somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি-র গল্প…

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপরের ছিবিটি কি চিনতে পেরেছেন? একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হলেও এটি চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে এ ছবিটি হয়ত হাজারবার ভেসে এসেছে আপনার ডেস্কটপে। এবার আরেকটু ভিন্ন ভাবে আসা যাক, আচ্ছা, বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি কোনটি?void(1);হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দেখা এ ছবিটি হচ্ছে উপরের এই উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার, যেটি বিলিয়ন বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। ঘাসের উপরে নীল আকাশ, আর আকাশে খন্ড খন্ড সাদামেঘ। মাটি থেকে আকাশের অদ্ভুত এক ‘কম্বিনেশন’! উন্মুক্ত মাঠে নীল রং আর উজ্জল আলোর খেলা দেখা যায় এ ছবিটিতে। উইন্ডোজ এক্সপির এ ওয়ালপেপারটি দেখে অনেকেরই ধারণা, ছবিটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা হয়েছে, কিন্তু আসল ব্যাপারটি তেমন নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নাপাভ্যালীর একটি পথের ধারে তোলা ছবি যেটি ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার চাক ওরিয়ার (চার্লস ওরিয়ার)। তার তোলা উপরের এই ছবিটি কেবল উইন্ডোজ এক্সপির ওয়ালপেপার হিসাবেই আলোচিত নয়, এর দামের হিসাবেও এটি বেশ আলোচিত। জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ছবির তালিকায় এটি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে javascript:void(1); ওরিয়ার একেবারে জাত ফটোগ্রাফার। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ম্যাগাজিনে তিনি দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি করেছেন। এখানে কাজ করার সময়ই ওরিয়ারের ফটোগ্রাফি সুনাম ছড়ায় সর্বত্র। তাঁর এক্সপি ওয়ালপেপারের ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করার কাহিনীটিও বেশ মজার। তখন সদ্য ৬০ পেরিয়েছেন। আর এ বয়সেই আবার নতুন একটি প্রেমে পড়েছেন এ জাত আলোকচিত্রী। রোদ্রোজ্জল এক দিনে নতুন প্রেমিকার সঙ্গে নিজেই গাড়ি হাকিয়ে যাচ্ছিলেন নাপা ভ্যালীর পথ দিয়ে। সঙ্গে ছিল তার অতিপ্রিয় ক্যামেরাটি। চারপাশে তখন ঝলমলে রোদ। রাস্তার দুপাশে আঙ্গুর বাগান। রাস্তার পাশেই উচু টিলা। আর টিলায় সারি সারি আঙ্গুর গাছ। টিলা তখন সবুজ ঘাসে ভরে উঠেছে। টানা রোদে অদ্ভুদ রঙ ছড়ায় এ ঘাসগুলো। আর এ রঙ চোখ এড়ায় না চাক ওরিয়ারের। গাড়ি থামিয়ে নামেন তিনি। একটানা বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। নিচে সবুজ ঘাস, আর আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ।javascript:void(1)নাপাভ্যালীর এ স্থানটি বেশ আকর্শনীয় হওয়ায় এখানে অনেক ফটোগ্রাফারই আসেন, ছবি তোলেন। তবে আকাশের রঙ আর ঘাসের এ অদ্ভুত মিল এর আগে খুঁজে পাননি কেউই। এই প্রথম চাক ওরিয়ারের ক্যামেরায় আলো আর নীলের মাঝে ঘাস আর মেঘের অদ্ভুত চিত্রটি ধরা পড়লো। ছবিটি দেখে বেশ পুলকিত হলেন ওরিয়ার, তবে তখনও তিনি ধারণা করতে পারেনি তার এই ছবিটিই ইতিহাসের একটি উজ্জল অধ্যায় হতে যাচ্ছে। এ ছবিটিই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা একটি ছবি। তবে একটি ভালো ছবি তুলে ফটোগ্রাফার যেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটি হয়নি। ওরিয়ারেরর ভাষায়, ‘আসলে আমার নতুন প্রেমিকা তখন আমার সঙ্গে, ছবিটি দেখে বুঝলাম যে একেবারে অর্ডিনারি একটা ছবি এসেছে। তবে বেশিক্ষণ সেটি দেখার সুযোগ হয়নি। ক্যামেরা গুটিয়ে তড়িঘরি করে সেসময় গাড়িতে উঠি।’

ছবিটি তুলে এ নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করা হয়নি ওরিয়ারের। এভাবেই বেশকিছুদিন পার হয়ে যায়। হয়ত ছবিটির কথা ভুলতেই বসেছিলেন তিনি। তবে না, এটির কথা আবার মনে করিয়ে দিলো তার এজেন্সি। কোথা থেকে যেন ওরিয়ারের ছবিটি দেখেছেন মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা। আর এটি তাদের বেশ পছন্দও হয়েছে, যেটি তারা তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার করতে চায়। আর তাই মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা এ এজেন্সির মাধ্যমেই চেয়েছেন ছবিটির মূলকপি। চুক্তি করে ছবিটির স্বত্ব কিনে নেয় মাইক্রোসফট। তবে ছবিটির জন্য ঠিক কত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে সেটি গোপন রাখা হয়, চুক্তিতেও স্পষ্ট বলে দেয়া হয় যে, টাকার এ অংকটি কেউই প্রকাশ করতে পারবেন না! তবে ধারণা করা হয়, এটিই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চদামে বিক্রি হওয়া ছবি।javascript:void(1);সম্প্রতি ডেইলিমেইল এক সাক্ষাতকার নিয়েছিল চাক ওরিয়ারের। সেখানে তিনি তার এই বিখ্যাত ছবি সম্পর্কে বলেন, ছবিটি তোলার সময় একটুও ধারণা করতে পারিনি যে এটিই হতে যাচ্ছে একটি ‘আইকোনিক ফটো’। বাস্তবতা হচ্ছে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ছবি। এটা যদি বাংলাদেশের কোনো এক গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয় তবে সেও যেমন চিনতে পারবে, তেমনি চীনের ব্যস্ত রাস্তায় যদি কাউকে ছবিটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা এটি কিসের ছবি, সেও এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবে।’ (স্টোরি টা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো যে চাক ওরিয়ার বাংলাদেশের কথা বললেন!javascript:void(1);বিশ্বের কোটি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারী তাদের কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে চাক ওরিয়ারের তোলা এ ছবিটি দেখতে পান। তবে চাক নিজে তার কম্পিউটার চালুর পর এ ছবিটি দেখার সুযোগ পান না, কারণ তিনি ব্যবহার করেন অ্যাপলের ম্যাক, যেটি অ্যাপলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে চলে! :-/
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×