somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লজ্জায় কেন গাল লাল হয়?

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝেই আমাদের এমন হয় যে, আমরা মারাত্মক রেগে গেছি কিংবা লজ্জায় পড়ে গেছি কোনো বিষয়ে আর সেই সাথে আক্ষরিক অর্থেই লাল হয়ে গেছে আমাদের গাল দুটো। বিশেষত ফর্সা মানুষদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি আরো বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর সেই মানুষটি যদি মনের মানুষ হয় তাহলে তো কথাই নেই; শুধুই তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছা করে তখন... wink emoticon
অবশ্য প্রিয়জনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে উৎসাহিত করার জন্য এ লেখাটি না, বরং কেন এমন হয় তা সহজ করে বুঝিয়ে বলতেই এ লেখা।
খুব সহজ করে বলতে গেলে, আমাদের মুখের চামড়ার নিচের রক্তনালীকাগুলোতে অধিক পরিমাণে রক্ত চলাচলের ফলেই লালচে গালের দেখা মেলে। উত্তাপ, অসুস্থতা, অ্যালার্জি, অ্যালকোহল ছাড়াও বিভিন্ন অনুভূতির প্রকাশক হিসেবেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
যখন আমরা কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে যাই অথবা লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়ি, তখন আমাদের দেহ থেকে অ্যাড্রেনালিন ক্ষরিত হয়। এ হরমোনটি এরপর ধাপে ধাপে বেশ কিছু কাজ করতে থাকে।
(১) আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে যায়।
(২) হৃদকম্পন ক্রমশ এমনভাবে বাড়তে থাকে যেন বুকের ভেতর কেউ ড্রাম বাজাচ্ছে।
(৩) আমাদের চোখের মণিগুলো এরপর আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করে যাতে আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে যতটা বেশি সম্ভব সজাগ থাকা যায়।
(৪) আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে যায় যাতে করে শক্তিটুকু আমাদের পেশীতে এসে জমা হয়।
(৫) আমাদের রক্ত নালীকাগুলোও ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে যায় যেন রক্তপ্রবাহ ও অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে। এ সময়ই মূলত আমরা আরক্তিম গালের দেখা পাই। তখন কেমিক্যাল ট্রান্সমিটার অ্যাডেনাইলিল সাইক্লেজ এর সিগনাল পেয়ে আমাদের মুখের চামড়ার নিচে থাকা রক্তনালীকাগুলো প্রসারিত হয়ে যায়। ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে গালগুলো লাল হয়ে যায়!
অনেকে আবার এ লাল হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিকে ভয়ও পেয়ে থাকেন। এ ভয়কে বলা হয় এরিথ্রোফোবিয়া। এন্ডোথোরাসিক সিমপ্যাথেকটমি সার্জারির সাহায্যে এ প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব।
একটি অসাধারণ আবেগপূর্ণ জিনিসের এমন সহজ-সরল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেখে আবার বেঁকে বসার কারণ নেই। কারণ দিনের শেষে আমরা সবাই যে আবেগেরই ফেরিওয়ালা...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×