somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অনুপম হাসান
শৈশব আর কৈশোর কেটেছে রংপুরে; আইএ পাসের পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল. ও পিএইচডি. ডিগ্রি লাভ। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত আছি।

অপরবাস্তব-৪ এবং একজন পাঠক, কিছু কথা... [শেষ পর্ব]

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

........ শেষ পর্ব

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়...

'ফিউশন ট্রেকিং' সাইফুল ইসলামের ঝরঝরে বর্ণনার চমৎকার একটি সাইন্স ফিকশন। গল্পে সাইফুল ইসলাম স্বীয় কল্পনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত ব্যবহারে দক্ষ চূড়ান্ত উন্নত মানব প্রজাতির জন্য এক পৃথিবীর চিত্র অঙ্কন করেছেন। তার কল্পিত পৃথিবীর মানুষেরা একটি ট্রেকিং পদ্ধতির মধ্যে শৃঙ্খলিত। ফিউশন ট্রেকিং যন্ত্রাংশটি গত দুইশ' বছর ধরে মানব জাতিকে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে ধরে রেখেছে। গল্পকার সাইফুল ইসলামের কল্পিত বৈজ্ঞানিক পৃথিবীর পেছনে ক্রিয়াশীল তার সমকালীন মানব প্রজাতির যথেচ্ছ অন্যায়, অপরাধ সংশ্লিষ্টতা; গল্পকার এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় স্বরূপ বিজ্ঞানের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়েছেন-- যার মাধ্যমে মানুষকে অপরাধে নিযুস্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। গল্পে তিনি সেকথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন :

একবিংশ শতাব্দীর শেষভাবে পৃথিবীতে যখন অরাজকতা সীমা ছাড়িয়ে যাবার উপক্রম হয়, তখন একদল নিবেদিতপ্রাণ বিজ্ঞানী ফিউশন ট্রেকিং ডিভাইসটি আবিষ্কার করে। প্রাথমিকভাবে আইন করে বাধ্য করা হয় যে, প্রত্যেককেই এই ডিভাইসটি সাথে রাখতে হবে। এতে সারা বিশ্বে প্রতিটি মানুষকে ট্রেকিং করা সম্ভব হয়। প্রতি মুহূর্তে কে কোথায় আছে, কী করছে, কী কথা বলছে-- তার সব বিস্তারিত তথ্য ফিউশন সেন্ট্রালে চলে যেত। ফলে অবিশ্বাস্যভাবে কমে আসে অপরাধের সংখ্যা। --পৃ.১০৩

কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা গেল পুনরায় সংঘটিত হচ্ছে অপরাধ এবং তা ক্রমশ বাড়ছে। অথচ অপরাধ সংঘটন স্থলে কাউকে আবিষ্কার করা যাচ্ছে না। কারণ, বুদ্ধিমান সৃজনশীল প্রাণী মানুষ ততদিনে ট্রেকিং ডিভাইসটি সাথে রাখলেও অপরাধ করার সময় পকেট থেকে বের করে তা দূরে রাখার ব্যাপারটি জেনে গিয়েছিল। এর ফলে পরবর্তী সময় আইন করে জন্মের সময় মানব শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করে ট্রেকিং ডিভাইসটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়া অবলম্বনের ফলে এক প্রজন্ম পরেই পৃথিবীতে অপরাধ শূন্যের কোঠায় নেমে যায়। অপরাধ কমে ঠিক, কিন্তু ট্রেকিং সিস্টেমের কারণে যেহেতু ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষিত হয় না, তাই নিয়মাধীন যন্ত্রশাসিত মানব জাতি এক বৈচিত্র্যহীন জীবনে প্রবেশ করে। কিন্তু সৃজনশীল মানুষ বৈচিত্র্যহীন জীবনে কখনো আনন্দ পায় না। ফলে ফিউশন ট্রেকিং সিস্টেম ধ্বংস করে স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করে অনেক তরুণ যুবক অকালে প্রাণ হারায়; তারপরও মানুষের স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা থেমে থাকে না। ট্রেকিং সিস্টেমের বাইরে যেহেতু কোন মানুষ নেই সেহেতু সেন্ট্রাল ফিউশন গোলকটি কোনভাবে ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছিল না স্বাধীনচেতাদের পক্ষে। এমন দুর্বিষহ শৃঙ্খলে ছটফট করতে করতে একদিন অ্যালান 'ক্রাইম এন্ড কিলিং সেন্টার' নামের এক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখে টিভিতে। খুন করার মতো ধ্বংসাত্মক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা লাভের বিজ্ঞাপন দেখে প্রাথমিকভাবে কিছুটা থ্রিল অনুভব করে অ্যালান। অতঃপর অ্যালান সেই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানতে পারে ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তিদের কোলন করে মানুষকে সেখানে খুনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। অ্যালান রেজিস্ট্রেশন করে সক্রেটিসের কোলনকে খুন করার পরই সিদ্ধান্ত নেয কিভাবে সে মানবজাতিকে এই ট্রেকিং শৃঙ্খল থেকে সে মুক্ত করতে পারবে। পরের সপ্তাহে অ্যালান সিএন্ডকে কোম্পানিতে হাজির হয়ে যখন নিজের কোলন খুন করার অভিজ্ঞতা লাভের কথা জানায় তখন কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে হয় অ্যালানকে। অতঃপর সিএন্ডকে থেকে বেরিয়ে আসার সময় খুশি হয় এই ভেবে যে, সে পরের সপ্তাহে নিজের কোলনকে খুন করার অভিজ্ঞতা নেবে।


অ্যালান প্রথম খুন করার সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিজেকে হত্যার। কারণ, সে জানত--- তার যে কোলনটি সিএন্ডকে কোম্পানি তৈরি করবে, তার মস্তিষ্কে কোন ট্রেকিং ডিভাইস থাকবে না। অতএব আসল অ্যালনকে খুন করার পর সাময়িক আইডেনটিটির জন্য অ্যালানের ট্রেকিং ডিভাইসটি সাথে নিয়ে সিএন্ডকে থেকে বেরিয়ে ঘরে ফিরেছিল। অতঃপর ফিউশন ট্রেকিং সিস্টেমের মূল সেন্টারটি ধ্বংস করতে যাওয়ার আগে অ্যালান তার ডিভাইসটিকে নষ্ট করে নিজের আইডেনটিটি সিস্টেম থেকে মুছে দেয়। ডিভাইসটি নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে কোলন অ্যালান ফিউশন ট্রেকিং পৃথিবীতে এক অর্থে অস্তিত্বহীন হয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই কোলন অ্যালান ফিউশন সেন্টারের মূল গোলকটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। গোলকটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেক মানুষ ট্রেকিং সিস্টেমের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে। আর কোলন অ্যালান তখন স্বাধীন পৃথিবীবাসীর উদ্দেশ্যে প্রদেয় ভাষণে উল্লেখ করে :

'...বিশ্ববাসী, আজ আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমাদের সামনে অনেক কাজ, আমাদের প্রিয় এই পৃথিবীকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।' ---পৃ.১০৯

অতঃপর একজন অ্যালানের আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়ে মানব জাতি নিজের তৈরি ট্রেকিং শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে। কিন্তু অ্যালানের কোলন নিজের ওপর ভরসা করতে পারে না এজন্য যে, তাকে কোলন জানার পর তার স্ত্রী রাইসা নিশ্চয় তাকে গ্রহণ করবে না। কিন্তু রাইসা তাকে অভিনন্দিত করে মানব জাতিকে মুক্তি এনে দেয়ার নায়ক হিসেবে এবং সাদরে গ্রহণ করে প্রকৃত অ্যালান হিসেবেই।

'ফিউশন ট্রেকিং' ধ্বংস করে দিয়ে গল্পকার সাইফুল ইসলাম মানব জাতিকে যে মুক্তির কথা জানিয়েছেন, তার অপব্যবহার করে মানুষ জাতি যদি পুনরায় স্বাধীনতার নামে উচ্ছৃঙ্খলতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়-- তাহলে পুনরায় দরকার হবে নতুন কোন প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ। সাইফুল ইসলামের গল্পের নায়ক অ্যালানের কোলন যে ভাষণ দিয়েছে, সেখানে মানব প্রজাতির প্রতি স্বাধীনতার অপব্যবহার না করার ইঙ্গিত আছে।


অনেক দিন আগে আইজ্যাক আচিমভ-এর 'ফাউন্ডেশন' সিরিজের সাইন্স ফিকশনগুলো পড়তে গিয়ে যে টানটান উত্তেজনায় বিজ্ঞানের কল্পিত জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম--- সাইফুলের 'ফিউশন ট্রেকিং' পড়তে গিয়ে অনুরূপ আনন্দ আর উত্তেজনায় সতর্ক ছিলাম। চমৎকার ঝরঝরে একটি সাইন্স ফিকশন উপহার দেয়ার জন্য পাঠক হিসেবে সাইফুল ইসরামের প্রতি রইল অভিনন্দন এবং আরো এ জাতীয় ফিকশন লেখার অনুরোধ। নিশ্চয় অব্যাহত রাখবেন কাজের এই ধারা...।

.....................................................................................................




অতঃপর 'অপরবাস্তব'-৪ এর কবিতা...

গোটা গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে পাঠ করেছি এবং লিখেছি স্বীয় পাঠ-প্রতিক্রিয়া। হয়তো আমার প্রকাশিত এ প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে অনেক লেখকের বিরাগভাজনও হয়েছি। সমালোচক হিসেবে এটা আমাকে হজম করতেই হয়। কারণ, সব লেখকেরই প্রশংসা পাওয়ার সৌভাগ্য ঘটে না সমালোচকের।

তারপরও 'অপরবাস্তব'-৪ এর কবিতাগুলো নিয়ে আলোচনার কথা কেউ কেউ বলেছেন। না হয়, কবিতা নিয়ে কিছু কথা বলতে গিয়ে আরো কিছু লেখকের বিরাগভাজন হতাম। কিন্তু সত্যি কথা সবসময় সব জায়গায় প্রকাশ করার বিপদ সম্পর্কে সকলেই অবহিত। সেই বিপদের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কবিতার ভক্ত হিসেবে কিছু বলার ছিল, অথচ তা না বলাই শ্রেয় মনে করছি। তাছাড়া কবিতাগুলো পাঠের পর ভেতর থেকেও খুব একটা তাগাদা অনুভব করি নি। শুধু বলব, ভবিষ্যতে কবিতা সংকলনের ক্ষেত্রে আরো সচেতন ও সতর্ক হবেন সংকলক ও সম্পাদক। এতটুকু প্রত্যাশা নিয়ে 'অপরবাস্তব'-৪ এর পাঠাভিজ্ঞানের ইতি টানলাম।

দ্রষ্টব্য :
পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে সবগুলো পর্বের লিংক দিলাম। আগ্রহী পাঠকগণ নিচের লিংকে ক্লিক করুন :



পর্ব ৬ষ্ঠ : Click This Link

পর্ব ৫ম : Click This Link

পর্ব ৪র্থ : Click This Link

পর্ব ৩য় : Click This Link

পর্ব ২য় : Click This Link

পর্ব ১ম : Click This Link

.......................................................................................................

১৪১৭ বাংলা সন...
.................সকল ব্লগারকে ১৪১৭ বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২২
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×