ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানি তিস্তা নদীর পানি বাড়িয়ে এখন বিপদসীমায় আছে । তিস্তা নদীর পানি প্রায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এর ফলে তিস্তা নদীর পাশে থাকা প্রায় ২৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত অবস্থায় আছে । এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন । ভারত থেকে নেমে আসা পানি তিস্তার পানি বেড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ।
ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছেন বুধবার সকাল থেকে ভারতের দৌমহনী থেকে বন্যার পানি হু হু করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে । এর ফলে বিকেল ৪টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকেল ৫টায় তা বেড়ে প্রায় ২০ সেন্টিমিটারের মতো দাড়িয়েছে । এভাবে প্রতি ঘণ্টায় তিস্তায় পানি বেড়ে চলছে । ফলে জেলা প্রশাসন তিস্তার বিভিন্ন চরে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন ।
ভারী বর্ষণের ফলে এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা এবং সানিয়াজান নদীর পানি একত্রিত বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে । এতে তিস্তার পানিতে ওই জেলার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন । হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ।
এতে তিস্তাপাড়ে থাকা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছেন । ভারত গজলডোবা ব্যারাজের বেশির ভাগ গেটই খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায় । অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন । প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরো কী পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না । পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দিয়েছে । ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা দহগ্রাম, হাতিবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া এবং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ, আদিতমারী সদর উপজেলার চর এলাকার ২৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন । অনেক ফসল আবাদি জমি তিস্তার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে ।
তথ্য ইন্টার নেট ছবি দৈনিক আমার দেশ
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৫৬