ষ্টেশন ছেড়ে দিনের শেষ ট্রেন চলে গেলে
যে শুনশান নিরবতাটুকু পড়ে থাকে
তোমার দু'চোখে তার রেশ ভেসে ওঠে অবাধ
অসংখ্য স্মৃতির নক্সায়; চাঁদমুখে জমেছে অজস্র
কুঁচিকুঁচি ভাঁজ বয়সের প্রবল চাপে।
চোখের কোঠরে চেয়ে আছে
অক্লান্ত নির্ঘুম রাতের নিঃসঙ্গতা
শীতের হুহু বাতাসে শিউরে ওঠে
বুক; অন্ধকারের প্রতিচ্ছায়ায় কাকে খোঁজো
আজ এই বিলুপ্ত ভিটামাটির বিচ্ছিন্নতার ভিতর।
কেনো আজও কান পেতে বসে থাকো সেই
সুরেলা বাঁশির আঙ্খাকায়; এই ভুতুমের দেশে।
বিমুর্ষ চাদর মুড়ে তসবিহ দানার ফাঁকে
তোমার দু'ফোঁটা তপ্ত জলের বিরহ; হাতছানি দেয়
পুরানো কালের চাকায়। অতীতের অজস্র রাত্রিকে
তুমিই দিয়েছো বির্সজন, আয়েশের প্রহর পাশে রেখে
কী আনন্দযন্ত্রনায় লালন করেছো আমাকে;
দিয়েছো জীবন, আলোর দিশারী। অবচেনায়
অবাক ভাবান্তর এসে প্রশ্ন করে আজ;
কতটা নির্ঘুম রাত এভাবে কাটালে
মা, জননী হওয়া যায়!
মাঝে মাঝে তোমার সেই গল্পের বিষণ্ণ অনুচ্ছেদে
ভেসে ওঠে শৈশবের তেপান্তরের মাঠ;
শূন্যতা উড়িয়ে এক ধবল ঘোড়ার পিঠে চড়ে
কে যেন এসে, হঠাৎ খুলে দেয় আজ
গচ্ছিত ক্রন্দনের সিন্দুক।
শিমুলতুলোর চুল তোমার, তুলতুলে মুখ;
নক্ষত্রের রঙ মেখে বসে থাকো দিবারাত্রিকাল।
ভুলোঝড়ে মুছে গেছে স্নায়ুর সংযোজক
মনঘরে চৈত্রখরা; কোথাও স্মৃতি নেই, কেবলই ভীতি।
চারিদিকে হৈ-হৈ রৈ-রৈ, আমরা মুখরা;
অগাথ দিয়েছো তুমি;
কী দিবো ফিরিয়ে তোমার
কিছুতো বাকী রয়ে যায়, অমূল্য রতন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




