somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ মোবারক ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতি বছর ঈদ এলে এই কথাগুলো মাথায় আসে। মনে হয়, কথাগুলো শেয়ার করি। শেয়ার করলে অবশ্যই লাভ হয়।
যাগগে, মূল কথায় আসি ।
০১) প্রতি বছর ঈদ এলে লাখ লাখ লোক ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যায়। এত বেশি লোক যায় যে, ঈদের দিন ঢাকা শহর ফাকা থাকে। প্রায় ৯০% চলে যায় গ্রামে। তার মানে হল , এই ৯০% লোকের বাড়ি আসলে গ্রামে। তারা পড়াশোনা বা কাজের জন্য ঢাকা শহরে এসেছে, আসতে বাধ্য হয়েছে।
০২) যারা ঢাকায় ঈদ করে তারা আসলে ঢাকার মানুষ। এরাই ঢাকা শহরের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। তার মানে হল, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ জমি, দালাল কোঠা ও অন্যান্য স্থাপনার মালিক খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। হতে পারে সেটা মাত্র ১০% মানুষ। এই ১০% মানুষই ঢাকা শহরের শতভাগ সম্পত্তির মালিক। আর ৯০% মানুষ ঢাকা শহরে মূলত তেমন কোন সম্পত্তি করতে পারে নি।
০৩) যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তাদের গ্রামেই করতে পারত, ঢাকা শহরে থাকা বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা শহরে আসত না। গ্রামে তার উপযোগী কোন কাজের ব্যবস্থা নেই বলে বাধ্য হয়ে ঢাকায় চলে এসেছে সে। তার মানে হল, আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে সম্মানজনক ও উপযোগী কর্মের সংস্থান করতে পারি, ঢাকা শহরের অনেক লোক স্থায়ীভাবে গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
০৪) কেবল কর্মসংস্থান নয়, শিক্ষার জন্য ভালো স্কুল-কলেজ ও চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল থাকলে গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে হত না। পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাটও থাকা দরকার।
০৫) এবার বলা যাক, কিভাবে গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখা সম্ভব। প্রথমেই উপজেলা পদ্ধতিটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় একটা আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতি অর্থ বছরে ১০টা উপজেলাকেও এই বিশেষ উন্নয়নের আওতায় আনলে ৫০ বছরে সারা দেশ উন্নত হয়ে যাবে।
০৬) এবার আসা যাক কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে। এটাও গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ধরেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত হল তৈরি পোশাক। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো অনায়াসে গ্রামে করা যেত। কারণ গার্মেন্টেসের বেশির ভাগ শ্রমিক গ্রামের মানুষ। ভালুকার দিকে গ্রামের মধ্যে কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও রপ্তানী খাতের যে কোন ফ্যাক্টরি গ্রামে করা সম্ভব।
০৭) আইটি খাত নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি। আইটি খাতের ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য শহরের বসবাস করা জরুরী না। কিন্তু কথা আছে। গ্রামে ইন্টারনেট পৌছাতে হবে। তার আগে দূর করতে হবে লোডশেডিং। তাহলে গ্রামে বসেই একজন ফ্রি ল্যান্সার ডলার কামাতে পারবে।
অনেকে বলবেন, অনেক বেশি স্বপ্ন দেখছি। আসলে এটাই হওয়া উচিত ছিল অনেক আগে। তাহলে ঢাকা শহরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হত না। একটা ঘিঞ্জি ঘরে দিনের পর দিন জীবনযাপন করতে হত না । বাবা মা ভাই বোন ছেড়ে একা একা ঢাকা শহরে পড়ে থাকতে হত না। গ্রামের সুন্দর পরিবেশে থেকেই মানুষ একটা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারত।
আমরা যদি এখনও পরিকল্পনা করি, আগামী ৫০ বছর পর ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে সব সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। আমরা কি এই কাজটা শুরু করব ? নাকি কেবল ঢাকার উন্নয়ন করেই ভাবব দেশের উন্নয়ন হয়ে গেছে ?
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ।
প্রতি বছর ঈদ এলে এই কথাগুলো মাথায় আসে। মনে হয়, কথাগুলো শেয়ার করি। শেয়ার করলে অবশ্যই লাভ হয়।
যাগগে, মূল কথায় আসি ।
০১) প্রতি বছর ঈদ এলে লাখ লাখ লোক ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যায়। এত বেশি লোক যায় যে, ঈদের দিন ঢাকা শহর ফাকা থাকে। প্রায় ৯০% চলে যায় গ্রামে। তার মানে হল , এই ৯০% লোকের বাড়ি আসলে গ্রামে। তারা পড়াশোনা বা কাজের জন্য ঢাকা শহরে এসেছে, আসতে বাধ্য হয়েছে।
০২) যারা ঢাকায় ঈদ করে তারা আসলে ঢাকার মানুষ। এরাই ঢাকা শহরের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। তার মানে হল, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ জমি, দালাল কোঠা ও অন্যান্য স্থাপনার মালিক খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। হতে পারে সেটা মাত্র ১০% মানুষ। এই ১০% মানুষই ঢাকা শহরের শতভাগ সম্পত্তির মালিক। আর ৯০% মানুষ ঢাকা শহরে মূলত তেমন কোন সম্পত্তি করতে পারে নি।
০৩) যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তাদের গ্রামেই করতে পারত, ঢাকা শহরে থাকা বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা শহরে আসত না। গ্রামে তার উপযোগী কোন কাজের ব্যবস্থা নেই বলে বাধ্য হয়ে ঢাকায় চলে এসেছে সে। তার মানে হল, আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে সম্মানজনক ও উপযোগী কর্মের সংস্থান করতে পারি, ঢাকা শহরের অনেক লোক স্থায়ীভাবে গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
০৪) কেবল কর্মসংস্থান নয়, শিক্ষার জন্য ভালো স্কুল-কলেজ ও চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল থাকলে গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে হত না। পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাটও থাকা দরকার।
০৫) এবার বলা যাক, কিভাবে গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখা সম্ভব। প্রথমেই উপজেলা পদ্ধতিটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় একটা আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতি অর্থ বছরে ১০টা উপজেলাকেও এই বিশেষ উন্নয়নের আওতায় আনলে ৫০ বছরে সারা দেশ উন্নত হয়ে যাবে।
০৬) এবার আসা যাক কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে। এটাও গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ধরেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত হল তৈরি পোশাক। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো অনায়াসে গ্রামে করা যেত। কারণ গার্মেন্টেসের বেশির ভাগ শ্রমিক গ্রামের মানুষ। ভালুকার দিকে গ্রামের মধ্যে কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও রপ্তানী খাতের যে কোন ফ্যাক্টরি গ্রামে করা সম্ভব।
০৭) আইটি খাত নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি। আইটি খাতের ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য শহরের বসবাস করা জরুরী না। কিন্তু কথা আছে। গ্রামে ইন্টারনেট পৌছাতে হবে। তার আগে দূর করতে হবে লোডশেডিং। তাহলে গ্রামে বসেই একজন ফ্রি ল্যান্সার ডলার কামাতে পারবে।
অনেকে বলবেন, অনেক বেশি স্বপ্ন দেখছি। আসলে এটাই হওয়া উচিত ছিল অনেক আগে। তাহলে ঢাকা শহরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হত না। একটা ঘিঞ্জি ঘরে দিনের পর দিন জীবনযাপন করতে হত না । বাবা মা ভাই বোন ছেড়ে একা একা ঢাকা শহরে পড়ে থাকতে হত না। গ্রামের সুন্দর পরিবেশে থেকেই মানুষ একটা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারত।
আমরা যদি এখনও পরিকল্পনা করি, আগামী ৫০ বছর পর ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে সব সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। আমরা কি এই কাজটা শুরু করব ? নাকি কেবল ঢাকার উন্নয়ন করেই ভাবব দেশের উন্নয়ন হয়ে গেছে ?
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×