তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ধরো গভীর রাত। সময় ঠিক রাত ১২ টা এবং রাস্তা জনমানব শূন্য। তুমি আর তোমরা ৪-৫ জন বন্ধু একসাথে আছো। দূর থেকে দেখতে পাচ্ছো দুজন মেয়ে আসছে এ পথে। কাছে আসার পর বুঝলে একজন সানি লিওন আরেকজন নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
তোমাদের যদি সুযোগ থাকে তাহলে তোমরা কাকে তুলে নিয়ে যাবে ?
সে বললো, ভাই সুযোগ থাকলেতো দুইজনেরেই তুলে নেয়া যায়। তার এই উত্তর অনাকাঙ্খিত ছিলনা। আমি এইরকম উত্তর ই চাচ্ছিলাম। সুযোগ থাকলে, কে সানি কে মালালা তা দেখার সময় থাকবেনা উত্তেজনায়। পুরোটাই সুযোগের খেলা।
আমরা উম্মাদ, আমরা উত্তেজিত। আমাদের সেই সময় নেই কারো কথা শোনার। আমরা একবার যেইটা ভেবে নেই তার বিপরীতে কেউ নেয়াতো দূরে থাক নিজেরাও যাইনা। চিন্তাকে সহজ করি।
ধ্বর্ষন হচ্ছে এক প্রকার সুযোগ। Morality is nothing but lake of opportunity. সুযোগ থাকলে ৮০ বছরের বৃদ্ধা এবং ৫ বছরের শিশু সব সমান।
এখন সে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, ভাই সুযোগতো করে নেয়া যায় ইচ্ছা করলেই। অনেক সময় সুযোগ আমরা কপালের জোরেই পেয়ে যাই। সবাইতো ধ্বর্ষন করেনা।
এইটা ইন্টেলিজেন্ট প্রশ্ন। সুযোগ আমরা সবাই ই পাই। কিন্তু কোনটা সুযোগ কোনটা সুযোগ না তা আমরা সবাই বুঝিনা। আমরা আমাদের নিজেকে বুঝি, জানি। প্রকৃত জ্ঞ্যানের সাথে আমাদের কিঞ্চিত হলেও জানাশোনা আছে। আমরা সুযোগ থাকলেও নিজের বিরুদ্ধে যেতে পারবোনা।
এসব সুযোগ কাজে লাগানোর মত দক্ষতা একমাত্র অমানুষদের ই আছে।
সে বললো তাহলে ভাই কি করা যায় ?
তুমি নিজেকে সংযত করো। তুমি ছেলে হও মেয়ে হও, তুমি নিজেকে সংযত করো। তুমি একজন পুরুষকে কন্ট্রোল করতে পারবেনা, তুমি নিজেকে সংযত করতে পারবে। তুমি কোন নারীকে কন্ট্রোল করতে পারবেনা, তুমি পারবে নিজেকে সংযত করতে।
ধ্বর্ষন রোধ করার একমাত্র উপায় নিজ নিজ পর্যায়ে সংযত হওয়া।
এবং আরো একটা কথা হচ্ছে কর্মবাদ। আমাদের বর্তমান আমাদের অতীতের কর্মের ফল এবং ভবিষ্যৎ হচ্ছে বর্তমানের কর্ম। নারী পুরুষ কেহই এর বাহিরে না