এই একটি প্রশ্ন মোটামুটি সকলের কাছেই ঘুরপাক খাচ্ছে।আমারও একই অবস্থা খুবই আগ্রহ জানার কেন ওই লাদান বাচ্চা গুলান
ওখানে গিয়েছিল। প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম হয়ত এই নতুন প্রজন্মে গুহার ভিতরে কোনো স্টিডিয়াম বানানো হয়েছে ।পরে কিছুটা
আচ করতে পারলাম না ঘটনা অন্য রকম এক কথায় যা বুঝলাম সেটা হল বাঘের কাছ থেকে বাঁচতে গিয়ে কুমির কাছে জীবনকে সুপে দেয়া।বিবিসি বলছেন কিশোর ছেলেরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে সকাল দশটার দিকে ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিল। তারপর তাদের
সহকারী কোচ একাপোল ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে।থাম লুয়াং-খুনাম নাঙ্গনন
ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী দুপুর তিনটার দিকে লক্ষ্য করেন যে গুহার প্রবেশ-মুখের সামনে ১১টি সাইকেল রাখা আছে।
তখন তারা অনুসন্ধান করতে শুরু করেন। তারপর ওই কিশোরদের একজনের পিতামাতাও ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তাদের
জানান যে তারাও তাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না।পরদিন ২৪ জুন শনিবার পার হয়ে রবিবার সকাল
একটা থেকে তাদের খোঁজার কাজ শুরু হয়। শনিবার রাতে সেখানকার পুলিশকে বাচ্চাদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অবহিত
করার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, প্র্যাকটিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলের দলের একজন
সদস্যের জন্যে সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।ওই দলের একজন সদস্য যে বাকি বাচ্চাদের সঙ্গে গুহার ভেতরে যায়নি, তিনি জানান যে এর আগেও তারা আরো তিনবার গুহার ভেতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির মৌসুমে কখনো তারা গুহার ভেতরে যায়নি।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ফুটবল দলটি গুহার ভেতরে ঢোকার পর থেকেই প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয় আর সেখানে জমে যাওয়া জঙ্গলের পানিও ঢুকে যায় গুহার ভেতরে আর পানি এতই বেড়ে যায় যে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গুহায় প্রবেশের মুখ।আর সে জন্য গুহার ভেতরে পানির উচ্চতা খুব দ্রুত বেড়ে গেলে কোচসহ সেই কিশোর ফুটবলাররা ভেতরে আটকা পড়ে যান। আরো উঁচু জায়গা খুঁজতে খুঁজতে তারা চলে যান গুহার অনেক গভীরে। এই থাম লুয়াং গুহা ১০,৩১৬ মিটার লম্বা এবং থাইল্যান্ডে যতো গুহা আছে দৈর্ঘ্যের বিচারে এটি হল চতুর্থ অবস্থানে।৭ই জুলাই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে উদ্ধারকারী গুহার ওপরের পাহাড়ে এমন একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন যা দিয়ে বাচ্চারা যেখানে আছে সেখানে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। তখন নতুন করে আশার সৃষ্টি হয় যে বাচ্চাদের হয়তো এই সুড়ঙ্গ দিয়ে বের করে আনা সম্ভব হতে পারে।
ইতিমধ্যে আটকা পড়া মোট ১৩ জনের মধ্যে মোট আটজনকে বের করে আনা হয়েছে। এরপর অভিযান বিরত রাখা হয়েছে।
রবিবার চার জনকে উদ্ধার করা হয়। যারা সবাই এখন হাসপাতালে রয়েছে তবে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানানো হয়। তারপর উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১০ ঘন্টার একটিা লম্বা বিরতি দেওয়া হয়েছিল। তারপর সোমবার আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুহা থেকে অষ্টম কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড ঘটনাস্থল থেকে জানান একটি পুলিশ হেলিকপ্টার উদ্ধারকৃত একজনকে নিয়ে দক্ষিণ দিকে উড়ে গেছে।চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহাটিতে দুই সপ্তাহেরও বেশি দিন ধরে ১২ জন ক্ষুদে কিশোর ফুটবলার এবং তাদের ফুটবল কোচ সহ আটকে পরে ছিলেন।
আরো বিস্তারিত স্টিকি পোস্ট আপডেট ব্লগার জুন আপু
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩