somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রথম বাংলা
((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

বিষন্নতা দেখা দিলেইকি ভেঙ্গে পড়বেন??

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবন আপনাকে বারবার ঠকাচ্ছে, কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা, আর কুলিয়ে উঠতে পরছেননা, একেবারে হতাস হয়ে পড়েছেন? ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে আরম্ব করলেন আর কিছু হবেনা। মেয়েদের চিরুনিতে জড়ানো চুলের মত জটপাকিয়ে যাচ্ছে কেবল জীবন খানা। এমনটি কি হচ্ছে?
জেনে রাখবেন আপনার পৃথিবীতে আসার একমাত্র উদ্দেশ্য কোন একটা ভালো কাজএর স্মৃতি রেখে যাওয়া। অনেক ধন সম্পদ আপনাকে চিরঞ্জীব করবেনা, মানে আপনার মরনের পর আর আপনাকে কেউ মনে রাখবেনা। কিন্তু আপনার কোন ভালকাজই আপনাকে করতে পারে মানুষর কাছে স্মরণীয়। আর চীর স্মরণীয় হতে চাইবেননা কখনোই, কারণ কেহই চির- স্মরনীয় না! এই পৃথিবী একদিন সবাইকেই ভুলে যাবে, তবে ভাল কাজ করলে তা মানুষ সহজে ভুলবেনা আর প্রকৃতি সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ যাই বলোননা কেনো মানুষ বানানোর একমাত্র উদ্দেস্যও অনেকটা তাই, যে আপনি ভালোকাজ করবেন।
আমার নানার বাড়ি পীর বাড়ি, দাদার বাড়ি সাহেববাড়ি, একারনে আমার বন্ধুরা আমাকে মসকরা করে “ফিরসাব” মানে পীরসাব ডাকে। কিন্তু আমার সেরকম কোন গুণ নাই যে আমি দোয়া কালাম বা ফু-ফা দিলাম আর আপনার মনের দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা বা হতাসা দূর হয়ে গেলো। আবার কোন ডাক্তার ও না। তবে অভিজ্ঞতার বিনিময় হতে পারে।
ধরেন আপনারা দুই বন্ধু একসাথে সাগরের মাঝেখানের কোন পাথুরে দ্বীপে আটকা পড়েছেন, সেখানে আপনাদের কাছে একটিন বিসকিট আর এক মশক পানি মজুদ আছে মাত্র। দুজনের বড়জোর ২ দিন চলবে। আপনি ভাবনায় পড়ে গেলেন, কী করা?
আপনার বন্ধু খাবার খাচ্ছে ঘুরছে। আপনিও মাঝে মাঝে প্রয়োজন মত খাচ্ছেন, কিন্তু পানি খাচ্ছেন কম, সে খাচ্ছে ইচ্ছেমত তার কোন ভাবনা নাই। এদিকে প্রথম দিন গিয়ে দ্বিতীয় দিন বিকাল হয়ে গেলো। উদ্ধারের কোন আসা নাই।
আপনার ভাবনা বেড়েই চলেছে, কী করাযায় কী করাযায় ভাবনা। পানি শেষ হলে কি হবে সেই ভাবনা, খাবার কোথায় পাওয়া যাবে সেই ভাবনা। ইত্যাদি ইত্যাদি।
চলোন দেখি আমরা এই গল্পথেকে কী পেলাম।
১। এই সংকট কালে কী কী সমস্যা হতে পারে আপনি আগেথেকে অনুমান করতে পারছেন, কিন্তু আপনার বন্ধু পারছেনা।
২। সাগরে প্রচুর পানি থাকলেও তা খাওয়া যায়না সেটি আপনি জানেন, আপনার বন্ধু সেটা জানেনা।
৩। এই পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং উদ্ধারের উপায় খুজতে হবে, তার জন্য প্রচুর ভাবনা চিন্তার দরকার। আপনার বন্ধু আপনার উপর নির্ভর করে বসে আছে।
তার মানে সহজেই বোঝাযায় আপনার চিন্তা এবং অনুধাবন ক্ষমতা আপনার বন্ধু থেকে অনেক বেশি, তাইনা। তাই বলছি জেনে রাখবেন আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ।

আর একজন বুদ্ধিমান মানুষ সমাজের ভালোমন্দ সব বিষয় আগেথেকে অনুমান করতে পারে বলেই তার ভাবনাও থাকে অনেক বেশি। এই ভাবনাই অনেক সময় দুর্ভাবনায় পরিনত হয়। তখন এই দূর্ভাবনার প্রভাব আমাদের আচরনের উপর পড়ে যা আমাদের চারপাশের মানুষ গুলোর চোখ এড়ায় না, তাই বিষন্ন হলেই আমাদের শুন্তেহয় “ কীরে তোকে এমন বিষন্নলাগছে কেনো”?।
আপনি বিষন্ন অথবা হতাস? তাহলে জেনে রাখবেন আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ। আপনার অনেক কিছু বুঝার এবং চিন্তা করার খমতা আছে বলেই আপনি চিন্তা করছেন।
আর বুদ্ধিমানদেরকেই আল্লাহ বড় বড় দায়ীত্ব দিয়েছেন। আসলে যে যে কাজ করতে পারে তাকেইতো সে কাজের দায়ীত্ব দেয়া হয় তাইনা। হয়তো যে দায়ীত্বটা আপনার আমার উপর আছে আমরা যেটি পালন করতে যে হিমশিম খাচ্ছি সেটি আমি বা আপনি ধর্য্য সহকারে মোকাবেলা করতে পারবো বলেই আল্লা আমাদের এটি দিয়েছেন।
প্রত্যেক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ বা বিষণ্ন লোকই একমাত্র জানে কী তার দুশ্চিন্তার কারণ। আর এই কারণটা সাধারণত বিভিন্ন কারণে কারো কাছে বলা যায়না। কেউ বলেও না। আর বলেনা বলেই হয়তো তার এই দুশ্চিন্তার কোন উপশমও হয়না সহজে।
আপনি যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হোন বা বিষন্নতার অভিজ্ঞতা না থাকে তবে আপনার কাছে হয়তো এই লিখাটা একদমই খাপছাড়া এবং অপ্রয়োজনীয় মনে হবে।
যেমন কোন জন্মান্দলোককে রং চেনানো যায়না। এমনকি রং সংক্রান্ত কোন আলোচনা তাদের মনের উপর কোন প্রভাব ফেলেনা, কারণ এই অন্ধ ব্যক্তির মস্তিষ্কে রঙের কোন স্মৃতি নাই।
একজন বিষন্ন লোকই কেবল জানে বিষন্নতার কী জন্ত্রনা, কী কারনে সে বিষন্ন এবং কী ঘটলে বা করতে পারল সে বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাবে।
আরেকটা মজার ঘটনা কি জানেন? প্রতি ১০০ জন মানুষের মাঝে ৮০ জনই জীবনের কোন একটা পর্যায়ে বিষন্নতা গ্রস্ত হয় এবং তার মাঝে ৭৮ জনই আবার এই বিষন্নতা থেকে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসে সম্পুর্ন নিজ চেষ্টায়। এবং কাউকে বুঝতে দেয়না। ঐ দুজন ও ফিরতে পারে কখনো কখনো আবার এর মাঝে যারা ফিরতে পারেনা বা আচরণ যাদের পাল্টে যায় আমরা তাদেরটা জান্তে পারি। সমাজের সকলের সহায়তায় এই দুজনও কিন্তু শেষমেস ফিরে আসে।
একজন হতাসাগ্রস্ত বা বিষন্ন মানুষ তার অবস্থা বিবেচনায় ভাবতে পারে যে আমি কি আর সাভাবিক হতে পারবো? ফিরে পাবো আমার হারানো কর্মশক্তি, স্বপ্ন ইচ্ছা আশা? কিন্তু এই পরিস্থিতিটা সবাই একসময় অভারকাম করতে পারে এটিই মানব জাতির প্রতি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত।
তার মানে হলো হতাসায় পড়ে একেবারে হতাস হবার কোন কারন নাই, বা দুশ্চিন্ত নিয়ে দূরভাবনার কোন প্রয়োজন নাই।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×