নিজের রিপোর্টারের কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন যেতে হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আর অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রতিদিন একটা নয় একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে হয়। প্রায় দিনে নতুন নতুন অবাক করার মত কথা শুনে হাসি আর অবাক হই। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর একটু বেশি অবাক ও হেসে পেলেছি। ২০ সেপ্টেম্বর ছিল আমাদের কলেজের প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের গ্রাচুয়েটি/ সম্মানী প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে হিন্দু মুসলিম শিক্ষকরা অবাক করার মত কথা বলছে। কিন্তু সর্বশেষ এমন একজন শিক্ষক বক্তব্য রাখলো অবাক করার মত । যে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মুখ দিয়ে কিভাবে এগুলো আসে? মুখ দিয়ে আসা বড় কথা নয়, আসতেও পারে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করে। জানিনা তিনি সত্য বলেছে কিনা। কিন্তু আমার কাছে ১০০০% মনে হচ্ছে স্যার মিথ্যা বলছে।
তিনি মোট তিনটা কথা বলেছেঃ
সেগুলো হলোঃ
১. মৃত সন্তান তিনদিন পর জীবিতঃ আপনারা কি বিশ্বাস করবেন কখনো যে মতৃ ব্যাক্তি জীবিত হয়ে যায়। স্যার বললেন, ওনার ছেলে যখন কাশ থ্রি তে পড়ে তখন নাকি ওনার ছেলে পেয়ারা গাছ থেকে পড়ে যায়। এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে মারা যায়। অনেকে অনেক বার বলেছে ওনার সন্তান মারা গেছে, কষ্ট করে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগবেনা। কিন্তু স্যার আশা ছাড়েনি যে তার ছেলে মারা গেছে। তিনদিন তিন রাত হাসপাতালের বাইরে রেখেছে। তিনদিন পর মৃত সন্তান জেগে উঠে। তিনদিন মৃত! এটা একটু বেশি বলে পেলেছে। তিনদিন মৃত মানুষ কিভাবে খোলা হাওয়ায় টাটকা থাকে।
২. একবার ওনার স্ত্রীর সারা শরীর গা হয়ে যায় চর্মরোগে কিন্তু কোন ডাক্তার ভালো করতে পারেনি। ওনার কাছে থাকা ছোট্ট একটা কোরআনের লিখা পাতা, যেখানে লিখা আছে, বিসমিল্লাহ হির রাহ মানের রাহিম,- লাইলাহা ইল্লেললাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লেল্লাহ। এই লাইনদুইটি পথে ফু দেওয়ার সাথে সাথে ওনার শরীর ভালো হয়ে গেছে।
৩. একটা লকার। তার নিছে উপরের উক্ত ছোট দুইটি লাইনের কোরআনের পৃষ্ঠা। রাখা হয়েছে টাকার বান্ডেল। যেখান থেকে ১০ বছর খরচ করেও টাকা কমাতে পারেনি।
৪. বিশাল আকাশ, কোন প্রকার খুটি সাড়া রাখা হয়েছে।