চীন বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের হাত গুটিয়ে নিয়ে ইন্ডিয়াকে খালি মাঠ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে একক রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য ইন্ডিয়াকে ছাড় দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের নীতি পরিবর্তনের কারণসমূহ:
১.পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, এবং মালদ্বীপকে নিজেদের প্রভাব বলয় নেয়ার মাধ্যমে চীন ইন্ডিয়ার চাইতে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
২. বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইন্ডিয়া খুব স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। এদিকে শ্রীলংকা, নেপাল, এবং মালদ্বীপও হাতছাড়া হয়ে গেছে। ইন্ডিয়ায় যাতে এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি বিচলিত না হয়ে পরে, তার জন্য কিছুটা স্বস্তি দেয়া।
৩. যেখানে কোন লাভ নেই, সেখানে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে অংশ নিতে রাজি নয় চীন। যেমন-মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কোন ভূমিকা নাই অথবা খুব সীমিত।
৪. বর্তমান চীনা সরকারের ভূমি সম্প্রসারণেরও কোন ইচ্ছা নেই।
৫. বাংলাদেশের পরিবর্তে মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক জোরদার করলে চীনের কৌশলগত সুবিধা বেশি। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যায় চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
৬. বাংলাদেশে কৌশলগত উপস্থিতি বাড়ালে মিয়ানমারের সাথে দূরত্ব বাড়তে পারে। বর্তমানে চীন সেটা চায় না।
৭. বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা বর্তমান খুবই অসুবিধাজনক। চীন সেটা এড়িয়ে চলতে চাচ্ছে।
৮. বাংলাদেশের চাইতে ভুটানের দোকলাম করিডোর চীনের কাছে বেশি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে।
৯. চীনের কাছে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে কৌশলগত ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা বাণিজ্যের বাইরে বাংলাদেশে অন্য কোন ধরনের উপস্থিতি চীন বাড়াতে চাচ্ছে না।
১০. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতায় চীন ইন্ডিয়ার সাথে জিতে গেছে। বাংলাদেশ কিভাবে ব্যবসা করতে হয় তাও তাদের জানা হয়ে গেছে। অবকাঠামো খাতে স্বল্প বিনিয়োগ করে কি ভাবে টাকা ভাগ করে নিতে হয় তা তাদের জানা হয়ে গেছে। তাই সামরিক কৌশল গত দিকে ইন্ডিয়াকে ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু মুনাফা লুটে নেবে।
আওয়ামীলীগের খুশি হওয়ার কারণ---
ইন্ডিয়া চাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। অন্তত ২০৪২ সাল পর্যন্ত, যা সুষমা স্বরাজ বলেছেন।
ইন্ডিয়ার খুশি হওয়ার কারণ--
বাংলাদেশ বিষয়টা দেখাশুনা করা এখন তাদের জন্য খুব সহজ হয়ে গেছে। খুব কষ্ট করতে হবে না।