প্রেম সম্পর্কে ইসলাম কী বলেছে?
এটি হারাম নাকি হালাল? বেগানা পুরুষের সাথে
বেগানা মহিলার প্রেম পিরিত হারাম। প্রেম
জায়েজ তবে সেটা আপনার বিবাহিত স্ত্রীর
সাথে
ইসলামে প্রেম করা জায়েজ। কিন্তু সেই
প্রেম হতে হবে বাবার প্রতি সন্তানের
যে প্রেম থাকে, প্রতিবেশির প্রতি
প্রতিবেশির যে প্রেম থাকে। যদি আপনার
কোন যুবতী মেয়ের প্রতি যৌন
উত্তেজিত প্রেম থাকে তাহলে সেই
প্রেম একেবারেই জায়েজ নয়।
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম।
“ স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে
লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল
মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের
চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত
করতে বলা হয়েছে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা
হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর
নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে
তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার
নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা
হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা,
লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার
কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন
প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে
সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে
কি করে? এটা হারাম।
জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা
ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮)জিনার নিকট
যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার
নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই
নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে
জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা
মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে
শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ
অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই
ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা
পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। (সূরা
বাকারাঃ১৬৫)
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে
তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও
বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর
স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত
রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত
হবে? সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত নং ৯০
থেকে ৯১।
আসলে ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে
গুনাহ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় বলে
দেয়।প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই জিনা
করতে প্রলুব্ধ করবে। ইসলামে বিয়ের
আগে প্রেম করা হারাম।