কুরবানীর ঈদের দ্বিতীয়দিন নানান ছুতোয় মেসে ফিরব।আপু চাচ্ছেন, আমি না ফিরি।ইন্টারনেট কিনে ফকির হওয়ার থেকে মেসে এসে ওয়াইফাই ইউজ করব এই জন্যই ফিরব।অবশেষে আমাকে আসতে দিলেন সাথে দিয়ে দিলেন কিছু রান্না করা গরুর গোশত।
মেসে ফিরে এসে আশরাফ ভাই ছাড়া কাউকে পেলাম নাহ।আর খালারা(মেসের ভুয়া) মুটামুটি ঈদের তিন চারদিন ছুটি কাটায়।গোশত গ্যাসের চুলায় জ্বাল দিয়ে তিনবার খাওয়ার পর ঝোল নামক সব পানি ফিজিক্সের মত দুই অক্ষ বরাবর মানে আকাশের দিকে আর ড্রেনের দিকে চলে গেছে।
পানি দুই অক্ষ বরাবর যাওয়ার ফলে পাতিলে পানির ঘাটতি দেখা দিছে।তাই ভেবে দেখলাম ভাত খাওয়া সম্ভব নাহ।কারন শুধু গোশত দিয়ে খাওয়া যায় নাহ ।
অবশেষে রান্না নামক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলাম।আমি খুব ভাল রাধুনী।জীবনে অনেকবার ভাত,আলুর ভর্তা সহ ডিম ভাজি রান্না করছি।জীবনে এর আগেও একবার রান্না করেছিলাম গরুর গোশত অইবার এক ভাই সব কিছু দেখাইয়া দিছিলো আর আমি শুধু তাকে হেল্প করছিলাম।
প্রথমে পাতিলে পানির অভাব থাকায় চুলা জ্বালিয়ে গোশতের পাতিল বসায়ে পানি দেয়া শুরু করলাম।পানি বাঙ্গলাদেশে খুব সহজলভ্য তাই পানি একটু বেশি দিয়ে দিলাম।কিছুক্ষন পর মনে হলো শুধু পানি দিলে ত কালার ও ভাল হবে নাহ খাওয়া ও যাবে নাহ।তাই তিন কালারের মসলার গুড়া দিয়ে দিলাম।এবার সব রাধুনির মত চেখে দেখার পালা।দেখি লবন হয় নাই।লবন পরিমান মত দিলাম।মিনিট দুয়েক পোছার পর গোশতের ঝোলের কালার ভালানা :/ খাইতেও মনে হয় টেস্ট হইব নাহ।একটু পরে মনে হলো রান্না করার সময় তেল দিতে হয়।এবার তেল দিয়ে আরো দুমিনিট পর মনে হলো রান্না ত এভাবে নাহ।প্রথমে তেল তারপর মশলা তারপর পিয়াজ দিয়ে তারপর সব গোশত দিতে হয়।
অগত্যা নামিয়ে ফেললাম।নামায়ে পানি ফেলায়ে দিলাম গোশত গুলা নরমাল পানিতে ধুয়ে নিলাম বাট পাতিল না ধুয়ে বসায়ে দিলাম।পিয়াজ খুজে পেলাম নাহ।চুলায় পাতিল বসায়ে দিছি অলরেডি আগুন দিয়ে।পাতিলে তেল তিন ধরনের মসলার গুড়া ও লবন দিয়ে দিলাম।অবশেষে গোশত দিলাম।এবারো ভাগ্য আমার দিকে নাহ পাতিলের দিকে হেলে গেছে।গোশত সহ সব কিছুর বর্ন কৃশ্নকায় হয়ে গেছে।বুঝলাম পাতিলে আগের কিছু পানি মনে হয় ছিল অইগুলা পুড়েই এই অবস্থা।
আবার নামিয়ে নিলাম।এবার পাতিল সহ গোশত ধুয়ে সেইম প্রসেসে আবার রান্না বসাইলাম।এইবারো একি অবস্থা।অবশেষে বুঝলাম পেয়াজ ও খালা অথবা অভিজ্ঞ ছাড়া রান্না করা যায় নাহ।
ভাগ্য কিছুটা সহায় হলো বিকেলে খালা রান্না করতে এলেন।খালা এমন রান্না করছে ঝোল ছাড়া গোশত ও অমৃত হতো
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭