somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানব জাতির জন্য সর্ব শেষ আসমানী কিতাব হল কুরআন

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইসলামের বিভিন্ন বর্ননা অনুযায়ী স্রষ্টা অথবা আল্লাহ ইসলামের নবী ইব্রাহীমকে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানী করার নির্দেশ দেন । এই আদেশ অনুযায়ী ইব্রাহিম তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার জন্য তিনি যখন প্রস্তুত হলেন স্রষ্টা তখন তাকে তা করতে বাধা দেন এবং পুত্রের পরিবর্তে পশু কুরবানীর নির্দেশ দেন । এই ঘটনাকেই স্মরণ করে সারা বিশ্বে আমরা মুসলিম ধর্মালম্বীরা প্রতি বছর এই দিবসটি বা ঈদুল আযাহ পালন করে থাকি । হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হয় শেষ হয় ১২ তারিখ । ৩ দিন ধরে ঈদুল আজহা চলে । হিজরী চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান হয়ে থাকে । আব্রাহাম বা অব্রাহাম এই শব্দে ইসলামের নবী ইব্রাহীমের নামকে বলা হয়েছে । বাইবেলে বর্নিত তিনি হলেন তিন গোষ্ঠীপতির প্রথম বংশধর । তার গল্প বাইবেলের আদিপুস্তক 11:26 থেকে আদিপুস্তক 25:18 এর মধ্যে বলা আছে তিনি ইহুদি খ্রিস্টান এবং ইসলামের বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন ।


বাইবেল হল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ । বাইবেল বিবলজ শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে বা পাওয়া যায় গ্রীক বিবলিয়া শব্দ থেকে যার অর্থ হল একটি পুস্তক । এটি প্যাপিরাস গাছের ছাল । বাইবেল হচ্ছে শাস্ত্র লিপি বা পুস্তক যাতে ঈশ্বরের বাক্য লেখা । বাইবেল হলো ৬৬টি পুস্তকের একটি সংকলন যা দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত আছে । ৩৯টি পুস্তক সম্বলিত পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং ২৭টি পুস্তক সম্বলিত নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট । খ্রিস্টধর্মমতে ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন । এরা ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন লোক । বাইবেলের মুখ্য বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রমণি হলেন যীশু । পুরাতন নিয়ম মূলত হিব্রু ভাষায় লিখিত তবে দানিয়েল এবং ইষ্রা পুস্তক দুটির কিছু অংশ অরামীয় ভাষায় লিখিত হয়ছে । নুতন নিয়ম গ্রীক ভাষায় রচিত হয় । বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বাইবেল লিখেছেন । খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন যে এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায় । পৃথিবীর অনেক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ হয়েছে ।
বিভিন্ন ধর্মের দৃষ্টিকোণ ইহুদি ধর্ম
আব্রাহামীয় ধর্মের মধ্যে ইহুদি ধর্মের লোকেরা খ্রিস্টধর্মের বাইবেলকে স্বীকার করে না যেমনটা স্বীকার করেন না যীশু নামক ঈশ্বরের কোনো বাণীবাহককে । তবে খ্রিস্টানগণ যেখানে বাইবেলের পুরাতন নিয়ম বলতে ইহুদি ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বুঝিয়ে থাকেন সেখানে ইহুদি ধর্মে এজাতীয় কোনো বিভাজন দেখা যায় না বরং খ্রিস্টধর্মমতে পুরাতন নিয়মই ইহুদি ধর্মের ঐশ্বিক ধর্মগ্রন্থ তোরাহ । ইসলাম ধর্মে বাইবেল বলে কোনো ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় না । উল্লেখ পাওয়া যায় ঈশ্বরের বাণীবাহক ঈসা আঃ এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল ইঞ্জিল নামক পূর্ণাঙ্গ ধর্মগ্রন্থ । ইঞ্জিলে বলা হয়েছে যে মানুষের গুনাহ থেকে নাজাত করার জন্য আল্লাহ্‌ তার মনোনিত ব্যক্তি ঈসাকে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন । যে কেউ ঈসার উপর ঈমান আনে এবং গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে আল্লাহুর দিকে ফেরে সেই নাজাত পায় । ইঞ্জিল কিতাবের ইউহোন্না খন্ডের ১৪ রুকু ৬ আয়াতে বলা হয়েছে আমিই ঈসাই পথ সত্য আর জীবন । আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে অর্থাৎ আল্লাহুর কাছে যেতে পারে না । উল্লেখ্য আছে যে ঈসা আঃ আল্লাহু কে পিতা বলে সম্মধন করেছেন । ইসলামী জীবন ধারার ব্যাখ্যামতে এই ঈসা আঃ হলেন খ্রিস্টধর্মমতে যীশু । তাই ধরে নেয়া হয় বাইবেল হলো সেই ইঞ্জিল । কিন্তু ইসলাম পূর্বতন এসব ধর্মগ্রন্থকে স্বীকৃতি দিলেও সেই যাবতীয় নিয়মকানুনকে রহিত করে শেষ বাণীবাহকের আনা ধর্মগ্রন্থ কোরআনকে একমাত্র স্বীকৃত ধর্মগ্রন্থ এবং জীবনবিধান হিসেবে স্বীকার করে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×