somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ফুলের বাগানে সাপ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিদিন ভোরে ফজর নামাজ পড়ার পর আমি মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে যাই। এটা আমার অনেক দিনের অভ্যাস। মোটামুটি দু’তিন কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করে আমি বাসায় ফিরে আসি। কিন্তু আমার দুই চোখে অপারেশন হওয়ার কারণে গত কয়েক মাস মর্নিং ওয়াক করা হয়নি। সপ্তাহ খানেক হলো আবার শুরু করেছি। কিন্তু এ বছর সাবিনাকে দেখতে পাই না।

আমার বাসা থেকে সামান্য দূরত্বে রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি দোতলা বাড়ি আছে। এই বাড়ির মালিক শৌখিন মানুষ। তার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ছোট পরিসরে একটা ফুলের বাগান আছে। প্রাচীরের গা ঘেঁষে লাগানো একটা শিউলি ফুলের গাছ ডালপালা বিস্তার করে প্রাচীরের বাইরেও খানিকটা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে শীতের সময় এই গাছে যখন ফুল ফোটে, তখন কিছু ফুল বাইরে রাস্তার উপরেও ঝরে পড়ে।

গত বছর শীতের সময় আমি যখন মর্নিং ওয়াক করতে বেরোতাম, তখন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম সাত আট বছর বয়সের এক বস্তিবাসী গরীব মেয়ে রাস্তার ওপর উবু হয়ে বসে ফুল কুড়াচ্ছে। কনকনে শীতেও মেয়েটির পরনে একটা ময়লা ফ্রক ছাড়া আর কিছু নেই। দু’তিন দিন একই দৃশ্য দেখার পর আমার একটু মায়া হলো।

পুরনো গরম কাপড়ের দোকান থেকে একদিন মেয়েটির মাপ আন্দাজ করে একটা উলেন সোয়েটার কিনে ফেললাম। পরদিন মর্নিং ওয়াকের সময় সেটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। শীতের দিনে ফজরের নামাজের পর অনেকক্ষণ হাল্কা অন্ধকার থাকে। সেদিনও সেই অন্ধকারের মধ্যে মেয়েটি ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় বসে শিউলি ফুল কুড়াচ্ছিল। আমি তার পাশে গিয়ে তার মতো করে উবু হয়ে বসে সোয়েটারটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘এটা পরে নাও।’

মেয়েটি বোধহয় ভয় পেয়ে গেল। সে ফুল কুড়ানো বন্ধ করে আমার কাছ থেকে একটু দূরে সরে গেল। তারপর ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বোধহয় মানুষের ভেতর থেকে বিশ্বাস ও ভরসাও কেড়ে নেয়। আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে আশ্বাস দিয়ে বললাম, ‘ভয় পেয়ো না। এটা আমি তোমার জন্য এনেছি।’ তারপরেও মেয়েটি নির্বাক। তবে তার ভয় কিছুটা কমেছে বলে মনে হলো। আমি নিজেই সোয়েটারটা পরিয়ে দিলাম তাকে। তারপর বললাম, ‘চলো, তোমাকে আমি ফুল কুড়াতে সাহায্য করি।’
ফুল কুড়ানোর জন্য মেয়েটির একটা পুরাতন ফাটা প্লাস্টিকের গামলা ছিল। রাস্তায় উবু হয়ে বসে ঝরে পড়া শিউলি ফুলগুলো কুড়িয়ে আমি সেই গামলায় রাখছি দেখে মেয়েটি এক পা দুই পা করে এগিয়ে এসে আবার ফুল কুড়াতে শুরু করলো।

পরদিন হাঁটতে বেরিয়ে আমি আবার মেয়েটিকে ফুল কুড়াতে সাহায্য করলাম। এদিন আমি হাসি হাসি মুখে মেয়েটিকে কিছু প্রশ্ন করলেও তেমন কোন উত্তর পেলাম না। শুধু জানতে পারলাম, তার নাম সাবিনা ইয়াসমিন। আর কাছাকাছি এক বস্তিতে থাকে সে।
এভাবে প্রতিদিন আমি মেয়েটিকে ফুল কুড়াতে সাহায্য করি আর কথাবার্তার ফাঁকে ফাঁকে এটা ওটা জানতে চাই। মেয়েটি ধীরে ধীরে সহজ ও স্বাভাবিক হয়ে এলো। আমি প্রশ্ন করলে সে এখন আর চুপ করে থাকে না, উত্তর দেয়। তিন বোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট। পোলার জন্ম না দিয়া মায়ে খালি মাইয়ার জন্ম দেয় দেইখা বাপে পলাইয়া গেছে। মায়ে কাম করার পারে না। একসিডেনে পাও ভাইঙ্গা সারাদিন ঘরে হুইয়া থাকে। বড় দুই ভইন মাইনষের বাড়িত কাম করে।
‘তো তুমি এত ছোট মেয়ে এত ঠাণ্ডার মধ্যে অন্ধকারে ফুল কুড়াতে আসো কেন?’
‘ফুল না টোকাইলে খামু কী?’
দেরি করে এলে অন্য টোকাইরা ফুল কুড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। সাবিনার ভাগে কিছু জোটে না। তাই কনকনে ঠাণ্ডায় কষ্ট হলেও সাবিনাকে অন্ধকার থাকতে থাকতে আসতে হয়। ফুল বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তার নিজের ও মায়ের জন্য খাবার কিনে নিয়ে যায়। খাবার বলতে রুটি আর কলা। ফুল বিক্রির ত্রিশ চল্লিশ টাকায় রুটি আর কলা ছাড়া কী জুটবে? তাও তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া হয় না। কোন কোন দিন ফুল কম পেলে এক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। বড় দুই বোন কোন কোন দিন ওদের জন্য কিছু ভাত তরকারি আনে, কোনদিন কিছুই আনে না।
‘তুমি কোথায় ফুল বিক্রি করো সাবিনা?’

ঢাকায় এরকম গরীব ছেলেমেয়েরা যানজটের সময় নানারকম ফুল, ফুলের তোড়া ও মালা হাতে নিয়ে প্রাইভেট গাড়ির জানালা দিয়ে গাড়ির আরোহীদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু আমাদের এই মফঃস্বল শহরে সেটা হয় না। কারণ এখানে যানজট খুব কম ও ক্ষণস্থায়ী। তা’ ছাড়া এই শহরে প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও অনেক কম। তার ওপর সাবিনা বিক্রি করে শিউলি ফুল, যার ক্রেতা প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে মেয়েটার ফুল বিক্রি হয় কোথায়?
সাবিনা ও তার মতো টোকাইদের ফুলের ক্রেতা হলো কিছু হিন্দু পরিবার। আমাদের এই মহল্লাসহ আশে পাশের কয়েকটি মহল্লায় কিছু হিন্দু পরিবার আছে। তাদের প্রাতঃকালীন পুজার জন্য প্রতিদিন তাজা ফুলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইট কাঠ পাথরের এই নিষ্প্রাণ শহরে তারা ফুল পাবে কোথায়? শহরের ধনী পরিবারগুলো তাদের বাগান বা আঙ্গিনা থেকে একটা ফুলও ছিঁড়তে দেবে না। দোকান থেকে কিনতে গেলে অনেক দাম দিতে হয়। আর সেখানে বাসি ফুল ছাড়া তাজা ফুল পাওয়াও যায় না। তাহলে প্রতিদিন এমন তাজা লা-ওয়ারিশ ফুল পাওয়া যাবে কোথায়? এই হিন্দু পরিবারগুলোর ভরসা হলো সাবিনার মতো মেয়েরা, যারা খুব অল্প দামে সকাল সকাল এদের কাছে তাজা ফুল পৌঁছে দেয়।

আমি গত বছর শীতের পুরো মৌসুম সাবিনার সাথে ফুল কুড়িয়েছি। দু’জন একসাথে কুড়ালে ফুলের পরিমান বেশি হয়। বেশি ফুল পেলে সাবিনার মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু এ বছর মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে সেই প্রাচীর ঘেরা বাড়িটার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে দেখলাম শিউলি ফুলের গাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। সাবিনাকে পাওয়া যাবে না জেনেও বোকার মতো এদিক ওদিক তাকিয়ে ওকে খুঁজলাম। কিন্তু ওকে দেখতে পেলাম না। সঙ্গত কারণে অন্য কোন টোকাইও নেই। মন খারাপ করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মনে হলো মেয়েটার একটু খোঁজ খবর করা দরকার। তার অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা ছিল। হাঁটতে হাঁটতে সেই বস্তির দিকে যাওয়ার সময় পূর্ব আকাশে উদীয়মান সূর্যের রক্তিম মুখ দেখা গেল। আস্তে আস্তে চারদিকে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার পর আমি পৌঁছালাম সেখানে। দেখলাম বস্তির ভেতর ও বাইরে বিপুল পরিমান পুরাতন ছেঁড়া ফাটা পলিথিন বস্তাবন্দী করা হচ্ছে। এগুলো কুড়িয়ে আনা হয়েছে শহরের ডাস্টবিন গুলো থেকে। হয়তো শহরের বাইরে থাকা ভাগাড় থেকেও আনা হয়েছে। বস্তির ভেতর ও বাইরে জীবাণুপূর্ণ ধুলোবালি ও মশা মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। চারদিকে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সদ্য চোখ অপারেশনের রোগী হিসাবে এই পরিবেশ আমার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইনফেকশনের ভয় থাকে। তাই সাবিনাকে পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে আমি দ্রুত সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলাম। ঘণ্টাখানেক হাঁটাহাঁটি করে আমি বাসায় ফেরার পথে সেই প্রাচীর ঘেরা বাড়ির সামনে এসে থমকে দাঁড়ালাম। এই বাড়ির মালিকের সাথে একটু কথা বলা দরকার। যতদূর জানি, এই ভদ্রলোক সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোন একটি প্রজেক্টে চাকরি করেন।

কলিং বেল টেপার কিছুক্ষণ পর তিনি বেরিয়ে এলেন। ‘আরে হেনা ভাই যে!’ হাসিখুশি ভদ্রলোক সোল্লাসে আমার সাথে হাত মিলিয়ে বললেন, ‘আসেন ভাই, ভেতরে আসেন।’ মহল্লার প্রায় সবাই আমাকে চেনেন এবং নামও জানেন। কিন্তু আমি মুখ চিনতে পারলেও অসুস্থতা ও বয়সের কারণে সবার নাম মনে রাখতে পারি না। বাড়ির সামনে লটকানো নেমপ্লেট দেখে বুঝলাম ভদ্রলোকের নাম আনিসুর রহমান। বললাম, ‘আনিসুর ভাই, আপনার সাথে আমার একটু কথা আছে।’
‘বেশ তো। কথা বলবেন। ভেতরে আসুন, চা খেতে খেতে কথা বলা যাবে।’
ভদ্রলোক জোর করে আমাকে তার বাসার ভেতরে নিয়ে গেলেন। ড্রইংরুমে বসে তার সাথে এক কাপ চা খেতেই হবে। কোনদিন তার বাসায় আমি যাইনি, জোরাজুরি করার সম্ভবত এটাই কারণ।

চা খেতে খেতে ভদ্রলোক একটু হেসে বললেন, ‘হেনাভাই, আমার নাম কিন্তু আবদুল আলিম। আনিসুর রহমান আমার ভাড়াটে। দোতলায় থাকে।’
‘ও, তাই নাকি?’ আমি একটু লজ্জাই পেলাম। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমি যে কথা বলতে এসেছি, হড়বড় করে সেটা বলে ফেললাম, ‘আচ্ছা ভাই, আপনি ঐ শিউলি ফুলের গাছটা কেটে ফেললেন কেন?’
‘আর বলবেন না!’ আলিম সাহেব একটু হতাশার সুরে বললেন, ‘কেউ কী শখ করে নিজের গাছ কাটতে চায়, বলুন? মাদ্রাসার বড় হুজুরের কারণে কাটতে হলো।’
‘কী রকম? ঠিক বুঝলাম না।’
আলিম সাহেব একটু থেমে বললেন, ‘গত বছর শীতের সময় গাছে প্রচুর ফুল এসেছিল। আর শিউলি ফুল কেমন তা’ তো আপনি জানেন। ফুল ফোটার পর পরই ঝরে পড়ে। বাউন্ডারির গা ঘেঁষে গাছটা লাগানোর কারণে গাছের অর্ধেক ফুল পড়তো ভেতরে, আর অর্ধেক পড়তো বাইরে। বস্তির ছেলেমেয়েরা এসে বাইরের ফুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতো। আমার অবশ্য এতে কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু হুজুর বললেন গাছটা কেটে ফেলতে।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কেন?’
আলিম সাহেব নিচু স্বরে প্রায় ফিস ফিস করে বললেন, ‘বুঝতে পারছেন না? ওরা ফুলগুলো বিক্রি করতো হিন্দুদের কাছে। হিন্দুরা সেই ফুল দিয়ে নানারকম দেব দেবীর পুজা করতো।’
‘তাতে কী? এই অসহায় গরীব বাচ্চারা ওদের কাছে ফুল না বেচলে কী হিন্দুদের পুজা করা বন্ধ হয়ে যাবে?’
‘আপনি বুঝতে পারছেন না হেনাভাই। ওরা ফুলের যোগান দিয়ে হিন্দুদের মূর্তিপূজায় সহযোগিতা করতো। শেরেকি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করাও শেরেকি। আর আমার লাগানো গাছ থেকে ফুলগুলো এই কুফরি কাজে যেত বলে আমারও গুনাহ হচ্ছিল।’
আমি রেগে গিয়ে বললাম, ‘আপনি নিজেও তাই মনে করেন নাকি?’
‘আমার মনে করা না করায় কী যায় আসে ভাই? আমি তো আর হুজুরের চেয়ে বেশি এলেমদার নই।’
রাগে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললাম আমি। চিৎকার করে বললাম, ‘তাহলে আপনার এই আলিম নামটা পাল্টে ফেলুন। পেটে এক ফোঁটা এলেম নাই, আর নাম রেখেছেন আলিম! ছি ছি ছি।’
রাগে কাঁপতে কাঁপতে আলিম সাহেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি সোজা নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। পথে ধর্মান্ধদের গুষ্টি উদ্ধার করে গালি গালাজ করতে থাকলাম, যা আমি কোনদিন করি না। ভাগ্যিস পথে কেউ ছিল না। থাকলে আমার এই পরিবর্তন দেখে নিশ্চিত সে ভিরমি খেত।

এই ঘটনার তিন দিন পর আমি সাবিনাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। পাড়ার একটি ছেলেকে বস্তিতে পাঠিয়ে তাকে খুঁজে আনা হয়েছিল। মেয়েটি সেই প্রথম দিনের মতো ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। পরনে সেই আমার দেওয়া পুরনো সোয়েটারটা। আমি তার পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে বললাম, ‘তুই এখন কী করিস মা?’
এই একটা ‘মা’ ডাকেই মেয়েটা হাউ মাউ করে কেঁদে ফেললো। কাঁদতে কাঁদতে বললো সে এখন ছেঁড়া পলিথিন কুড়ায়। আমি ওকে আদর করে বাসার ভেতরে এনে খেতে দিলাম, কিছু কাপড় চোপড় ও টাকা পয়সাও দিলাম। অভয় দিয়ে বললাম, ‘তোর যখনই কোন অসুবিধা হবে, আমার কাছে চলে আসবি। ভয় বা লজ্জা করবি না, ঠিক আছে?’

সাবিনা চলে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী আমার কানে কানে বললো, ‘মেয়েটাকে আমাদের বাসায় কাজে রেখে দিলে হয় না? অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কাজের মেয়ে পাচ্ছি না।’
কেন জানি না, আলিম সাহেবের বাসা থেকে আসার পর গত তিন দিন ধরে আমার মন মেজাজ খুব খারাপ ছিল। স্ত্রীর প্রস্তাব শুনে আমার মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বললাম, ‘না।’
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
ছবিঃ নেট
রচনাকালঃ ০৪-১১-২০১৭
******************************************************************************************************************
ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার মানুষের মনুষ্যত্ব ও মানবিক মূল্যবোধকে কিভাবে ভূলুণ্ঠিত করে, সত্য ঘটনাভিত্তিক এই ছোট গল্পে তারই এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এই গল্পটি লেখার পেছনে লেখকের আর কোন উদ্দেশ্য নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×