে ট্রান্সফার হয় তার পোস্ট , এক ছেলে আর দুই মেয়ের এবং বাবাসহ সংসার , ছেলে মেয়েদের মা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই । এক রাতে নায়ক খেয়াল করেন কে যেনো কাঁদছে , কান্নাটা একদম ভৌতিক । বোঝা যাচ্ছেনা শব্দ টা কোথা হতে আসছে ।
দু বোন ভয়ে তটস্থ । পরে নায়ক বুঝতে পারেন পাশের বাড়িতে এক বিবাহিত নারীর কান্না ছিল ওটা । মেয়েটার সাথে নায়কের বন্ধুত্ব হয় ।
মেয়েটার স্বামী সংসারি হতে চায়না । বাচ্চা কাচ্চা নিতে চায়না পরমা সুন্দরী মেয়েটাকে দাঁড়িয়ে রেখে রাত ভর শুধুই চোখ জুড়োয় ।
এক সময় তিন সন্তানের জনক চাকরী হারান অবশেষে মারা যান , সব দায়িত্ব এসে পরে বড় ভাইয়ের ওপর । কিন্তু ছেলেটার চাকরী হচ্ছিলনা কোথাও । বোন গুলোকে বিয়ে দিয়ে উপায়ও নেই । শেষ মেষ তিন ভাই বোনে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় খুঁজে পান নি ।
উল্লেক্ষ্য এই একই বাড়িতে একই রকম ঘটনা এর আগে একবার ঘটেছে , পাশের বাড়ির সেই পরমা সুন্দরী মেয়ের সাথে প্রণয়ও হয়েছে,
কিন্তু সেই মেয়েকে কেউ নিয়ে যায়নি সংসারি জীবনে এবং কখনো আসেনি ।
হ্যা মুভিটির নাম ছিল কখনো আসেনি ।
এবার আসি কিছু কথায় ,
আজ থেকে চুয়ান্ন বছর আগের পরিচালক জহির রায়হান যদি এতো সুন্দর মুভি তৈরী করতে পারেন যেই মুভি বর্তমানে হলিউডের মুভির সাথে তুলনা করা যায় তবে আজকালের পরিচালকেরা কেনো পারেনা ?
দেশের শত শত লেখক আছেন যাদের লেখা এক একটা মাস্টার পিস । ধরা যাক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর চাঁদের অমাবস্যার কথা বলি ।
এমন মাস্টার পিস একটা উপন্যাস নিয়ে কেনো মুভি হয়না ?
দেশে কী সব মূর্খ ?
এক জহির রায়হানের পরে কী আর কোনো জহির রায়হান আসবেন না ?
দেশটার চলচিত্র শিল্প কী অনন্তকালের জন্য পোলিও আক্রান্ত ?
লজ্জা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯