somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সহজেই যেনে নিন ওয়েব সাইট কি?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্যবসার আকার ছোট হোক আর বড় হোক। এখন এমন একটা সময় যে ওয়েব সাইট বাধ্যতামূলক। অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের মত দেশে ওয়েব সাইটের দরকার হয় না। কিন্তু আমি বলব না, ওয়েব সাইট দরকার হয়। ওয়েব সাইট থাকার যে কত সুবিধা তা বলে শেষ করার মত না। মাইক্রোসফটের মত কম্পানির ওয়েব সাইট থাকাতে যতটুকু সুবিধা, ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টের নিজের একটা সাইট থাকাতেও কিন্তু প্রায় সমান সুবিধা। সম্পূর্ণ বিষয় হল কমিউনিকেশন। ধরে নিন আমি কোন ভাবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানি না। এমনকি এটাও জানি না যে আপনা প্রতিষ্ঠান ঢাকার কোথায় আছে। এখন আমি কি করব? ঢাকার প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গিয়ে মানুষের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম বলে খুজে বেড়াব? নাকি গুগলে সার্চ দিব? প্রথমটি করলে আপনি আমাকে ডাম্ব বলবেন নিশ্চিত। কিন্তু এখন চিন্তা করেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যদি ওয়েব সাইট নাই থাকে, তাহলে আমি কি করতে পারি? আমার মনে হয় প্রতি ১ কোটি লোকের মধ্যে একজনও আপনাকে ঐ ভাবে খুজে বেড়াবে না। সুতরাং ওয়েব সাইট দারকার। ঠিক এই ভাবেই হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যায়।

যাই হোক। আসল কথায় আসি। ওয়েব সাইট দরকার বুঝলাম, কিন্তু কি কি লাগবে? সেটা জানতে হলে পুরো লেখাটা পড়তে হবে। লেখাটা একটু বড় মনে হতে পারে, কিন্তু কাজের জন্য অবশ্যই পড়তে হবে। অনুরোধ থাকবে পড়লে পুরাটা পড়েন, না পড়লে পড়েন না। কারণ আমি ভাল কোন লেখক নই, লেখা এখনও গুছিয়ে উঠতে পারি না, এমন এমন যায়গায় দরকারী কথা বলে ফেলি যে আপনি একটু একটু করে পড়লে তা মিস করতে পারেন।

প্রথমেই লাগবে একটি ডোমেইন। আর সাথে লাগবে হোস্টিং। তারপর আসবে ডিজাইনের বিষয়। এক এক করে সব বলি। প্রশ্ন আসতে পারে ডোমেইন কি। সোজা উত্তর অনলাইনে আপনার ওয়েব সাইটের এড্রেসটাই হল আপনার ডোমেইন। আপনি যেমন ব্রাউজারে http://www.facebook.com লিখেন, এটা একটা ডোমেইন। আর হোস্টিং হল একটা ওয়েব সাইটে যা যা দেখতে পান, তা কোন না কোন কম্পিউটারে রাখা, আর ঐ কম্পিউটারের হার্ডডিস্কটাকেই বলা হয় আপনার হোস্টিং। আর ডিজাইন নিয়ে কিছু বলার আছে বলে মনে করিনা।

ডোমেইন কিনতে কি কি মাথায় রাখতে হবে: ডোমেইন একটি ওয়েব সাইটের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ডোমেইন নেবার সময় আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনিষ মাথায় রাখতে হবে। আসেন লিষ্ট আকারে দেখি।
১. নাম: ডোমেইন নামটা অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। যাতে করে সহজে সবাই মনে রাখতে পারে। এমন একটা নাম চয়েজ করবেন না যাতে ব্যবহারকারীর বানান মনে রাখতে গেলে নিজের নাম ভুলে যায় অবস্থা হয়। যদিও এটি আপনার প্রতিষ্ঠান নির্ভর হবে। আর অনেক সময় বাংলা নামের ইংরেজী বানান করতে গেলে সমস্যা হয়, তখন অন্তত ১০-২০ জনকে দিয়ে তারা কি বানান লিখে সেটা দেখেন। যেমন বাংলা “তোমাকে” কথাটাই ইংরেজীতে অনেকে tomake আবার অনেকে tomaka লিখে। কিন্তু আপনার ফোনেটিকসের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আরও একটি বিষয় থাকে ডোমেইন কেনার সময়, সেটা হল খুব সম্ভবনা থাকবে যে আপনি আপনার কাঙ্খিত ডোমেইন পাবেন না। এক্ষেত্রে আমার নিজের বিজনেস সাইটের কথাই বলি, আমার খুব ইচ্ছা ছিল বিজনেস সাইটের নাম দিব eicon কিন্তু ডোমেইন নিতে গিয়ে দেখি এটি কেউ একজন কিনি নিয়েছেন। তাই অগ্যতা আমাকে নিতে হল Eicon BD (http://www.eiconbd.com)। এখানে অনেকে হয়ত বলবেন যে www.eiconbd.com অর্থাৎ একটি ড্যাস ব্যবহার করলেইতো হত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি না করতে। কারণ বেশির ভাগ মানুষই এই ড্যাস মনে রাখতে পারে না। যার কারনে আপনা এড্রেসে আসার পরিবর্তে অন্য সাইটে চলে যেতে পারে। যেমন প্রথম আলোর ওয়েব সাইটের কথাই ধরা যাক। তাদের এড্রেস Prothom-alo এটার এলেক্সা র‍্যাঙ্কিং বাংলাদেশে ৭। কিন্তু Prothomalo নামটার র‍্যাঙ্কিং কিন্তু ২০০০+ যা অনেক ওয়েব সাইট চিন্তাও করতে পারেনা। যার র‍্যাঙ্কিং যত ছোট সংখ্যা, তার কিন্তু তত ভাল অবস্থান। অনেকে হয়তে বলবেন ২০০০+ তো অনেক। কিন্তু একটু চিন্তা করুন। প্রতিদিন কত ভিজিটর ভুলে ঐ সাইটে চলে যায়। আবার একটা হাস্যকর বিষয় দেখেন, প্রথম আলোর যারা নিয়মিত পাঠক, তারা ইলেক্ট্রনিক ভার্সনের জন্য ভিজিট করবে eprothom-alo.com এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ইলেক্ট্রনিক ভার্সনের জন্য ঠিক করেছেন eprothomalo.com বুঝেন অবস্থা। এর কুফল কি তা আমি প্রায় ৪-৫ মাস ভোগ করেছি। যতবারই ভিজট করি, ততবারই বলে যে Forbidden। প্রায় ৪/৫ মাস পর আবিস্কার করলাম যে সমস্যাটা কোথায়।

আবার আমার যেই ডোমেইনটার কথা বলছিলাম, সেটি কিন্তু একেবারে শেষে একটি বিডি লাগিয়ে চালান হচ্ছে (eiconbd.com)। এটির সুবিধা হল অনেক ডোমেইন সহজেই পাওয়া যায়, যেহেতু বিদেশীরা এই বিডি দিয়েতো আর ব্যবহার করবে না। কিন্তু সমস্যাটাও ঠিক এখানে, যখনই আপনি বিডি আনছেন, বিষয়টা কিছুটা আবার দেশ কেন্দ্রিক হয়ে যায়। যদিও এখন এই যুগে সেটা আর সমস্যাই না। সেটা আর এক বড় ইতিহাস!

২. ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল: কেন লাগবে? করণ খুবই ছোট। ১. যদি আপনি হোস্টিং কম্পানি চেইঞ্জ করতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে নেম সার্ভার চেইঞ্জ করতে হবে, আর তার জন্য ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল মাস্ট। ২. যদি কখনও ফিল করেন যে আপনি ডোমেইন প্রোভাইডার কম্পানি চেইঞ্জ করবেন, তাহলে লাগবেই লাগবে। এখানে উল্লেখ্য হল মাস্ট এবং লাগবেই লাগবে কথা দুটি। প্রথমটি থেকে পরেরটি জরুরী। ডোমেইন ট্রান্সফারের জন্য লাগে অথেন্টিকেশন কি, যেটা আপনার কন্ট্রোল প্যানেল থেকেই পেতে পারবেন।
আবার উল্লেখ্য যে আমরা এখানে শুধু ডোমেইন নিয়ে কথা বলছি, হোস্টিং নিয়ে নয়, সুতরাং তার মানে দাড়ায়, ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল এবং হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল আলাদা। আপনার নিজের ডোমেইন হোস্টিং নেবার সময় এটি অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই নিয়ে নিবেন। চারবার কেন অবশ্যই লিখলাম তা বুঝবেন এখনই।

যেহেতু আগেই বলেছি আপনার হাতে যদি আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল না থাকে তবে ট্রান্সফার করতে পারবেন না। পারবেন না বলা ভুল, আসলে ট্রান্সফার করতে হলে প্রোভাইডারের কাছে দৌড়াতেই হবে। আর বাংলাদেশে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় প্রোভাইডর এটা করতেই দেন না, কারণ দিলেই তার সব কর্তৃত্ব শেষ। কি হতে পারে? ধরেন আপনার একটি ডোমেইন আছে, যার ডেইলি ভিজিটর ৫০০০, নিশ্চই এই পরিমান ভিজিটর আপনি একদিনে গড়েন নি। কিন্তু আপনার প্রোভাইডার এটার লোভ সামলাতে পারলেন না, এবং আপনাকে পরবর্তিতে ডোমেইন দিলেন না, হাজারটা কারণ দেখালেন। তখন কি করবেন? কিছুই করার নাই। প্রশ্ন করতে পরেন যে আসলেই কি এমন হয়? আমি বলব অবশ্যই হয়, আমার মোট ক্লায়েন্টের প্রায় ৭% লোক এই সমস্যার করনেই এখন আমার কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছেন। তাদের সবার একই অভিযোগ। আরও একটা কারণ বলি, ধরেন আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রোভাইডার একই বেক্তি, এখন দেখলেন যে উনার হোস্টিং সার্ভিস ভাল না, তখন আপনি যদি হোস্টিং চেইঞ্জ করতে চান, তা হলেও আপনার কন্ট্রোল প্যানেল লাগবে। সুতরাং যদি আপনার একটি ওয়েব সাইট থেকে থাকে, বা নিতে চান, তবে অবশ্যই অবশ্যই কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে নিন। নাহলে বিপদ যে কোন সময় হতে পারে।

৩. দাম দাম দাম: ফ্রি এবং কম দামী পন্যের জন্য আমাদের দরদ যে কতটা উতলে পড়ে তা বলার অবকাশ রাখে না। তবে মনেই থাকে না যে এই উতলে পড়া দরদ যখন চুলার আগুনের মধ্যে পড়ে, তখন সেই আগুনকেই তা নিভিয়ে ফেলে, আর তারপর দরদের ছিটেফোটা টুকুও থাকে না। উপরের লেখায় এই পর্যন্ত খুব করে বাংলাদেশীদের দোষ দেখান হল। কিন্তু না, শুধু বাংলাদেশীরাই না, পৃথিবীর প্রায় সব খানেই এই ধরনের সমস্যা আছে। যেমন বলি ইয়াহুর কথা। ইয়াহুর মত কম্পানি যদি মানুষের সাথে উল্টা পাল্টা করতে পারে, তবে আমরাতো ছোট মানুষ। ইয়াহোর স্মল বিজনেস সাইটে ওরা ডোমেইন বিক্রি করে। দেখেন তার অবস্থা। http://smallbusiness.yahoo.com/domains/pricing এখানে একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এরা ৯.৯৫ ডলারে ডোমেইন বিক্রি করছে, সমস্যা কোথায়? একটু নিচে তাকান, একটা কথা লেখা আছে, After term expires: $34.95/year মানে কি দাঁড়াল? মানে দাড়াল আপনি যদি এক বছর থেকে পাঁচ বছরের জন্য কিনেন, তবে তার পর থেকে আপনাকে ঐ ডোমেইনের জন্য দিতে হবে ৩৪.৯৫ ডলার করে। বুঝেন অবস্থা, আমি ডোমেইন বিক্রি করি ১১ ডলারে, এখনও যেই দাম, ১০ বছর পরেও সেই দাম (যদি কিনা ভেরি সাইন দাম বাড়ায় আর কি)। কিন্তু ইয়াহু? ইয়াহু আরও একটা কাজ করে, সেটা হল বছরে দুইবার তারা এই ডোমেইন গুলিই বিক্রি করে ৩ ডলারে, কিন্তু বছর শেষ হলেই....। অনেকেই ডোমেই এর দাম ৫০০-৬০০ টাকা দেখেই টাস্কিত হন, তারা দৌড়ান ঐখানেই, কিছুই চিন্তুা করেন না। এখন থেকে একটু ভাববেন আশাকরি। আর হ্যাঁ আবারও বলছি, ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল ছাড়া ডোমেইন ফ্রিতে দিলেও নিবেন না।



হোস্টিং কিনতে কি কি মাথায় রাখতে হবে: এবার আসেন দেখি হোস্টিং কেনার সময় কি কি মাথায় রাখতে হবে। ব্যবসার আকার ছোট হোক আর বড় হোক। এখন এমন একটা সময় যে ওয়েব সাইট বাধ্যতামূলক। অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের মত দেশে ওয়েব সাইটের দরকার হয় না। কিন্তু আমি বলব না, ওয়েব সাইট দরকার হয়। ওয়েব সাইট থাকার যে কত সুবিধা তা বলে শেষ করার মত না। মাইক্রোসফটের মত কম্পানির ওয়েব সাইট থাকাতে যতটুকু সুবিধা, ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টের নিজের একটা সাইট থাকাতেও কিন্তু প্রায় সমান সুবিধা। সম্পূর্ণ বিষয় হল কমিউনিকেশন। ধরে নিন আমি কোন ভাবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানি না। এমনকি এটাও জানি না যে আপনা প্রতিষ্ঠান ঢাকার কোথায় আছে। এখন আমি কি করব? ঢাকার প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গিয়ে মানুষের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম বলে খুজে বেড়াব? নাকি গুগলে সার্চ দিব? প্রথমটি করলে আপনি আমাকে ডাম্ব বলবেন নিশ্চিত। কিন্তু এখন চিন্তা করেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যদি ওয়েব সাইট নাই থাকে, তাহলে আমি কি করতে পারি? আমার মনে হয় প্রতি ১ কোটি লোকের মধ্যে একজনও আপনাকে ঐ ভাবে খুজে বেড়াবে না। সুতরাং ওয়েব সাইট দারকার। ঠিক এই ভাবেই হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যায়।

যাই হোক। আসল কথায় আসি। ওয়েব সাইট দরকার বুঝলাম, কিন্তু কি কি লাগবে? সেটা জানতে হলে পুরো লেখাটা পড়তে হবে। লেখাটা একটু বড় মনে হতে পারে, কিন্তু কাজের জন্য অবশ্যই পড়তে হবে। অনুরোধ থাকবে পড়লে পুরাটা পড়েন, না পড়লে পড়েন না। কারণ আমি ভাল কোন লেখক নই, লেখা এখনও গুছিয়ে উঠতে পারি না, এমন এমন যায়গায় দরকারী কথা বলে ফেলি যে আপনি একটু একটু করে পড়লে তা মিস করতে পারেন।

প্রথমেই লাগবে একটি ডোমেইন। আর সাথে লাগবে হোস্টিং। তারপর আসবে ডিজাইনের বিষয়। এক এক করে সব বলি। প্রশ্ন আসতে পারে ডোমেইন কি। সোজা উত্তর অনলাইনে আপনার ওয়েব সাইটের এড্রেসটাই হল আপনার ডোমেইন। আপনি যেমন ব্রাউজারে http://www.facebook.com লিখেন, এটা একটা ডোমেইন। আর হোস্টিং হল একটা ওয়েব সাইটে যা যা দেখতে পান, তা কোন না কোন কম্পিউটারে রাখা, আর ঐ কম্পিউটারের হার্ডডিস্কটাকেই বলা হয় আপনার হোস্টিং। আর ডিজাইন নিয়ে কিছু বলার আছে বলে মনে করিনা।

ডোমেইন কিনতে কি কি মাথায় রাখতে হবে: ডোমেইন একটি ওয়েব সাইটের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ডোমেইন নেবার সময় আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনিষ মাথায় রাখতে হবে। আসেন লিষ্ট আকারে দেখি।
১. নাম: ডোমেইন নামটা অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। যাতে করে সহজে সবাই মনে রাখতে পারে। এমন একটা নাম চয়েজ করবেন না যাতে ব্যবহারকারীর বানান মনে রাখতে গেলে নিজের নাম ভুলে যায় অবস্থা হয়। যদিও এটি আপনার প্রতিষ্ঠান নির্ভর হবে। আর অনেক সময় বাংলা নামের ইংরেজী বানান করতে গেলে সমস্যা হয়, তখন অন্তত ১০-২০ জনকে দিয়ে তারা কি বানান লিখে সেটা দেখেন। যেমন বাংলা “তোমাকে” কথাটাই ইংরেজীতে অনেকে tomake আবার অনেকে tomaka লিখে। কিন্তু আপনার ফোনেটিকসের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আরও একটি বিষয় থাকে ডোমেইন কেনার সময়, সেটা হল খুব সম্ভবনা থাকবে যে আপনি আপনার কাঙ্খিত ডোমেইন পাবেন না। এক্ষেত্রে আমার নিজের বিজনেস সাইটের কথাই বলি, আমার খুব ইচ্ছা ছিল বিজনেস সাইটের নাম দিব eicon কিন্তু ডোমেইন নিতে গিয়ে দেখি এটি কেউ একজন কিনি নিয়েছেন। তাই অগ্যতা আমাকে নিতে হল Eicon BD (http://www.eiconbd.com)। এখানে অনেকে হয়ত বলবেন যে http://www.eiconbd.com অর্থাৎ একটি ড্যাস ব্যবহার করলেইতো হত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি না করতে। কারণ বেশির ভাগ মানুষই এই ড্যাস মনে রাখতে পারে না। যার কারনে আপনা এড্রেসে আসার পরিবর্তে অন্য সাইটে চলে যেতে পারে। যেমন প্রথম আলোর ওয়েব সাইটের কথাই ধরা যাক। তাদের এড্রেস Prothom-alo এটার এলেক্সা র‍্যাঙ্কিং বাংলাদেশে ৭। কিন্তু Prothomalo নামটার র‍্যাঙ্কিং কিন্তু ২০০০+ যা অনেক ওয়েব সাইট চিন্তাও করতে পারেনা। যার র‍্যাঙ্কিং যত ছোট সংখ্যা, তার কিন্তু তত ভাল অবস্থান। অনেকে হয়তে বলবেন ২০০০+ তো অনেক। কিন্তু একটু চিন্তা করুন। প্রতিদিন কত ভিজিটর ভুলে ঐ সাইটে চলে যায়। আবার একটা হাস্যকর বিষয় দেখেন, প্রথম আলোর যারা নিয়মিত পাঠক, তারা ইলেক্ট্রনিক ভার্সনের জন্য ভিজিট করবে eprothom-alo.com এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ইলেক্ট্রনিক ভার্সনের জন্য ঠিক করেছেন eprothomalo.com বুঝেন অবস্থা। এর কুফল কি তা আমি প্রায় ৪-৫ মাস ভোগ করেছি। যতবারই ভিজট করি, ততবারই বলে যে Forbidden। প্রায় ৪/৫ মাস পর আবিস্কার করলাম যে সমস্যাটা কোথায়।

আবার আমার যেই ডোমেইনটার কথা বলছিলাম, সেটি কিন্তু একেবারে শেষে একটি বিডি লাগিয়ে চালান হচ্ছে (eiconbd.com)। এটির সুবিধা হল অনেক ডোমেইন সহজেই পাওয়া যায়, যেহেতু বিদেশীরা এই বিডি দিয়েতো আর ব্যবহার করবে না। কিন্তু সমস্যাটাও ঠিক এখানে, যখনই আপনি বিডি আনছেন, বিষয়টা কিছুটা আবার দেশ কেন্দ্রিক হয়ে যায়। যদিও এখন এই যুগে সেটা আর সমস্যাই না। সেটা আর এক বড় ইতিহাস!

২. ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল: কেন লাগবে? করণ খুবই ছোট। ১. যদি আপনি হোস্টিং কম্পানি চেইঞ্জ করতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে নেম সার্ভার চেইঞ্জ করতে হবে, আর তার জন্য ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল মাস্ট। ২. যদি কখনও ফিল করেন যে আপনি ডোমেইন প্রোভাইডার কম্পানি চেইঞ্জ করবেন, তাহলে লাগবেই লাগবে। এখানে উল্লেখ্য হল মাস্ট এবং লাগবেই লাগবে কথা দুটি। প্রথমটি থেকে পরেরটি জরুরী। ডোমেইন ট্রান্সফারের জন্য লাগে অথেন্টিকেশন কি, যেটা আপনার কন্ট্রোল প্যানেল থেকেই পেতে পারবেন।
আবার উল্লেখ্য যে আমরা এখানে শুধু ডোমেইন নিয়ে কথা বলছি, হোস্টিং নিয়ে নয়, সুতরাং তার মানে দাড়ায়, ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল এবং হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল আলাদা। আপনার নিজের ডোমেইন হোস্টিং নেবার সময় এটি অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই নিয়ে নিবেন। চারবার কেন অবশ্যই লিখলাম তা বুঝবেন এখনই।

যেহেতু আগেই বলেছি আপনার হাতে যদি আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল না থাকে তবে ট্রান্সফার করতে পারবেন না। পারবেন না বলা ভুল, আসলে ট্রান্সফার করতে হলে প্রোভাইডারের কাছে দৌড়াতেই হবে। আর বাংলাদেশে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় প্রোভাইডর এটা করতেই দেন না, কারণ দিলেই তার সব কর্তৃত্ব শেষ। কি হতে পারে? ধরেন আপনার একটি ডোমেইন আছে, যার ডেইলি ভিজিটর ৫০০০, নিশ্চই এই পরিমান ভিজিটর আপনি একদিনে গড়েন নি। কিন্তু আপনার প্রোভাইডার এটার লোভ সামলাতে পারলেন না, এবং আপনাকে পরবর্তিতে ডোমেইন দিলেন না, হাজারটা কারণ দেখালেন। তখন কি করবেন? কিছুই করার নাই। প্রশ্ন করতে পরেন যে আসলেই কি এমন হয়? আমি বলব অবশ্যই হয়, আমার মোট ক্লায়েন্টের প্রায় ৭% লোক এই সমস্যার করনেই এখন আমার কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছেন। তাদের সবার একই অভিযোগ। আরও একটা কারণ বলি, ধরেন আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রোভাইডার একই বেক্তি, এখন দেখলেন যে উনার হোস্টিং সার্ভিস ভাল না, তখন আপনি যদি হোস্টিং চেইঞ্জ করতে চান, তা হলেও আপনার কন্ট্রোল প্যানেল লাগবে। সুতরাং যদি আপনার একটি ওয়েব সাইট থেকে থাকে, বা নিতে চান, তবে অবশ্যই অবশ্যই কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে নিন। নাহলে বিপদ যে কোন সময় হতে পারে।

৩. দাম দাম দাম: ফ্রি এবং কম দামী পন্যের জন্য আমাদের দরদ যে কতটা উতলে পড়ে তা বলার অবকাশ রাখে না। তবে মনেই থাকে না যে এই উতলে পড়া দরদ যখন চুলার আগুনের মধ্যে পড়ে, তখন সেই আগুনকেই তা নিভিয়ে ফেলে, আর তারপর দরদের ছিটেফোটা টুকুও থাকে না। উপরের লেখায় এই পর্যন্ত খুব করে বাংলাদেশীদের দোষ দেখান হল। কিন্তু না, শুধু বাংলাদেশীরাই না, পৃথিবীর প্রায় সব খানেই এই ধরনের সমস্যা আছে। যেমন বলি ইয়াহুর কথা। ইয়াহুর মত কম্পানি যদি মানুষের সাথে উল্টা পাল্টা করতে পারে, তবে আমরাতো ছোট মানুষ। ইয়াহোর স্মল বিজনেস সাইটে ওরা ডোমেইন বিক্রি করে। দেখেন তার অবস্থা। http://smallbusiness.yahoo.com/domains/pricing এখানে একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এরা ৯.৯৫ ডলারে ডোমেইন বিক্রি করছে, সমস্যা কোথায়? একটু নিচে তাকান, একটা কথা লেখা আছে, After term expires: $34.95/year মানে কি দাঁড়াল? মানে দাড়াল আপনি যদি এক বছর থেকে পাঁচ বছরের জন্য কিনেন, তবে তার পর থেকে আপনাকে ঐ ডোমেইনের জন্য দিতে হবে ৩৪.৯৫ ডলার করে। বুঝেন অবস্থা, আমি ডোমেইন বিক্রি করি ১১ ডলারে, এখনও যেই দাম, ১০ বছর পরেও সেই দাম (যদি কিনা ভেরি সাইন দাম বাড়ায় আর কি)। কিন্তু ইয়াহু? ইয়াহু আরও একটা কাজ করে, সেটা হল বছরে দুইবার তারা এই ডোমেইন গুলিই বিক্রি করে ৩ ডলারে, কিন্তু বছর শেষ হলেই....। অনেকেই ডোমেই এর দাম ৫০০-৬০০ টাকা দেখেই টাস্কিত হন, তারা দৌড়ান ঐখানেই, কিছুই চিন্তুা করেন না। এখন থেকে একটু ভাববেন আশাকরি। আর হ্যাঁ আবারও বলছি, ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল ছাড়া ডোমেইন ফ্রিতে দিলেও নিবেন না।

হোস্টিং কিনতে কি কি মাথায় রাখতে হবে: এবার আসেন দেখি হোস্টিং কেনার সময় কি কি মাথায় রাখতে হবে। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ব্লগ থেকে
আর

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×