বড় ছেলে নাটক টা দেখলাম, নাটকে এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। এমন ঘটনা শুধু যে নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলের সাথেই হয় এমন টা না। মধ্যবিত্ত পরিবারের দায়িত্বশীল প্রতিটা ছেলের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে।
এই নাটকে নায়কের প্রেমিকা যথেষ্ট ভালো ছিলো , সে নায়কের আবস্থাটা খুব হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলো। নিজেকে মধ্যবিত্ত পরিবারে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করেছিল। এই ব্যাপার গুলো খুব দক্ষতার সাথে পরিচালক দেখিয়েছেন।
আমি এই নাটকের নাম টা নিয়ে খুশি না, কারন মধ্যবিত্ত পরিবারের সকল দায়িত্বশীল ছেলেদের পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের অনেক ভালোবাসার অনেক কিছু হাসি মুখে আর বুক ফাটা দুঃখে বিসর্জন দিতে হয়। এই বিসর্জনের গল্পগুলো বেশির ভাগ সময়ে জীবনের কঠোরতায় চাপা পড়ে যায়।
মব্যবিত্তের কষ্ট শুধু প্রেমিকা কে বউ হিসেবে না পাওয়ার মধ্যই সীমাবদ্ধ না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে একটা ছেলে বুঝতে থাকে যে সে মধ্যবিত্ত, অন্যদের চেয়ে তার জীবন আলাদা। যখন বাকি সব বন্ধুরা বাসায় শান্তির ঘুম দেয় তখন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটা টিউশনির বাসায় ছুটে। যখন অন্যরা ঘুম শেষে বিকালবেলা প্রেমিকার সাথে বসে আড্ডা দেয় তখন, মধ্যবিত্ত ছেলেটা একটা টিউশনি শেষ করে অন্যটার পিছনে ছুটে। এইভাবে রাত ১০টা বা কখনো ১১ টা পর্যন্ত চলে। আমি এমন অনেক কে দেখেছি যারা রাত ১০টা টিউশনি থেকে ফিরে নিজে রান্না করে তার পর খাওয়া লাগে। খাওয়ার পর থালা বাসন হতে শুরু করে সব তার নিজেরই পরিষ্কার করা লাগে। এইসব কিছুর পর হয়ত নিজের পড়ার জন্য একটু সময় বের করে। তারপর শেষ রাতে ঘুম। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন এসে দেখায় নতুন দিগন্ত, যা ভোর হলেই শেষ হয়ে যায়।এই ভাবেই চলতে থাকে মধ্যবিত্ত জীবন তরী।
( আরও অনেক কিছু লেখার ছিলো , জীবনে যদি কখনো সুযোগ পাই তো আবার লিখব)
ধন্যবাদ