somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ টেকসইকরণের প্রতিবন্ধকরণ ও উত্তরণের উপায় অনুসন্ধান

২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকাঃ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং কষ্টার্জিত গণতন্ত্র সাধারণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। মুখে মুখে সবাই গনতন্ত্রের কথা বললেও ক্ষমতা পাওয়ার পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বহু রুপ আমরা দেখতে পাই। রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যেও গনতন্ত্রের বালাই নেই। গণতন্ত্র এখন আর সত্যিকার গনতন্ত্রে নেই যেন হয়ে গেছে ‘ রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র ’। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন মত-পথ থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য ‘ পরমতসহিঞ্চুতা ’ নেই অনেক রাজনৈতিক দলে। পেশী শক্তি ব্যবহার করে রাজনীতিতে দুর্বিত্তায়নের অনুপ্রবেশ রাজনীতিকে করেছে কলুষিত। বর্তমান রাজনীতি উপর বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে যাচেছ। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দগণ তাঁদের বক্তৃতার বেশিরভাগ সময়ে অপরপক্ষকে আক্রমন করেন আর বাকী সময়ে নিজের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে থাকেন। ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরন না করে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যতিত শুধুমাত্র রাস্তা ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন নয়। একটি সরকার দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পন গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন শেষ না হতেই সরকার পরিবর্তন হয়। ফলে উন্নয়নের ধারাবহিকতা বজায় থাকে না এবং এজন্য প্রচুর অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়।

প্রতিবন্ধকরণঃ

যুব ও জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নব্বইয়ের পরবর্তী সময়ে ক্রমান্বয়ে নেতৃত্বদানে অযোগ্য ও মেধাহীন নেতৃত্ব এসেছে। যা আমাদের পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের গুনগত মানকে ব্যহত করছে এবং রাজণৈতিক অঙ্গনকে প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সকলের সামনে। প্রকৃতিতে কখনোই কোনো জায়গা শূন্য থাকে না। তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে মেধাবী ও যুক্তিশীলদের যে শূন্যতা তখন তৈরি হয়, তা ষড়যন্ত্রে পড়ে মেধাহীন আর অযোগ্যদের দ্বারা পূরণ হয়ে। তাই মুখ ফিরিয়ে রেখে মেধাবী, স্বপ্নবিলাসী ও যোগ্য তরুণরা একদিকে যেমন নিজেদের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, অন্যদিকে অযোগ্যদের হাতে এই দেশমাতৃকাকে তুলে দিয়েছে। নিম্নে বাংলাদেশের রাজীতির প্রতিবন্ধকরণ তুলে ধরা হলো।

অরাজনৈতিকের রাজনীতিঃ
এই সময়ের একটা মজার চরিত্র হচ্ছে নির্বোধের সব কিছু থেকেই মুখ ঘুরিয়ে থাকা, দেখেও না দেখার ভান করা, বুঝেও অবুঝের মত কথা বলা, নিজেকে নিজের মাঝে আটকে রাখা। এটা এই সময়ের সংস্কৃতি। আর এই নির্বোধের সংস্কৃতির মূল ধারক, বাহক ও পৃষ্ঠপোষক হল আমাদের সমাজেরই কতিপয় মানুষরূপী বুদ্ধিজীবি, যারা আমাদের তরুণ প্রজন্মের মগজের কোষে কোষে প্রতিনিয়ত ঢুকিয়ে দিচ্ছে সুবিধাবাদের বিষ, যার সবচেয়ে বড় নিদর্শন আজকের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশের প্রত্যক্ষ রাজনীতিবিরোধিতা।
ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট অথবা আড্ডা বাজির জায়গাগুলোতে একটা মজার দৃশ্য লক্ষ্যনীয়- তাহলো বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের অধিকাংশের তথ্যের ঘরে রাজনৈতিক দর্শনের জায়গায় কিছু একই রকম কথা লেখা থাকে ( আমি রাজনীতি পছন্দ করি না, অরাজনৈতিক অথবা ডিজুস স্টাইলে- I Hate Politics!!!) / ওই ঘরটি ফাঁকা থাকে। এবং এই ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে দেখার কোনো সুযোগ আসলে এখন আর নেই। একসময়ে যা ছিলো অগ্রসরমান তরুণ প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গর্বের বিষয়, সেই রাজনীতি/রাজনৈতিক দর্শনের চর্চা এখন এই প্রজন্মের এক বিশাল অংশের তরুণদের কাছে রীতিমত নাক সিটকানোর উপাদান। আমাদের সমাজ জীবনেও এর প্রভাব লক্ষ্যনীয়। আমাদের বাবা-মা’রা আজ অনেকেই নিজের সন্তান রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট জানতে পারলে মর্মাহত হন, তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আস্তে চান।

ভালো ব্যক্তিদের রাজনীতিতে না আসাঃ
ব্যক্তি/ পরিবার/ সমাজ, সকল জায়গায় মানুষের এই রাজনীতি বিমুখতা/ অরাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে উঠার প্রচেষ্টা কী এই সমাজের একটি স্বাভাবিক বিকাশের পরিনাম, নাকি এর পেছনেও গভীর কোনো উদ্দেশ্য আছে, অন্য কোনো “রাজনীতি” আছে, তা এই সময়ে খুঁজে বের করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে আমার আলোচনার শুরুতেই বেশ কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাশীল পাঠকের মনে উঠে আসবে-
১. অরাজনৈতিকতা/ রাজনীতি বিমুখতার এই সংস্কৃতি কিভাবে শুরু হলো আমাদের এই দেশে? এর হোতা কারা? এতে তাদের কী সুবিধা?
২. ব্যক্তিগতভাবে কেউ অরাজনৈতিক/ রাজনীতি বিমুখ হলে তাতে অন্যদের সমস্যা কোথায়?
৩. অরাজনৈতিকের রাজনীতিটা আবার কী জিনিষ? সেটা কী করে করা হয়/ যায়?
৪. এখানে সুবিধাবাদের বিষয় আসলো কেমন করে?
৫. সার্বিকভাবে, সাধারন মানুষের করনীয় কী সেক্ষেত্রে?
আমি সক্ষেপে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়ে আমার মূল আলোচনাটা করার চেষ্টা করবো।

মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক না থাকাঃ
সবচেয়ে প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া দরকার সেটি হলো, রাজনীতি আসলে কী!? মোটাদাগে, রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদিও রাজনীতি বলতে সাধারণত নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়,তবে অন্যান্য সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান,যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। অর্থাৎ কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সকল সামাজিক সম্পর্ক রাজনীতির আওতাধীন। তাই একজন মানুষ আসলে শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই নিজেকে রাজনীতির প্রভাব বলয়মুক্ত বলে দাবী করতে পারে না/ চাইলেও সেরকমটি হতে পারে না। তাই নিজেকে সচেতনভাবে রাজনীতি বিমুখ/ অরাজনৈতিক বলে দাবি করা/ অন্যের কাছে তা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা নেহায়তই ব্যক্তির জানার ও বোঝার সীমাবদ্ধতাকেই স্পষ্ট করে তোলে।

রাজনীতি বিমুখতার সংস্কৃতিঃ
আমাদের দেশে বেশ অনেকদিন যাবত এই অরাজনৈতিকতা/ রাজনীতি বিমুখতার সংস্কৃতি চলে আসছে। এর শুরুটাকে সত্যিকারভাবে কোনো সময় দিয়ে বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্যনীয় হয়ে ওঠে নব্বইয়ের পরবর্তী সময়ে। একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পর পরই এদেশের কতিপয় সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবি, আমলা, সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বিদেশী উপদেষ্টা ও সহযোগীতা সংস্থাসমূহ এদেশের তরুণ প্রজন্মের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক চেতনাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা বিভিন্ন সংগঠনসমূহের ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দকে অর্থের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে। ফলে ঐসকল ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে বিকিয়ে দিয়ে অর্থের দাস হয়ে যায়। তাদের এই নৈতিক স্খলন প্রচন্ড প্রভাব ফেলে আমাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রক্রিয়া হিসেবে বিষয়টি তাদের এভাবে বোঝানো হতে থাকে যে ছাত্র রাজনীতি খুবই খারাপ। এখানে আহত হওয়ার ভয় আছে, নিহত হওয়ার ভয় আছে। অতএব, রাজনীতি, রাজনৈতিক দর্শন এই সকল সর্বনাশা বিষয় থেকে স্বেচ্ছায়/ পরিবারের চাপে মেধাবী(!) শিক্ষার্থীরা দূরে সরে থাকে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় ওই সমস্ত সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবি, আমলা, সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বিদেশী উপদেষ্টা ও সহযোগীতা সংস্থাসমূহ। তারা এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে ক্রমশ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লিপ্ত হয়েছিলো। এবং অনেকদিন পর্যন্ত প্রায় নিরবিঘ্নে তা করছে তারা। আর তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যানের স্বার্থে তরুণ প্রজন্মের সামগ্রিকভাবে রাজনীতিসচেতনতা এই মুহূর্তে অনেক বেশি প্রয়োজন।

রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লিপ্তঃ
এখন যে প্রশ্নটি আসবে তা হলো, ব্যক্তিগতভাবে কেউ অরাজনৈতিক/ রাজনীতি বিমুখ হলে তাতে অন্যদের সমস্যা কোথায়?! আছে, ভয়াবহ সমস্যা আছে। আমরা এই সমাজে সকলেই গোষ্ঠীগতভাবে বসবাস করি। আমরা প্রত্যেকে একে অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। লক্ষ্য করলেই এটা স্পষ্ট হবে যে, আমাদের সকল সামাজিক সম্পর্ক কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত। ফলে স্বীকার করি আর নাই করি, আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই একে ব্যক্তিগতভাবে না বুঝে অস্বীকার করা গেলেও, সত্যিকারভাবে একে অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই। আর তাই, চিন্তাশীল একজন মানুষের পক্ষে রাজনীতিবিমুখ হওয়ার চেষ্টা করা নেহায়তই স্ব-বিরোধীতা ভিন্ন আর কিছুই না। এরপরও যদি কেউ এই রাজনীতি বিষয়টিকে অস্বীকার করতে চায়, তবে সে একদিকে যেমন সত্যের অপলাপ ঘটায়, অন্যদিকে একটি ভুল মনস্তত্বকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হয়, যা সমাজ ব্যবস্থার জন্য যে মোটেই শুভকর নয়, তা আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে দেখতে পেয়েছি। এই ভুল চিন্তা ব্যক্তিকে যেমন সত্যবোধ থেকে দূরে ঠেলে দেয়, তেমনি সমাজের অন্যায় আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদের ভাষাকে রুদ্ধ করে, তার সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টাকে নষ্ট করে দেয়। তাই, একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তির পক্ষে কোনোভাবেই ব্যক্তিগভাবেও অরাজতৈনিক/ রাজনীতিবিমুখ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

অসচেতন ব্যক্তির রাজনীতিতে আসাঃ
আলোচনাসমূহ মূলত রাজনীতির মূল বিষয়টি সম্পর্কে অসচেতন ব্যক্তির জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু সমাজে এর বিপরীত শ্রেনীর ব্যক্তিও দেখতে পারা যায়, যারা খুব সচেতনভাবেই রাজনীতিবিমুখতার কথা বলে থাকে, অথবা তাকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে থাকে। আর সেখানেই অরাজনৈতিকের রাজনীতি বিষয়টি চলে আসে, যা আমাদের কাছে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যারা আসলে সচেতনভাবে রাজনীতিবিমুখতাকে প্রশ্রয় দেন, ধারণ করেন ও প্রচার করেন তারা আসলে ২টি উদ্দেশ্যে এই কাজটিকে করে থাকেন-
১. রাজনীতি নিয়ে সাধারন মানুষের মনে এক ধরনের ধোঁয়াশা ও সন্দেহগ্রস্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য, যাতে মানুষ রাজনীতির মূল সুরটিকে আত্মস্থ করতে সক্ষম না হয়, কেননা এতে তাদের নিজেরদের রাজনীতি করার অবস্থান পরিষ্কার ও পাকাপোক্ত হয়; এবং
২. তাদের চারপাশের ও সমাজের অপরাপর মানুষের নিকট তাদের এক ধরনের তথাকথিত নিরপেক্ষ ও ভিন্নমাত্রিক অবস্থান তৈরির জন্য, যেই অবস্থাঙ্কে পুঁজি করে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
এবং স্পষ্টতই দুই ধরনের ব্যক্তিবর্গ এই “অরাজনৈতিকতার রাজনীতি” করে থাকেন এবং এর সামাজিক স্বীকৃতি তৈরিতে সচেষ্ট ব্যস্ত থাকেন-
১. সুবিধাবাদী লোকজন, যারা নিজেদের সুবিধার জন্য কখনোই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন, রাজনৈতিক পরিচয় গ্রহন করেন না। যখন যেই ধরনের রাজনোইতিক মতাদর্শ/ দল ক্ষমতা কাঠামোর কেন্দ্রে থাকে, তখন তারা তাদের তাবেদারী করে। এভাবে কথিত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার ধুয়া তুলে তারা আসলে পরিপূর্ণভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যস্ত থাকে।
২. মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক আদর্শের সংগঠনসমূহের ব্যক্তিবর্গ যারা প্রকাশ্যে নিজেরদের রাজনৈতিক অবস্থান জনগনের কাছে প্রকাশে অক্ষম/ নিজেদের সুবিধারথেই তা করতে চান না। অরাজনৈতিকতার আওয়াজ তুলে তারা যেমন একদিকে সাধারণ মানুষ্কে তাদের নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ও মতাদর্শ সম্পর্কে ভুল ও মিথ্যা ধারনা দেয়, অপরদিকে কল্যান্মুখী রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠা ও তার প্রসারে মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারনা নেয়, এবং রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ্কে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। এর ফলে ওই গোষ্ঠীর নিজস্ব রাজনীতি যেনতেনভাবে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

কলুষিত সমাজ ব্যবস্থাঃ
অরাজনৈতিকতার রাজনীতিতে উপোরক্ত উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত/ সাংগঠনিকভাবে নিজেদের রাজনীতি/ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে “সুবিধাবাদের” আশ্রয় নেয়। এই সুবিধাবাদিতা একদিকে যেমন ব্যক্তিকে কলুষিত করে, তেমনি আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকেও ক্রমশ কলুষিত করে। এইভাবে, অরাজনৈতিকতার রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষের ভিতর যে সুবিধাবাদের নতুন আবাদ ঘটায়, তা বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের বুঝতে পারা উচিতএবং সচেতনভাবে এই রাজনীতি বিমুখতা/ অরাজনৈতিকতাকে পরিহার করে রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠা উচিত।
আলোচনার শুরুতে যে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করা হয়েছে খুব অল্প আলোচনায় সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি আমি। তবে একটি বিষয়কে অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ/ দলকরণ/ মেরুকরণ আর রাজনীতি সচেতন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি বিষয়। অনেকেই আমরা প্রায়শই রাজনীতি সচেতন বলতে রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ঙ্কে বুঝি, মোটেও কিন্তু তা না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের জায়গাগুলো হল- আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি. – এই সকল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে যে কোনো ব্যক্তির অবস্থান থাকতে পারে, কিন্তু তার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন ও তার স্পষ্ট উচ্চারণ থাকতে হবে, নিদেনপক্ষে সে বলতে শিখবে, সে রাজনীতি বিমুখ/ অরাজনৈতিক না, সম্পূর্ণভাবেই রাজনীতি সচেতন।
আলোচনার একদম শুরুতেই বলেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও শূন্যতা থাকে না। কেউ না কেউ সেই শূন্যতা পূরণ করবেই। রাজনীতির অঙ্গনও শূন্য থাকবে না। ভালোরা, শুভবোধের সারথীরা দায়িত্ব না নিলে নিশ্চিতভাবেই তা অশুভ শক্তির করায়ত্ত হবে। এখনি সময় আমাদের এই বিষয়গুলোকে হৃদয় দিয়ে বোঝার, এবং সে অনুযায়ী নিজেদের সত্যিকারভাবে রাজনীতি সচেতন ও রাজনীতির প্রতি আগ্রহী করে তোলার। ভবিষ্যত নিশ্চিতভাবেই আমাদের। বিশ্বমানবতার জয় অবশ্যম্ভাবী।

রাজনীতির অচলাবস্থা:
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয় ১৯৭১সালে স্পষ্টভাবে বলতে গেলে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বর। স্বাধীনতার ৩৮বছর পরে কেমন আছে এই দেশটি? কেমন আছে এই দেশের রীতিনীতি,সভ্যতা ও সংস্কৃতি আর কেমনই বা আছে এই দেশের জনগণ? আর একটা কথা যেটি বলতে হয় সেটি হল কেমন আছে এই দেশের রাজনীতি? একটি দেশের উন্নয়ন সম্পূর্ণটা নির্ভর করে রাজনীতির উপর ভিত্তি করে। বিশেষ করে বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটি জন্মের পর আজ পর্যন- রাজনীতি থেকে কতটুকু উপকৃত হচ্ছে। রাজনীতির সাথে রাষ্ট্র সম্পর্কিত রীতিনীতি,আইন-কানুন ও আদর্শের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই রাজনীতির সাথে আমাদের জীবনের সার্বিক দিক ও বিভাগের সম্পর্ক অত্যন- গভীর। রাজনীতি নিয়ে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা, রাজনৈতিক দল ও দলসূমহের জোটগুলি চরমভাবে ব্যাতিব্যস্ত। এ রাজনীতি দেশের সামগ্রিক অবস'ার সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ,তার দ্বারা আমাদের জাতীয় জীবনের প্রকৃত সমস্যার সত্যিই কোন সমাধান হওয়া সম্ভব কিনা এবং আমরাই বা এ রাজনীতির ক্ষেত্রে অনুপসি'ত কেন?তার যৌক্তিকতা বিস-ারিতভাবে তার বিশ্লেষণ করা একেবারে আবশ্যক বলা যায়। অতপর এখন এই সম্পর্কে আমি আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে কিছু মতামত লিখিত আকারে পেশ করতে চাই। বর্তমানে আমাদের দেশে যে রাজনীতি চলছে বলতে গেলে তা গোলামীর প্রতীকস্বরুপ। আমাদের দেশ যে অতীতে পরাধীন ছিল স্বাধীনতার পরেও এখনও স্বাধীনতার বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারেনি। আমার কথাটির একটি বাস-ব প্রমাণ হচ্ছে বর্তমানে আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতি। এই রাজনীতি হবহু এখনো সেই পথেই চলছে যখন এই দেশে ইংরেজ বিধাতারা থাকাকালীন সময়ে প্রচলিত ছিল,অধীন দেশের জনগণকে গোলাম রেখে শাসন করার জন্য গোলাম উপযোগী রাজনীতি হিসেবে। আমরা সকলেই অবগত যে উপমহাদেশে যখন বৃটিশবিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল ,দুষ্টচক্‌্র ইংরেজরা মনে করেছিল,এদেশে এমন এক ধরণের রাজনীতি প্রচলন করতে হবে যেটি প্রাপ্ত হয়ে এদেশের জনগণ নিজেদের স্বাধীন মনে করবে কিন'ু প্রকৃতপক্ষে তারা হবে পরাধীন। তাই তৎকালীন শাসক মুখোশধারী লুটেরা ইংরেজরা চিন্তা করল এমন এক রাজনৈতিক প্যাচে এদেশের মানুষকে জড়িয়ে ফেলতে হবে,যার মায়াবীবেড়াজালে বন্দী থেকেও মানুষ মনে করবে যে আমরা স্বাধীনতা পেয়ে গেছি আমরা আমাদের নেতা নির্বাচন করে তাদের দ্বারা শাষিত এবং তাদের দ্বারা বৈষয়িক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার উপায় পাচ্ছি। সবদিক পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এমন এক রাজনীতি যার মধ্যে লিপ্ত থেকে জনগণ নিজেদের প্রকৃত আস্তাভাজন,প্রকৃত কল্যাণ সাধনে ইচ্ছুক,সত্যের প্রতি অবিচল ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তিরা নির্বাচিত হতে,জনগণকে নেতৃত্ব দিতে এবং তাদের জাতীয় আর্দশ বাস-বায়নে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবেনা। এই কুরুচিপূর্ণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সরকার ১৯৩৫সালের ভারত শাসন আইন জারি করে। সৃষ্ট এই আইনের ফলে কেবলমাত্র প্রাদেশিক পরিষদে নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য নির্বাচনে বিশেষ পরিমাণের করদাতাদের ভোট দেওয়ার অধিকার করে দেওয়া হয় বরং তা সাধারণ জনগণের জন্য নয়। আর তৎকালীন সময়ে দেশের সার্বভৌমত্ব কুক্ষিগত করে রেখেছিল বৃটিশসরকার এবং সমগ্র উপমহাদেশের উপর বৃটিশসরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বড়লাটের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার্যকর ছিল এবং উপমহাদেশ কেন্দ্রিক কেন্দ্রীয় পরিষদ গঠিত হওয়ার সুযোগ বিন্দুমাত্র ছিলনা। আর এই জন্য ইংরেজ সরকার ১৯৩৫সনের যে ভারত শাসন আইন জারি করেছিল তারই সুবাদে ১৯৩৬সালেই সর্বপ্রথম প্রদেশ ভিত্তিক পরিষদ গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বিশেষ কয়েকজন করদাতাদা ব্যাক্তিদের তা ব্যতীত সাধারন জনগণ এতে অংশগ্রহন করতে পারেনি। এতে বিভিন্ন দল টিকিট দিয়ে নিজেদের দলীয় ব্যাক্তিদেরকে প্রার্থী হিসেবে দাড়করিয়ে ছিল এবং তাদের নির্বাচনে জয়ী করানোর জন্য বিশাল মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেছিল এবং দলীয় কর্মী এবং সেচ্ছাসেবকদের দ্বারা প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক ক্যানভাস করানো হয়েছিল।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠন,নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ,ভলেন্টিয়ার পাঠিয়ে ক্যানভাস করানো টাকা দিয়ে ভোট ক্রয় এই সার কথা। এই দৃষ্টিতে প্রচলিত বর্তমান রাজনীতি অবস'া বিবেচনা করলে এই দুইয়ের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গী ও বাস-ব কাজের দিক দিয়ে কোন মৌলিক পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হবেনা। তখন প্রার্থী ভোটদাতাদের বাড়ী গিয়ে গিয়ে ভোট চাইত এখনও তাই হয়।এখন যেমন জনগণকে প্রার্থীরা আকাশের চাঁদ তুলে দেওয়ার ওয়াদা করে,সেই সময় একই ওয়াদা করত। তৎকালীন সময় দলের টিকিট নিয়ে প্রার্থী দাড়াত,এখনও দাড়ায়।বর্তমানে এখন যেমন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে দলের পক্ষ থেকে অর্থ ব্যয় করে আবার অনেক প্রার্থীর নিজ থেকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তখনও সেইভাবে অর্থ ব্যয় করা হত। বর্তমানে দলীয়কর্মী ও সেচ্ছাসেবক প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী করানোর জন্য যেভাবে কাজ করতে থাকে পূর্বে তাই হত। তখনও নগদ টাকা ছড়াছড়ি ছিল এখনো তাই হয়। জাল ভোটের প্র্রচলন ছিল এখনো আছে এবং বাক্স ছিনতাই প্রচলনও ছিল এখন বর্তমানে তা একটু বেশি পরিমানে হয় যাকে আমরা এককথায় বলতে পারি ব্যালট ডাকাতি এখন তার ধরণ যাই হোক।


ক্ষমতাসীন রাজনীতিঃ
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থী জনগণের কল্যাণে কিছুই করতে পারতনা,এখনো সেটার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। প্রিয় পাঠকবৃন্দ এ থেকে কি বোঝা যায়না যে পরাধীনতার আমলের রাজনীতি ও স্বাধীনতার আমলের রাজনীতি একেবারেই পার্থক্যকহীন ও অভিন্ন। তাই এটা উপলব্ধিযোগ্য যে বর্তমান প্রচলিত রাজনীতি পরাধীনতার প্রতীকটিকে শুধু বহন করছেনা বরং পরাধীনতার চরিত্রকে এখনও দৃঢ় ও স'ায়ীত্বের রুপ দিয়েছে। আর এজন্যই দেশের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা এখনও রাজনীতির বিচরনক্ষেত্রে অনুপসি'ত। দেশের কিছু সংখ্যক জনগোষ্ঠী প্রকৃত বিষয়টি উপলব্ধি করতে না পারলেও অনেক বুদ্ধিসম্পন্ন জনগণ মনে করে প্রকৃত তা স্বাধীনতার পক্ষে থাকা উচিত এবং পরাধীনতাকে চিরতরে মুছে ফেলাই এখন ঈমানের ঐকানি-ক দাবী। বর্তমানে আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন রাজনীতি যেই চাকা চলছে সেটি ধর্মনিরপেক্ষতা ভিত্তিক রাজনীতি। ধর্মনিরপেক্ষতা মতবাদটি ইউরোপীয় খৃষ্টানধর্মলম্বীদের একটি সৃষ্ট মতবাদ। এই মতবাদটি বস্তুবাদী ধ্যানধারণার একটি ফসল।মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আল্লাহ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। জন্তু জানোয়ারদের ন্যায় অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা,নৈতিকতা,ভালমন্দ, হালাল কোনটি হারাম কোনটি এরা তা বিবেচনা করতে পারেনা। এই মতবাদ অনুযায়ী মানুষের ও তা থাকবেনা। যদিও ধর্ম পালনের সুযোগ আছে কিন্তু তা শুধু ব্যাক্তিজীবনে।

অসুস্থ ধারার রাজনীতিঃ
সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নয়। এই মতবাদে একজন মানুষকে সব ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয়। অন্যান্য ধর্মের কথা না হয় বাদ দিলাম কিন'ু একজন মুসলমান হয়ে কিভাবে সব ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখা সম্ভব। বিশেষ করে একজন মুসলমান কোন দিন নিরপেক্ষ হতে পারেনা কারণ একজন মুসলমান আজীবন আল্লাহর পক্ষ অবলম্বন করে যাবে। সুতরাং একজন মুসলিম হয়ে ধর্মনিরপেক্ষবাদের অনুসারী হওয়া একেবারেই কাম্য নয়।তারপরও যদি মানুষ ধর্মনিরপেক্ষবাদের অনুসারী হয়ে থাকে তাহলেতো বলা যায় ধর্মহীন জীবন পশুর ন্যায়। ধর্মনিরপেক্ষবাদের অনুসারী একজন মুসলমান যখন নামাযের জন্য মসজিদে গমন করে তখন সে আর ধর্মনিরপেক্ষ থাকেনা সে তো ধর্মের পক্ষে হয়ে যায়।ঠিক সেইভাবে ধর্মনিরপেক্ষবাদের অনুসারী একজন হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান যখন যথাক্রমে মন্দির,প্যাগোডা,গীর্জায় যায় তখন কি সে আর ধর্মনিরপেক্ষ থাকে তখন সে ধর্মের পক্ষে হয়ে যায়। তাই আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি এই ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদটি সর্ম্পূণ অসত্য,ভিত্তিহীন,অবৈজ্ঞানিক এর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারেনা। তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে মানুষকে খুজে পাওয়া যাবেনা সেখানে মানুষতো দুরের কথা একজন মানুষের অসি-ত্ব বিলীন হয়ে যায়। এখন এই ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের মুখোশ ধারণ করে আছে এবং ভবিষ্যতে এর ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস'া করা হবে।জনগণকে বোঝানো হবে দেশের জনগণই হচ্ছে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তক কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয় তা হবে বিশাল মাপের প্রতারণা মাত্র। দেশে বর্তমানে যে রাজনীতিতে যেসব দল ও জোট অত্যন- সক্রিয় তাদের রাজনৈতিক তৎপরতাকে বলা হচ্ছে রাজনীতি। রাষ্ট্রের জাতীয় জীবনে কোন আর্দশিক পরিবর্তন তারা আনবেনা বরং নিজেদের ও নিজেদের আদর্শিক গুরুকে নিয়ে ব্যস-। এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কখনো মনে হয় কারো পৈতৃক আবার কখনো কারো স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তারাই তাদের ভোগ দখল করবে জনগণ কিছুই নয়। আর বর্তমানে সরকারী দল ও বিরোধী দলের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব থেকে থাকলেও তা হচ্ছে ক্ষমতা লাভের দ্বন্দ কোন আদর্শিক দ্বন্দ নয়। পরিশেষে বলতে চাই বর্তমান প্রচলিত রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা লাভের দ্বন্দের রাজনীতি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের এই দ্বন্দ জাতিকে এক চরম দুর্দশার মধ্যে নিক্ষেপ করে ফেলছে। তাই এখনো দেশের অনেক সংখ্যক জনগণ রাজনীতিতে অনুপসি'ত তা আসলেই যুক্তিসংগত। তাই আমাদের দেশে রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ক্ষমতা লাভের এই দ্বন্দ পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার প্রচলন শুরু করুন এবং সেটি হবে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি।


উত্তরণের উপায়ঃ
আমরা কি পারিনা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ? আমরা কি এমন একটি সরকার ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে পারিনা যেখানে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন থাকবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এমন একটি সরকার ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবী। আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার বিবেকের তাড়নায় বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য আমার নিজস্ব চিন্তাধারা প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। নিম্নে বাংলাদেশের রাজীতির উত্তরণের উপায় তুলে ধরা হলো।

সরকার পদ্ধতিঃ
জনগণ প্রত্যক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে সরকার প্রতিষ্ঠা করছে কিন্তু বিদ্যমান সরকার পদ্ধতি কি জনগনের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে ? স্বাধীনতার প্রায় তিন যুগ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে কিন্তু একটি কথা সব সময়ই শোনা যায় যে, “ দেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে ”। এ দেশের ক্রান্তিকাল যেন কখনোই শেষ হবার নয়। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের শেষ হয় না। একটি রাজনৈতিক দল বা জোট ক্ষমতায় এলে অন্য দল সমূহ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠে। ক্ষমতায় আরোহনের জন্য জনগনের দুর্ভোগকে উপেক্ষা করে হরতাল সহ নানা কর্মসূচী পালন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আর যারা সরকার গঠন করে তারা দলীয়করণ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের মহলকে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার সুযোগ করে দেয়। সরকার ও বিরোধীদলের এহেন দ্বি-মুখী কার্যক্রমের ফলে দেশের সাধারণ জনগনের দুর্ভোগ চরমে উঠে। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, চরম দারিদ্রতা, বেকারত্ব, সন্ত্রাস, দূর্নীতি গ্রাস করেছে দেশের সিংহভাগ জনগনকে। সম্পদের অসম বন্টন ও চরম অব্যবস্থার কারণে সুবিধাভোগীরা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে আর ৯০% সাধারন মানুষ ন্যুনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ সহ বিভিন্ন তৃতীয় শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এবং সামগ্রীক পরিস্থিতির কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। বিভিন্ন দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষেয় অযাচিত হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়। সরকার, বিরোধীদল সহ সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতি বিবেচনার জন্য গণতন্ত্রের মূল কাঠামোকে ঠিক রেখে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন।

সুষ্ঠু নির্বাচনঃ

গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে বিড়াট ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনকে পেশী শক্তি ও কাল টাকার প্রভাব থেকে মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পূর্বে সকল প্রার্থীর সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশন সংরক্ষন করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের পরিচিতি ও প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনই পালন করবে। নির্বাচন কমিশন নিজশ্ব তত্ত্বাবধানে পোষ্টার-লিফলেট ছাপানো থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারের ব্যবস্থা করবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সকল প্রার্থীর উপস্থিতিতে একই মঞ্জে একটি প্রার্থী পরিচিতি সভার আয়োজন করবে। এ সভায় দলীয় মেনুফেষ্ট সহ প্রার্থীদের সকল নির্বাচনী ওয়াদা প্রার্থীরা জনসমক্ষে উপস্থাপন করবেন এবং নির্বাচন কমিশন এসব কিছু রেকর্ডভূক্ত করবেন। পরবর্তীতে বিজয়ী প্রার্থী এসকল ওয়াদা পরিপালনে ব্যার্থ হলে পরবর্তীতে জনগণের নিকট জবাবদীহি করতে হবে। এসকল কার্যক্রম পরিচালনার ব্যায় নির্বাহের জন্য খরচ প্রাক্কলন করে তা নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নিকট হতে আদায় করবেন। কোন প্রার্থী ব্যাক্তিগত উদ্যোগে নির্বাচনী প্রচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন, সেনাবাহিনী সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা অনয়নের জন্য কেন্দ্র সমূহে ভোট গ্রহন ও ভোট গণনা কার্যে সকল প্রার্থীর এজেন্ট ও সকল কেন্দ্রে সাংবাদিক এবং দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক দলের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

সরকার গঠনঃ

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্নের পর সরকার গঠনের পালা। সরকার গঠনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সংস্কার করে নিম্নলিখিত মূল নীতির ভিত্তিতে গঠিত জাতীয় সরকারই হবে সমগ্র জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী সরকার ঃ
১ নির্বাচনে যে সকল দলের প্রার্থী বিজয় লাভ করবেন সে সকল দলের সমন্বয়ে সরকার গঠিত হবে।
২ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্তৃক বিজীত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করা হবে।
৩ সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন বিজয়ী দল হতে প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন বিজয়ী দল হতে উপ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
৪ রাষ্টপতি নির্বাচন করা হবে সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য এবং নির্দলীয় ব্যক্তিকে।
৫ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একটি সংসদীয় কমিটি থাকবে। যে দল থেকে কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিয়োগ করা হবে সে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য না থাকাটাই বাঞ্চনীয়।
৬ মন্ত্রণালয়ের সকল কার্যক্রমে মন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটি উভয়ই সমভাবে দায়বদ্ধ থাকবে।
৭ জাতীয় সংসদে প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনভাবে কথা বলার এমনকি নিজ দলের সমালোচনা করার বাক স্বাধীনতা থাকবে।

সরকারের কার্যক্রমঃ

সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের পর নির্বাচিত সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের প্রথম কাজ হবে দেশের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঐক্যমত ও আন্তরিকতার সহিত সমাধান করার জন্য কার্যক্রম শুরু করা। বিদ্যমান সমস্যা সমূহ সমাধান না করে শুধু মাত্র অবকাঠামো উন্নয়ন করে উন্নয়নের যথার্থতা বিচার করা যায় না। অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সাথে মানব সম্পদ উন্নয়ন করে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ করে দারিদ্র বিমোচন এবং জনগণের নূনতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সার্থক ভূমিকা পালন করাই হবে নির্বাচিত জাতীয় সরকারের প্রধান কাজ।

দূর্নীতি দমনঃ

দূর্নীতি আমাদের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর পর পাঁচ বার র্শীর্ষ দূনীতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে বাংলাদেশের নাম নির্বাচিত হওয়া জাতীয় ও আন্তর্যাতিক পর্যায়ে আমাদের ভাবমুর্তী দারূনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এজন্য বিগত ও বর্তমান সরকার পরস্পরকে দায়ী করছে কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করার জন্য কারো আন্তরিক প্রচেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। যদিও বর্তমান সরকার একটি দুনীতি দমন কমিশন গঠন করেছেন কিন্তু এটি একটি অকার্যকর সংস্থায় পরিণত হয়েছে। প্রস্তাবিত জাতীয় সরকার বর্তমান দুনীতি দমন কমিশনকে সচল করে দুনীতিগ্রস্থদেরকে আইনানুগ শাস্তি ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ দুনীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হলে একজন ব্যক্তি কি পরিমান সম্পদের মালিক হতে পারবে তার একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দিয়ে ঐ নির্দিষ্ট সীমার অতিরিক্ত সম্পদ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা থাকবে।

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানঃ

সকল ধরনের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান অপরিহার্য। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে নিরিিবচিছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে শিল্প উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে এমনকি বিদ্যুৎ নির্ভর কৃষি সেচ বাধাগ্রস্থের ফলে কৃষি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাহত হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নানা অনিয়ম ও অব্যাবস্থা চিহ্নিত করে তা নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রয়োজন হলে এখাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।


বাজার ব্যবস্থার ন
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×