somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুঁজি স্বাধীনতার স্বাদ

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ স্বাধীনতা দিবস । লাখো কণ্ঠে গাইবে সবাই “আমার সোনার বাংলা”, আমারও ইচ্ছে ছিল আজ আমিও গাইব, কিন্তু সময় সেটা আর দিলো না। আজও অফিস … তাই আমাকেও আমার ডেস্ক এর পাশে দাঁড়িয়ে থেকে গাইতে হবে । আমি জানিনা আমি যখন আমার সোনার বাংলা গাই আমার চোখ দিয়ে কেন যেন জল পড়ে । আমি জানিনা কিসের জন্য সেটা । হয়তো এটা ভেবে যে, আমার দেশের সত্যিকারের মানুষগুলো এখনো স্বাধীন হয়নি । আমার দেশের অগনিত মানুষ এখনো সেই জানোয়ারদের পতাকার প্রতি ভালোবাসা দেখায় খেলার অজুহাত দিয়ে।আমার দেশের কিছু বেজন্মা মানুষ এখনো ভাবে শেখ মুজিব নামের মানুষটি কোন দেশের কোন জাতির “ জাতির পিতা” ? লজ্জা লজ্জা … ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বুলেটটি ছোড়া হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে এস আই শাহজাহান মিয়া এর বন্দুক থেকে । আমার দেশের লাখো মায়ের সতীত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে ওই পাক পতাকার নিচের সেনারা । যখন দেখি সেই পাক পতাকার নিচের খেলোয়াড়গুলোর দেহের আলিঙ্গন চাইছে আমার দেশের কিছু নারী ম্যরি মি আফ্রিদি জার্সি পড়ে তখন ভাবি পাক বাহিনীর নগ্ন হাসি ওরা দেখেনি।এ লজ্জা আমার, এ লজ্জা প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার ।মুক্তিযুদ্ধ কোন বানানো গল্প নয় । আমার দেশের ওই ছেলেগুলো অথবা মেয়েগুলো আজও বুঝেনি খেলার মাঠে তাদের সাপোর্ট দিয়ে পাকিস্তানকে গর্বের সাগরে ভাসাচ্ছে তারা আর পাকিস্তানের প্রতিটি মানুষকে উপলদ্ধি করাচ্ছে সত্যি ১৯৭১ এ পাকিস্তানের হাজার সাপোর্ট ছিল কিন্তু ভারতের কিছু দালাল “ শেখ মুজিব, মুক্তিযোদ্ধারা” পূর্ব পাকিস্তান কে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করেছে । আমরা যারা স্বাধীনতার কথা বলি তারা পাকিস্তানের কাছে হয়েছিলাম ভারতের দালাল।আজ আমরা খেলার মাঠে পাকিস্তানের সাপোর্ট কে যখন না বলানোর চেষ্টা করছি তখন আমাদের কে শুনতে হচ্ছে আমরা ভারতের সাপোর্টার। পাক ভক্তদের যখনই বলা হয় পাক সাপোর্ট করোনা তখনি তারা ভারতের অজুহাত দেখায়। আচ্ছা আপনাদের কি মনে হয় না যে ডি এন এ শব্দটির একটি মারাত্মক ভুমিকা আছে।মানুষের জিন তাঁর পূর্ব পুরুষদের অনেক কিছু বহন করে ? তাহলে আপনারাই বলুন তো ১৯৭১ সালের পাকিস্তান বিরোধী কথা বললেই ভারত এর দালাল,২০১৪ তে পাক খেলার সাপোর্টের বিরুদ্ধে কথা বললে ভারতের সাপোর্টার দুটো জিনিস কি একই সুতায় গাঁথা নয় ?তার মানে তাদের জিনগত কিছু সমস্যা রয়ে গেছে । আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমার দেশের অধিক মানুষ এখনো পাক খেলার সমর্থন দেয় শুধু মাত্র ধর্মের ভাই বলে, এছাড়া আর কোন কারন নেই তাদের সাপোর্ট দেয়ার।পাক আমাদের ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের নোংরামি অথচ সেই পাকদের ভক্ত এই বাংলায় এতো বেশি ? আজও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা কেঁদে ফেলেন তাদের চোখের জলের কি কোন দাম নেই? মুক্তিযুদ্ধের কথা হলে সবাই কেন মুখ বন্ধ করে রাখতে চায় ? ৪২ বছরের ঘা আজও মেটে নাই কেন ? আমাদের দেশের মানুষগুলো কখনো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না। তারা সবসময় নিজের ভালো কিছু করাতো থাক দুরের কথা ভালো কোন কাজের প্রশংসা করতেই পারেনা।নিজের অস্তিত্ব বলে যেই জিনিসটা আছে সেটার বিসর্জন দেয়া ছাড়া আর কিছুই পারেনা।ধর্মের নোংরা দোহাই তাদের কাছে অনেক প্রিয় ।হিন্দুদের মালায়ন বলে গালি দেওয়াটা তাদের কাছে গর্বের বিষয় অথচ একবার ভাবেনা এই বাংলায় অধিকাংশ মানুষের আদি ইতিহাস কি ছিল? আমার দেশের স্বাধীনতা আজ শুধু পেপারের বিজ্ঞাপন আর টিভি চ্যনেল এর অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ ।আমার দেশের স্বাধীনতা মানে বন্ধের দিনে কে এফ সি আর পিজা হাটের আড্ডা। আমি জানিনা স্বাধীনতা দিবসে আজ কয়জন তাঁর মায়ের আঁচল ধরে মায়ের কাছে আকুতি করে একবার বলেছে “ মাগো তোমায় আমি অনেক ভালবাসি” কজন আজ পতাকার দিকে তাকিয়ে সালাম দিয়েছে শ্রদ্ধাভরে?কেও দিক আর না দিক আমার ঘরের ছোট্ট পতাকাটিকে আমি সালাম দিয়ে ক্ষমা চাইছি,আর মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করছি আরও একবার স্বাধীনতার স্বাদ নিতে চাই,চাই আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ ।যেখানে খুজে পাব সত্যিকারের স্বাধীনতা ।
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি”
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×