বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল কৃত প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের কোম্পানির মধ্যে ইউএস বাংলা বর্তমানে শীর্ষে । পারভেজ সমনজারি বিমান চালনায় বেশ দক্ষ ফলে নিজ দক্ষতার গুনে শীর্ষ স্থানীয় এয়ারলাইন্স কোম্পানি ইউএস বাংলায় ২০১৪ সালে একজন বৈমানিক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। প্রতিভাধর পারভেজ সমনজারি শুধু মাত্র একজন দক্ষ বৈমানিকই নয় বরং তিনি একজন ভালো গলফ খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল শুটিং ফেডারেশনের এক অন্যতম শুটার যিনি লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হানতে বেশ পারদর্শী সাথে মিষ্টি কণ্ঠের মনকাড়া গান , না শুনলে বোঝার কোন উপায়ই নেই পাভেজ সানজারি কতটা প্রতিভাধর।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৩৭তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৪র্থ আনসার ও ভিডিপি ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।ওই টুর্নামেন্টে বিদেশিসহ ৬০৬ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। মূল প্রতিযোগিতায় পারভেজ সমনজারি চ্যাম্পিয়ন হন। ওই দিন রাতে পুরস্কার বিতরণী ও র্যা ফেল ড্র আর্মি গলফ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি, নিজ হাতে সম্মাননা সূচক চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি পারভেজ সানজারির হাতে তুলে দেন।
ঘটনা ক্রমে প্রতিভাধর পারভেজ সানজারীর সাথে ইন্টারনেটে পরিচয় হয় বর্তমান সময়ের বেশ পরিচিত পপ তারকা মিলা ইসলামের সাথে। সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরও দৃঢ় ও মজবুত হতে থাকে।অতঃপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই দুই দম্পতি। দুঃখজনক হলেও সত্যি বিয়ের ১৩টি দিন যেতে না যেতে বেজে উঠল ভাঙ্গনের সুর । প্রথম পর্যায়ে স্ত্রী মিলা ইসলাম স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তিনি স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার নম্বর ৪ (১০) ২০১৭।
উত্তরা (পশ্চিম) থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান বলেছেন ‘মিলার স্বামী পারভেজ সানজারি স্ত্রী মিলা ইসলামকে মারধর করে তাঁর হাত ভেঙে দিয়েছেন। তিনি (মিলা) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আমরা তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত রিমান্ড না দিয়ে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রোববার আবার আমরা আদালতে রিমান্ডের আবেদন করব।’
অপরদিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা (পশ্চিম) থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মামলা হওয়ার পর আমরা আসামি পারভেজ সানজারিকে গ্রেপ্তার করেছি। নারী নির্যাতন দমন আইনে ১১ (খ) ও ১১ (গ) এবং ৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে। মিলার দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর তাঁকে মারধর করা হয়। মিলার বাবা চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়।’
ধরে নিলাম মিলা ইসলামের স্বামী পারভেজ সানজারী মারধর করে তাঁর হাত ভেঙে দিয়েছেন কি কারনে মারধর করেছেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় তবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে মিলা ইসলাম বিয়ের পরও বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এ প্রসঙ্গে একটু আলোচনায় আসা যাক, ধরুন আপনার স্ত্রী আপনার অবাধ্য বিয়ের পর থেকেই সে তার ইচ্ছেমত বাবার বাড়িতে পড়ে থাকে। বিবাহিত স্ত্রী স্বামীর বাড়ি স্বামীর সংগে না থেকে দিনের পর দিন বাবার বাড়িতে থাকতে থাকে একটা সময় স্বামী যখন নিজের বাড়িতে নিয়ে আসতে জোর করে আর সেই মুহূর্তে যদি সামান্য ব্যথা বা হালকা জখমের সৃষ্টি হয় সেই ক্ষেত্রে স্বামীকে কোন দোষে নারী নির্যাতন দমন আইনের অন্তর্ভুক্ত করে আসামী করা হবে? কোশ্চিনকালেও কি কোন স্বামী তার স্ত্রীর এ ধরনের অবাধ্যতা মেনে নিয়েছেন ?
বিঃদ্রঃ- বানান ভুল থাকবে সময় পেলে সংশোধন করে নিব।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৩