somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক দিনের ক্ষোভ আজ শক্তিতে রুপান্তরিত করার সময় এসেছি। এসো এই মানুষরূপী যোকদের থেকে দেশকে বাঁচাই!!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমারা যারা সাধারণ মানুষ। আপনারা কেনো বুঝছেন না আমাদের নিয়ে ঐ ভন্ড রাজনৈতিকগণ খেলছেন। তাদের ঐ রক্তের হলি খেলা আজ আমাদের শহর বন্দর গ্রাম রাঙিয়েছে। ঐ নষ্ট রাজনীতি ও দূর্নিতীর কারনে অনেক দিনে জমে যাওয়া ক্ষোভের কালোমেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। জন প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ বিশ্বে আমাদের অকুতভয় অনেক সেনা সদস্য কর্মরত আছে। সেনাবাহিনী সরাসরী ক্ষমতা গ্রহন করলে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অসুবিধা হতে পারে। তাই সেনাবাহিনীকে প্রতিটি পদক্ষেপ চিন্তা ভাবনা করে নিতে হচ্ছে। পর পর কয়েকটি ধাপে খারাপ মানুষদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। প্রথম এলো অপারেশন ক্লিন হার্ট, তারপর ক্রোস ফায়ার, তারপর মঈন ইউ. সমর্থিত ফকরুদ্দীন স্যার। ফররুদ্দীন স্যারের মধ্যমে জনগণকে বোঝানো হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধে নয়। বিদেশে বাংলাদেশী সোনার মানুষরা কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে দেশের অর্থণীতিকে সমৃদ্ধ করে চলছে। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছে তার সাথে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত যুক্ত হচ্ছে ঘুষ। সাধারণ পণ্য সিন্ডিকেট করে বিক্রি হচ্ছে। সমাজে আজ স্পষ্ট দুটি শ্রেণী তৈরি হয়েছে। এক শ্রেনীতে আছে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব মানুষ অন্য দিকে আছে মুষ্টিমেয় কিছু রাজনৈতিক দূর্নিতীগ্রস্থ ব্যাসায়ী আমলা। কিন্তু এই মুষ্টিমেয় এই সয়তানরা তাদের ভাগ ভাটারা নিয়ে আজ গন্ডগোল পাকাচ্ছে তার খেসারত দিতে হচ্ছে এই সাধারণ মানুষকে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আজ তারা কাকে নেহা হিসেবে মেনে নিচ্ছি? এই রক্ত চোষা জোকদের? যারা গরিব মজুরের রক্তকে মদ বানিয়ে পান করে বিভিন্ন দেশী বেশ্যাদের নিয়ে খেলায় মেতে থাকে। এই মানুষ নামের সয়তানদের হাতের পুতুল হতে কি আমারা এই পৃথিবীতে এসেছি। তাদের ভয় পেলে চলবে না। মৃত্যু হবার আগেই নিজের মনের আকুল চেতনার মৃত্যু হলে তাকে কে বাঁচাবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক ত্যাগী বীর আছেন। যারা অন্যদেশে তাদের অবদানকে চীর অম্লান করে রেখেছেন। আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা ঐ সব আফ্রিকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কে জিজ্ঞাস করলে তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটুও কার্পন্য করে না। আর সেই সেনা সৈনিকদের পরিবার পরিজন বাবা দাদা যে বাংলাদেশে বাস করে তাদের কেনো এই করুন দশা হবে। তাদের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকিতে। আজ সেনাবাহিনী কিছু না করতে পারলে তারা বিমান বন্দর দখল করে তাদের সৈন্য সামন্ত নিয়ে চলে যাক আফ্রিকার দেশে। সেখানে গিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীর কাজ করুন। পারবেন না। কারন তারা আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ। তারাও ট্যাক্স ভ্যাট দেন। তাদেরও পরিবার পরিজন আছেন। আমাদের মাঝে কি ঐ নোংড়া মানুষগুলো ছাড়া আর কোনো নেতা নেত্রী নেই? নাকি সেই দ্বার অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বন্ধ করে রেখেছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এক হই। বাংলাদেশের পতাকার দিকে একবার তাকান। কাদের দখলে ঐ রক্তে অর্জন করা পতাকা? আমরা সাধারণ যখন অসাধারণ একটি স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করতে পেরেছি সেই আমরাই আমাদের নিজের মনের ভিতরের লুকায়িত নেতাটিকে বেড় করে বিশ্বে মাথা উচু করে উন্নত জাতিতে পরিনত হতে পারবো। বিশ্বের সেরা জাতি আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক ভুলের মাশুল আমরা দিয়েছি। তাদের অনেক ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। সেই শোধ করা যদি আমার রক্তের মাধ্যমে হয় তাতেও ভয় নেই। সেই চেতনা নিয়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করতে হবে। আর আমাদের পাশে থাকবে আমাদের গর্বিত সামরীক আধা সামরীক বাহিনী। কারন তাঁরা আমাদেরই মতো ঐ মুষ্টিমেয়দের হাতের খেলনা পুতলে পরিনত হয়ে ছে। এ যেনো অনেকদিনের মরিচা পরা কোনো শক্ত ইস্পাত। আসুন আমরা আমাদের মনের ইস্পাতকে জাগিয়ে তাকে শক্তিতে পরিনত করে সামনের দিন গুলো রাঙিয়ে তুলে সুখ সমৃদ্ধিতে। আমরা জেগে উঠবোই। আমাদের কেই আটকে রাখতে পারবে না। কারণ জীবন একটাই। একবার ব্যবহার করা যায় এই জীবন। সেই জীবনটা যদি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য দান করে দিতে হয় সেটাই হবে সুখের মরন। যারা নিজেরা ভালোভাবে বাঁচতে জানে না তারা কিভাবে একটি জাতিকে বাঁচাবে? কে সেই সত্য সুন্দর কে প্রতিষ্ঠিত করবে?

তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি হে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা। তোমাকে অভিবাদন জানাতে জাতি প্রস্তুত!!! তরুন প্রজন্মকে আহব্বান!!!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×