এই যে ধীরে, নিজেকে একাকী ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি দূরে
প্রিয়তমা, তুমি কি জানো
হাত-পা ছড়িয়ে কেমন আয়েশে প্রতিদিন দরজায় শুয়ে থাকে
তোমার রেখে যাওয়া ঘড়ি
বারবার নিজেকে ক্ষয় করে, প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে যুদ্ধে হেরে গিয়ে
ভুলে যাই সরাসরি আকাশে তাকাতে
যে কোনো রাস্তার মোড়ে বসে থাকা ভিখেরির দৃষ্টি তাড়া করে ফেরে
শাস্তি, অপেক্ষা ও ঘোরে
নষ্ট আয়ুর বয়াম রাখা হয়েছে রোদে
সমস্ত ঘ্রাণ উড়ে যায় পোড়া ত্বক থেকে
কোনো অস্থিতেই লাভবান হয় না শরীরের ভার
রোজ রোজ পানি বিক্রেতার পিপাসা সমীপে
তোমাকে ভাবতে ভাবতেই প্রিয় উঠে আগুনের ছোঁয়া
মৃত্যু উচ্ছ্বাস
একটি দুটি সাপ এখনও আমার ঘরে আগের মতোই সন্তপর্ণে বাঁচে
চারিদিকে বাড়তে থাকা মৃত শরীরের ফাঁদ
বাতাস কি উড়িয়ে নেবে আজ অস্থিহীন অস্থির পাহাড়
নেশা নয়, আমাকে বাঁচিয়ে রাখে বিষাক্ত উত্তাপ
প্রতিবারই অনেক কষ্টে টেনে নেওয়া সুস্থ বাতাস
আমাকে বাধ্য করে পেরিয়ে যেতে
সুপ্রাচীন অস্থি পাহাড়
সারাদিন শয়তান চোখে চোখে রাখে
প্রয়োজনীয় হাসি অথবা অসংলগ্ন কথার ভীড়ে
টেবিলের ওপাশে নিশ্চুপ ফেরেশতা অথবা তুমি
আমাকে বলে, ফিরে যাও ঘরমুখী মানুষের বেশে
অনেক কষ্টে দেয়াল ধরে ধরে কিছুটা পথ এগিয়ে এসে
মনে হয় আরেকটি স্বর্গ যেন ভুল করে ছেড়ে এসেছি দূরে
প্রিয়তমা, তুমি কি এখন মেঘের পথে পথে
আমাকে দেখো হাত-পা হারিয়ে
বসে আছি দিক-চিহ্নহীন রাস্তার মোড়ে
করুণার মতো স্মৃতির অসংখ্য মুদ্রা
জমা করছি ভুল হৃদয়ের ঘোরে
হয়ত আবারও ফিরবে ট্রেন শেষ সংকেত দিয়ে
সারাদিন সহজ প্রশ্নের মতো
বসে থাকি ভাঙ্গা গ্লাসের পাশে
এত যে তাড়া মানুষের হাজার হাজার বছর ধরে
জানে না কীভাবে গন্তব্যের লোভে
পরিধান লুকিয়ে রাখে রোদ, আয়ুর উদ্বেগ
বহুদূরে একটি পথিক ফেরে তোমাদেরই ছেড়ে আসা পথ ধরে
মুখোমুখি অগুনিত বিপরীত মুখ
কে কাকে চেনে
পথের নিচেও তো রয়ে যায় অসংখ্য পথ
যুগ যুগ ধরে
প্রিয়তমা, তুমি ছুটো না আর নীল সীমারেখা ধরে
ভাঙ্গা শব্দগুলো জোড়া দিয়েছি নদীর সূত্র মেনে
আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া মেঘের কথামালা
বৃক্ষ সংসারে আরেকটু এগিয়ে এসে
পুরোনো সাপগুলো ছেড়ে দিই প্রাচীন নদীর জলে
বারবার ফিরে আসা অন্ধকার এই ঘরে
একাকী ছায়া এক দেয়াল খুঁজে ফেরে
অস্থিহীন মানুষের আকার ফিরে পেতে
অথচ রোজ আমি ঘরে ফিরি সাপের খাদ্য কিনে
Especial thanks to Owen Campbell
The man who impressed me a lot with his singing, music and lyrics