somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে কাজ করা দেশী বিদেশী এন.জি.ও. {শুনুন!} (শেষ পর্ব)

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আমার সব আলোচনায়ই নতুন নতুন আইডিয়া দিয়েছিলাম। সেগুলো থেকেও আপনারা অনেক কিছু করার মতো নিয়ামক পাবেন।
গ্রামে কোনো ডিপ টিউবল দিলে তা কোনোক্রমেই একক মালিকানায় দিবেন না। এক বা একাধিক বাড়ী/বংশদের নামে মালিকানা দিয়ে দিন। এতে সবাই উপকৃত হবে। আর কেউ যদি নিজস্ব খরচে বসাতে চায়। তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট সেকশন থেকে অনুমুতি নিয়ে নিবে।

দেশী এন.জি.ও. গুলোর বিদেশে শাখা স্থাপন করার প্রয়োজন হলে। শাখা চালু করা যাবে কিন্তু একটি টাকাও বাংলাদেশ থেকে চালান হতে পারবে না। ওখানের প্রফিট দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে।

প্রতিটা এন.জি.ও তাদের পেপারস ওর্য়ার্কের পলিসি পরিবর্তন করে সহজ করে তুলুন। সব হিসাব একই সার্ভারে করুন। গ্রাম পর্যায়ে শুধু এক্সেল দিয়ে হিসাব নিকাশ চলবে না। বিদেশ থেকে কিনে নিয়ে আসা ধান বা যে কোনো বীজ বিক্রির জন্য – এন.জি.স্টাফ ও চাষীদের বাধ্য করা যাবে না। আমার দেশের মাটি সোনার মাটি। যা ফলাবেন তাই ফলবে। আমরা মোটেও ফল আমদানি করবো না। আপেল, কমলা, আঙ্গুর, আনার, স্টাবেরী, মাল্টা ইত্যাদি সব ফল দেশের মাটিতে হবে। শহর, উপশহর, গ্রাম ও নদীর পাড়ে অনেক বেলে মাটির দেখা মেলে। ধরুন ড্রেজিং করার পরে ভরাট কৃত জায়গা বালী সহ পড়ে থাকে। ওখানে তরমুজ, বাঙ্গি চাষ করার মতো সুযোগ তৈরি করুন।


প্রিয় বন্ধু! আজ আমাদের দেশের এন.জি.ও. গুলো বহু চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে এ পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আমাদের আইডিয়া ডেভেলপ করতে হবে। আমাদের এন.জি.ও. গুলোর একটি শক্ত স্ট্রাকচার আছে, অনেক পলিসি আছে। আমাদের পলিসিকে ডেভেলপ করতে হবে। এন.জি.ও. এর নামে কোনো মাল্টিপারপাস রীতি চালু হতে দেয়া যাবে না। আপনাকে বুঝতেই হবে যে, আমাদের এন.জি.ও. গুলোকে একটি মার্কেটিং পলিসির মতো করে অনেকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। তাই অনেক কমদামি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিলো। এখন থেকে আমাদের দেশের আত্মউন্নয়ন, আত্মকর্মসংস্থান ও আত্মসমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।

বন্ধু! আজ আপনি আর বোকা নন। আজ আপনাদের পায়ের নিচে মাটি আছে। মনে জোড় আছে। আমি আছি। আমার প্রিয়তম মুন আছে। ভয় কিসের? শুধু কাজ শুরু করে সামনে এগিয়ে যাবার পালা।

বন্ধু! অনেক দিন-রজনী আমরা অবুঝের মতো কাটিয়েছিলাম। নিজেরা নিজেদের মধ্যে শোরগোল পাকিয়েছিলাম। যোগ্য ব্যক্তিদের মাঝে অযোগ্য ব্যাক্তি ঢুকে পড়েছিলো। এগুলো এক বিশাল দুঃসময় ছিলো।

আজকে আমাদের আসল রূপ দেখানোর পালা। বাংলাদেশের ফল, মাছ, তরকারির দিকে আপনারা খেয়াল করুন। কমন কমন খাদ্যশস্য প্রচুর পরিমানে চাষ করুন ও সংগ্রহ করুন। আমাদের আনারস, আমাদের কাঠাল, আমাদের তরমুজ কে টিন জাত করে কাস্টমার তৈরি করুন। পুরো পৃথিবীতে আমরা এগুলো রপ্তানি করতে পারি। শুটকীকে ব্রান্ড করে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিন। আমরা খাদ্য, বস্ত্র, নির্মান, এন্টারটাইনমেন্ট প্রোডাক্টে বিশ্বের ১ নম্বর অবস্থানে নিয়ে যাবো। আর আমাদের প্রাপ্য আসন ওটাই।

আজ এন.জি.ও. কর্মিদের মধ্য উদ্দ্যোম নেই। এন.জি.ও এর মধ্য অফিস পলিটিক্স মারাত্মক আকার ধারন করেছে। সেই সাথে আছে দাতাদের অযুক্তিক শর্ত। যা আমাদের উপর বোঝা স্বরূপ। নিত্যদিন কৃয়েটিভ আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আমি আপনাদের সাহায্য সহযোগীতা করছি।

বাংলাদেশের এ্যাডুকেশ ব্যবস্থা ভালো হলে আপনাদের আমি এ্যডুকেশন সেক্টর থেকে দুরে থাকতে বলতাম। আপনারা বাংলাদেশের এ্যাডিকেশন ব্যবস্থা ও দূর্ণীতির উপর সরাসরি রিপোর্ট প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করবেন না। তাতে সরকার বাধা না দিয়ে, নিজেদের শুধরে নিতে পারবেন।

প্রতিটা এন.জি.ও. কর্মির কর্মঘন্টা ঠিক করুন। দিন-রাত কাজ করাবেন না। এন.জি.ও. কর্মিদের পেনশন ও বোনাস নিশ্চিত করুন। অতিরিক্ত কষ্টকর পেপার ওয়ার্কস এর জন্য অনেক কর্মঘন্টা চলে যায়। এন.জি.ও. কর্মিদের বছরে কমপক্ষে ২টি ট্রেনিং করান। পাবলিক জেন্টেল ম্যানেজমেন্ট দিয়ে পুরো টিমকে পরিচালিত করুন।

বিদেশীদের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছু নিয়ে একমত হবেন না। নিজেদের ব্যক্তিত্বকে আকাশ ছোয়া করে ফেলুন। আমি আর আমার মুন আপনাদের হেল্প করবো।

আপনারা বহু আগে যে নারী-পুরুষের কথা বলতেন। তা কি আজ আসিফ ও মুনের প্রেম দিয়েও বুঝতে পারছেন না?

আমি আমার প্রেম দিয়েই আপনাদের জয় করে নিয়েছিলাম। তাইতো জীবনের প্রতিটা পাকে আপনাদের জন্য শিক্ষা ও সাফল্যের সেপান ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে, এখানে আপনার আত্মার অতি নিকটে এসে কথা বলছি।

আমাদের অনুভুতি আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। কু-অনুভুতি পরাজিত হয়, আবার সু-অনুভুতিই সমস্ত জাহান মহা থেকে মহাশুন্য কে কন্ট্রোল করে জয়ী হয়। আপনাদের অনুভুতি ছিলো, আমি শুধু আপনাদের তা দেখাতে চেয়েছিলাম। এবং সেই কাজে আমি আজ মহাখুশি। মানুষ কিছুই রেখে যায় না। শুধু অনুভুতি রেখে যায়। জীবন চলার পথে কোনো একটি জায়গায় থেমে এসে বলে, “আরে! এই অনুভুতি তো তিনিই দিয়েছিলেন! “ সুতারং অনূভুতি হলো একটি সুখ-আনন্দ-সস্তির বিশ্রামাগার। এই মহাখুশির মহাআনন্দের সুতার উপর ফুল-চন্দনের মালা গেথে আপনাদের গলায় পরিয়ে দিলাম।

বন্ধু! গ্রামের মানুষদের জন্য নৌকা ডোনেট করুন। আমাদের নদীপথের জ্বালানী খরচ কমাতে হবে। আমাদের দেশের নদীগুলো এতো আঁকা বাঁকা ও সেই সাথে বিশাল চ্যানেলের দ্বারা যুক্ত হয়ে অনেক সহজ পথ সৃষ্টি হয়েছিলো। আমাদের এই সুন্দর যোগাযোগের মাধ্যম প্রকৃতির অফুরন্ত দান। যে জাতি এতবড় দান নিয়ে বসে আছে, তারা কিভাবে বিদেশিদের দান দ্বারা নিজেদের জীবন কাঁটাবে? তাঁদের আত্মসম্মান আছে। সেই আত্মসম্মান বোধকে টেনে বেড় করে প্রকাশ করানোর দ্বায়িত্ব অন্যদের পাশাপাশি আপনাকেও নিতে হবে। আপনি অবশ্যই তা পারবেন।

আমাদের এন.জি.ও. গুলোর সমস্ত সেক্টরকে ডিজিটালাইজড করে ফেলুন। একটি পিডিএ/ট্যাবলয়েড স্টাফদের হাতে দিয়ে দিন। যেখানে যা এন্ট্রি হবে ও খরচ হবে তা সরাসরি এন.জি.ওর ফান্ডে চলে আসবে এবং সহজেই আপডেট দেখা যাবে।

বন্ধু! আমাদের যে কোনো উপায়, আগামী ২বছরের মধ্যে ওর্য়াল্ড ইকোমির প্রথম ১০ নম্বরের মধ্যে থাকতে হবে। এই পরিবর্তনের সাথে আপনারা কন্ডারী হয়ে থাকুন।
আমি আপনাদের কমিউনিটি সেনিট্যারি সিস্টেমের কথা বলেছিলাম। যেখান থেকে আমরা বায়গ্যাসের মাধ্যমে অনেক মানুষকে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে পারি। এই প্রজেক্ট গুলো বাস্তবায়ন করতে আপনাদের সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলার মাটি কোনোভাবেই পশ্চিমারা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। যদি সেই চেষ্টা আবারও করা হয়। তাহলে এবার আমি ধ্বংস করে শক্তিহীন করে রাখতে বাধ্য হব। যা আমি আপনাদের বহু আগেই জানিয়ে রেখেছি।

গুনে দেখুন আপনারা? হল্যান্ড/নেদারল্যান্ড/ডাচ দের কাছে কত রকমের ফুল গাছ আছে ও ফুল আছে। আমরা তাঁদের থেকে ফুলের চারা নিয়ে এসে নিজের দেশে উৎপাদন করবো ও রপ্তানি করবো। ডাচ জাতি অবশ্যই আমাদের সাহায্য ও সহযোগীতা করতে বাধ্য থাকবে।

বন্ধু! আপনারা জানেন যে, অনেকদিন থেকে প্রচার করা হচ্ছে, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের। এই প্রকল্পে প্রচুর পরিমান চুরি হয়। যা বুঝলে খামার বাড়ীর কাউকে খামার দিতে ছাড়বেন না। আমাদের চাহিদা হলো, ১টি বাড়ী, একটি পুকুর, একটি বাগান ও একটি খামার। আমিশের ঘাটতি মিটানো, নিরাপদ পানি ও মাছ চাষে নিজেদের অবদান রাখা। এজন্য পুকুর লিখিছি। আমলারা আবার এই পুকুর থেকে আবার পুকুর চুরির গন্ধ না পায়। আমলাদের প্রধান নেশা একটাই আর তা হলো টাকার গন্ধ নাক দিয়ে টেনে নেয়া। এজন্যই ওরা আমাদের স্বদেশ ভুমিকে বার বার বিপদের মুখে নিয়ে যেতে চায়। এই অবস্থা থেকে আমরা বেড় হতে শিখেছি।

আশাকরি প্রতিটা এন.জি.ও. কর্মিদের সহ সমস্ত মানুষের মাঝে আমার বানী নিয়মিত প্রচার করুন। আমি আপনাদের কাছে সারাজীবন আছি।

বন্ধু! আপনারা সব জানেন, তারপরও আমিও একবার আপনাদের ভিতর থেকে আপনার মতো করে ভেবেই কথাগুলো বললাম। আশা করি আমার কথা আপনারা ফিরাবেন না।

আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×