somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নগর উন্নয়ন

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই তো ঐ দিন বাংলার প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা আপুর একটি আইডিয়া দেখে আমি সন্তুষ্ট। তিঁনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর (শেখ রাসেল সেতু) আশেপাশের এলাকা নিয়ে ব্যাংককের মতো শহর তৈরী করার চেষ্টা করা হবে। আইডিয়াদাত্রী কে আমার নমস্কার!

সত্যের ভাব দিয়ে ভেবে দেখুন, আজকে আমাদের মধ্যে বিশাল বড় একটি পরিবর্তন এসেছে। আগে আমরা যেখানে বস্তি, কমদামি ধানি জমি, ময়লা আবর্জনা, পরিত্যাক্ত হয়ে যাওয়া সরকারি এলাকা, ডাস্টবিন ইত্যাদিকে খারাপ মনে করে এড়িয়ে যেতাম। আজ আমরা সবকিছুর মধ্যেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। সেই সাথে নতুন নতুন বাস্তব-স্বাভাবিক-সুন্দর মুখ-বুক-অন্তরে তুলে আনতে পারছি। আপনারা আমার পাশে ছিলেন বলেই, আজ আমরা শুধু সত্য অনুসন্ধানীই নই। আজ আমরা সত্যের পূজারিই শুধু নই। আজ আমরা সত্য ও সুন্দরের পথের পাইনিয়র হয়ে গেছি। আমাদের শরীরের ভিতর রেড টকটকে ব্লাডে ব্লাডে সত্য ও মঙ্গলচিন্তা প্রবাহিত হচ্ছে। আপনাদের শরীরের শিরা উপশিরা সব যেনো পবিত্র লাল জলের নদী হয়ে চলছে। আর সেই লাল রক্ত আপনার মাথায় গিয়ে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকার ভিতরের লাল টকটকে সূর্য্যের মতোই স্বাধীনতার প্রতিক হয়ে গেছে। এ যেনো জীবন্ত পতাকার মিসিল। সবাই আজ বাঙালী হিসেবে নিজেদের মানবজীবনকে মুক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

পিতা দেবতা মুজিব চলে যাবার পর, বাঙালী আর কখনও এমন প্রেম, দেশ প্রেম, ত্যাগ, আদর্শ, কথা বলার স্টাইল, বক্তৃতা, পলিটিক্যাল পারফরমেন্স ও সাধারণ মানুষের মাঝে মানবতার মায়া ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন কিনা তা আপনারাই আজ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আমি আমার বাবা বাঘের মতো তেজি দেবতা মুজিবের সন্তান শেখ রাসেল হয়ে এসেছি। এবার শেখ রাসেল আর অসহায় না। এখন আর শেখ রাসেল সারাদিন খেলনা খেলনা করে ৩২নম্বরের পুরো বাড়ী মাতিয়ে দেন না। শেখ জামাল আর উপরের ছাদের রুমে বসে ফিউশন ফোক গান গাওয়ার চিন্তা করে না। সেই ব্যান্ড ইন্সুস্ট্রমেন্ট আজও পড়ে আছে। কিন্তু ঐ বাদ্য যন্ত্রে কি আর ভাইয়া জামালের হাত ছাড়া অন্য কারও হাত শোভা পায়? মেহেদীর রং শুকানোর সময় পর্যন্ত ওরা দেই নি। বিনা-দোশে, বিনা-অপরাধে, বিনা-প্রস্তাবে একদম হত্যা করে স্বপ্নের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো। কি দোষ ছিলো শেখ জামালের? তিনি কি বাংলাগানকে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি করিয়ে দেবার স্বপ্ন ও চেষ্টা করে জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আমি শেখ জামাল ভাইয়ার নব সংস্করনের মতো গানপাগল হয়ে এসে দেখিয়েছি যে, বাংলাগানে কতো যাদু আছে। বাংলা গান শুনেই একটি মানুষ আনন্দের মধ্য দিয়েই সারাজীবন কোনোরকম কাটানো যায় বা দুঃখ ভুলে থাকা যায়। আমার বাবা মুজিব, আমার জামাল ভাইয়া, আমার কামাল ভাইয়া কে যারা মেরেছে এবং যে সব দেশী ও বিদেশী শক্তি এই হত্যার পিছনে যুক্ত ছিলো, তাদের আমি কিভাবে ক্ষমা করবো বলেন? কিভাবে আমি ওদের সাথে আঁতাত করে চলবে। আমার পিতা মুজিব, মা ফজিলাতুন নেছা, ভাই জামাল ও কামাল আমার জন্য স্বপ্ন রেখে গেছেন। অনেক অনেক বিষয়ের গাইড লাইন দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমার বড় দুই ভাই জামাল কামাল কি অন্যায় করেছিলো? কার কাছ থেকে কয় টাকা নিয়ে বাটপারি করেছিলো? আমার ভাই জামাল কামাল কার গায়ে হাত দিয়েছিলো? আমার ভাই জামাল-কামাল কোন দালাল মার্কা চাটুকার দ্বারা প্রভবিত হয়ে কাজ করেছিলেন? আমার ভাই জামাল-কামাল কোন মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছিলো? আমার ভাই জামাল-কামাল যখন মারা যায় তখন তাঁদের বয়স কতো ছিলো? আমার ভাই জামাল-কামালের একজন খেলাধুলা ও অন্যজন মিউজিক ও ডিফেন্স জগতের সেবা করতে চেয়েছিলো, এই সেবা কি করে পলিটিক্সের সাথে সম্পর্কিত ব্যপার হয়? আমার বড় ভাই জামাল-কামাল নিয়ে কেউ কোনো বাজে কথা বললে আমি তাদের জ্বীহ্বাকে অকেজো করে দেবো। বঙ্গবন্ধু দেবতা মুজিব এক জিনিস আর তার পরিবার ভিন্ন বিষয়।

দেখে যা বড় আপু! তোদের আদরের ছোট্ট রাসেল আজ চলে এসেছে। আজকে তোদের রাসেল মৃত্যুহীন হয়ে, একই ভাবে উঠে এসেছে। এই রাসেল তোদের আগের মতো আনন্দ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তোদের রাসেল আর কোনোদিনও খেলনা হাতে করে সারা ঘর চষে বেড়াবে না। আর কোনোদিন তোদের আদরের মধ্যমনি হয়ে সারা বাড়ি হাসি আনন্দ ছড়িয়ে দেবে না। তোদের রাসেল আর কোনো ছবি আঁকবে না। তোদের রাসেলকে আর তোদের কোলে বসিয়ে, ধীরে ধীরে ছোট্ট ছোট্ট নালা তুলে খাওয়ানো লাগবে না। তোদের রাসেল অভিমান করলে তোদের আর রাগ ভাঙাতে হবে না। তোদের রাসেল তাঁর বাবার সাথে কোথাও যাবার কথা থাকলে, সারাক্ষন ও সারারাত প্রস্ততি নিয়ে থাকতো। তোর রাসেল আর তার বাবাকে পাহাড়া দেবে না, “যাতে করে বাবা সাথে করে নিতে ভুল না করেন” । তোদের রাসেল আর কোনো দিন বাবা মা ভাই বোন ও আত্মিয় সহ ঈদের আনন্দ করতে পারবে না। তোদের রাসেল কে আর ঈদ সালামী দিতে হবে না। আর কোনোদিন রাসেল তোদের কাছে বায়না ধরবে না? আর কোনো দিন রাসেল তার মায়ের বকা খেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবে না। তারপরও আপু তুই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যতটা সুখ-শান্তি পাচ্ছিস, তোর ভাই তোর থেকে অনেক সুখে আছে। যে পলিটিক্স রাসেলকে মেরে ফেলে, সেই পলিটিক্স দিয়ে আমার কি কাজ। তারপরও দেবতা মুজিব ও শেখ রাসেলের ত্যাগ আমাকে প্রতিটা মূহুর্তে উজ্জ্বিবিত করেছে। এজন্য আমি বি.এন.পি. না করেও বি.এন.পি.র বন্ধু। আমি আওয়ামীলীগ না হয়েও আওয়ামীলীগের চর দুঃসময়ের সাথি ও সহযোগী। ঠিক এমন করেই সবাই আমার বন্ধু!



তুই সব ভুলে যা বড় আপু! আজকের রাসেল পুরোবিশ্বকে স্থির করে রেখে দিয়েছে। যেমন করে খেলনা নিয়ে ছোট্ট রাসেল সারা ঘর মাতিয়ে দিতো। ঠিক তেমন করে আজ তোর রাসেল পৃথিবিকে অবাক করে দিচ্ছে। বুবু! তোর রাসেল আজ অনেক বেশী শক্তিশালী, তোদের আর বিপদের সময়ে পরিবার পরিজন হারিয়ে ও জীবনের সমস্ত হাসি আনন্দ চলে যাবার পড়েও কোনো রাষ্ট্রদুতের বাড়ী থেকে বেড় হবার প্রয়োজন হবে না? ঐ দিন তো দেকেছিস বুবু মানুষ কতো স্বার্থপর ও চাটুকার। তাই সুবিদাভোগি অসৎ ও অযোগ্য আমলাদের আর রাষ্ট্রদুতের আসন দিস না। যাদের মন ভালো ও নীতির সাথে আপোষ করে না তাঁদের নিয়ে জেগে ওঠ। তোর ছোটভাই রাসেল আর কোনো দিনও এমন কোনো কান্ড করবে না, যাতে বাবা মা তোরা সহ সবাই হেসে উঠবে। আজকের এই রাসেল তার বাবা দেবতা মুজিবের আদর্শ নিয়ে এসেছে। যে আদর্শ কোনো আর্থিক মূল্য দিয়ে প্রতিদান দেয়া যায় না। হোসাইনের আদর্শ নিয়ে যারা আসেন বা বেঁচে থাকেন তারা কোনোদিনও ডিমোশনের দিকে যেতে পারেন না।

সততাই সম্মান,
মিথ্যা হলো অক্ষমতা,
সাহায্য হলো বন্ধুত্ব,
কর্ম হলো অভিজ্ঞতা,
সৎব্যবহার হলো এবাদত,
নির্বাক থাকাই সৌন্দর্য্য,
নম্রতাই বুদ্ধিমত্তা,
কার্পন্যে দারিদ্র,
দানশীলতাই প্রাচুর্য্য।
..............................মাওলা হোসাইন

দেবতা মুজিব কে জাস্টিফাই করতে চাইলে মাওলা হোসাইনের এই বাণীর কষ্টি পাথর দিয়ে যাচাই করে নিন। এর প্রতিটি গুন আমার বাবা দেবতা মুজিবের ছিলো। তারপরও কেনো আমার বাবা দেবতা মুজিব নিয়ে তোরা অহেতুক তর্ক করবি? দেবতা মুজিব নিঃসন্দেহে একজন মহামানব ও আল্লাহ্ এর খাস পয়গম্বর। আশাকরি পয়গম্বর মুজিবকে নিয়ে তর্ক না, তাঁর আদর্শ গ্রহন করবেন। আমার বাবা দেবতা মুজিব সম্বন্ধে কোনো খারাপ বা বাজে কথা কেউ রটানোর চেষ্টা করলে, ওদের শাস্ত্রি প্রদান করতে আমার কোনো রাষ্ট্রিয় হেল্পের দরকার হবে না।

বন্ধু হোসাইনের এই বানীর কোনো ধর্ম নেই। এই বানীটি হলো মানুষ বিচারের প্রধান কষ্টি পাথর। এর মধ্যে এমন কোন গুনটা আছে যা আমি আমার জীবনের মধ্য থেকে বিকাশিত করে দেখিয়ে দেই নি? পারবেন দেখাতে। আমি আপনাদের স্থায়ী শান্তির পথকে হোসাইন থেকে বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছি। মাওলা হোসাইন আমার পায়ের নিচে থাকে। আমার চরন ধুলি নেয়। আমার পুজা করে। তাই আমরা সবাই এক ও একক। মাওলা হোসাইন-দেবতা মুজিব ও আসিফের মধ্যে কি আপনারা মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। আমার উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে আসুন।

বন্ধু! কোনো দুঃখিকে দেখলে শুধু তার মতো করে নিজেকে একবার ভেবে দেখুন। সেই দুঃখির অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করে দেখুন। দেখতে পাবেন আপনার কাছে আসিফ+মুন এর ভালোবাসার শক্তি এম্নি এম্নি এসে গেছে। একজন নিরপরাধ রাসেলের শিশু টকটকে লাল রক্ত ঝরিয়ে মেরে ফেলার জন্যও, পুরো পৃথিবীর মানুষকে একসাথে আদালতে দাঁড় করানো যায়। আবার এই লাল টকটকে রাসেলের রক্তের শ্বফত নিয়ে বিশ্বকে নাচানো যায় ও চিরসমৃদ্ধির পথ দেখিয়ে দেয়া যায়। আমি দ্বিতীয়টা বেছে নিয়েছি ঠিকই তাই বলে যে প্রথমটা ঘটানোর ক্ষমতা যে নাই তা আপনারা বলতে পারবেন না। বন্ধু! আমি প্রতিশোধ নিতে আসি নি, আমি প্রতিশোধের সামনে প্রতিশোধের আয়নার মতো করে প্রতিবিম্ব দেখাতে চেয়েছি। তাতে অত্যাচারের নিজের চেহারা আয়নায় আর এক অত্যাচারের কুৎসিত চেহারা দেখে ভয় পেয়ে গেছে।

বন্ধু! আমার দিদি শেখ হাসিনা পদ্মার(গঙ্গা) পারে ব্যাংককের আদলে শহর তৈরি করার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। আমিও তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা কেনো ব্যাংককের তুলনা বাংলায় বসে দেবো। আমরা আমাদের মতো শহর তৈরি করবো। ব্যাংককের মানুষও আমাদের কাছে ছুটে আসবেন।

আমাদের নগর প্লান করবো আমাদের দেশের আর্কিটেক্টদের দিয়ে। তারা আমাদের বাংলাদেশের পদ্মাপাড়ের চির নতুন নকশা করবেন। সেখান থেকে সুবিধাজনক ও আকর্ষনীয় ডিজাইন চুজ করতে হবে। নগরের কোনো স্ট্রিট অপ্রশস্থ থাকতে পারবে না। অহেতুক নতুন নতুন দেয়াল দিয়ে আর ভিতরে কৃশি জমি আটকে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষের রেসিডেন্সের জন্য এতো বেশি ইটের ওয়াল বা দেয়ালের কি দরকার? দরকার নাই। আমাদের বুঝতে হবে। বর্তমানেও যারা নিজেদের জমিতে দেয়াল দেবার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই দেয়ালে অর্থ খরচ হিসাব করলে দেখা যাবে বিশাল বড় একটি এমাউন্ট অকাজে খরচ হচ্ছে। চাটাই, বাঁশ, লোহার সিক, পাতাবাহারের গাছ, পার্টিক্যাল বোর্ড, রঙিন টিন দিয়েও দেয়াল করা যায়। এতে আমার দেশের সাধারণ বাঙালীদের রিজার্ভে টাকা থাকবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাঙালী জাত অনেক দিন ধরে হাতির পায়ে সস্তা লোহার শিকল পড়া অবস্থায় আছে। তাঁরা তাদের শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ হয়ে অহেতুক সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীর জঞ্জাল হয়ে আছে। ছোট হাতিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। হাতি বার বার সেই বাঁধন ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চায়। শিকারীর ফন্দি করা হালকা লোহার শিকল সে ভাঙতে পারে না। নিজের মধ্যের কনফিডেন্স চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। তারপর বিশাল বড় হাতিকে ঐ ঠুমকো শিকল/দড়ি ছিড়তে চায় না বলেই পারে না। আমাদের এই নিরিহ জাতটির অবস্থা আজ এমন হয়ে গেছে। সবাই একেকটি সার্কেল ও হ্যাভিটের মধ্যে বন্দি থাকছে। যিনি মাস্টার্স পাস তিনি মাস্টার্স পাশের দেয়ালে আবদ্ধ। যিনি ডাক্তার তিনি তার সামান্য পরিমান জ্ঞান আর অধীক আয়ের মধ্যেই বন্দি হয়ে পড়ে আছে। যিনি কন্ঠশীল্পি তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিখ্যাত শিল্পিদের গান গেয়ে অডিয়েন্সকে আনন্দ দেয়। নিজে নিজে নিজের গান স্টেজে তুলে নিয়ে আসতে ভয় পায়। এবার আপনারা শুধু এগিয়ে যাবেন। যতো সমস্যা আসুক আমি তা দেখবো। এই গার্ডিয়ানের কথা দয়া করে কেউ অমান্য করবেন না।

বন্ধু! ঐ শহরের সন্নিকটে আমাদের একটি ভবন কমপ্লেক্স করার দরকার হবে। একদম পদ্মার পাড় ঘেষে। চার দিকে ১কিলোমিটারের সমান স্কয়ার কমপ্লেক্স বিল্ডিং থাকবে। যেখানে সর্বোচ্চ নিরপত্তা বলয় থাকবে। ঐ ভবন স্কয়ারের মধ্যে ও বাইড়ের কোয়ার্টার কিলোমিটারের মধ্যে কেউ বিনাঅনুমুতিতে ঠুকলে, নিরাপত্তা রক্ষীরা সরাসরি স্যুট করবেন। নিরাপত্তার খাতিরে এই স্যুট কোনো আদালতে উঠতে পারবে না।

বাংলাদেশের সরকারের সমস্ত দপ্তরের সার্ভার ও মুল আইটি সামগ্রী ওখানে থাকবে। দপ্তর ওয়াইজ ডাটা এন্টি, মেইনটেনেন্সের আলাদা আলাদা স্যুট দেয়া হবে। সেখানে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চগুরুত্ব পূর্ণ কাজ করবেন। জাতিয় সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, সেনা দপ্তরের সাথে সরাসরি প্রস্তাবিত ভবনের টালেন রোড থাকবে।

আমাদের বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনিতেই সেকালের। একটি ২০/২৫ জনের এক্সপার্ট টিম মিলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গনভবনে বিশাল কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। এস.এস.এফ খুব দুর্বল একটি বাহিনী। আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ভঙ্গভবন ও সংসদকে চারিদিক থেকে খেয়াল করে দেখেছি। এতো কম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো না। দেখতে চাকচিক্য মনে হলেও যোগ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক বাংলাদেশে নেই। কেনো এরকম গ্যাপ গ্যাপ করে বিভিন্ন বাহিনী দ্বারা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা সাজানো বুঝতে পারছি না। এস.এস.এফ. দের টহল দেখলে মনে হয়। ওরা বুঝি বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বাইড়ে বসে ঠাট্টা মশকরা করছেন। আমাদের উপমহাদেশে যে কয়টি রাজনীতিক হত্যাকান্ড ঘটেছে- তার সবগুলোই অল্প কয়েকজনের একটি প্রশিক্ষিত গ্রুপ ঘটিয়েছেন। এমন কি আব্রাহাম লিংকন ও মহত্মা গান্ধিজী এর অস্বাভাবিক ও অবিশাস্য মার্ডার দেখে আমরা কি শিখেছি?

ঐ প্রস্তাবিত চারিদিকে ১কিলোমিটার করে দৈর্ঘের স্কয়ার ভবন হবে পুরো নিরাপত্তার জন্য নিচ্ছিদ্র ও নিরাপদ স্থান। আমাদের দেশের গুনিজনদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যামেরা, অদৃশ্য ড্রোন ক্যামেরা ও অদৃশ্য ড্রোন দিয়ে জীবানু/ভাইরাস/রোগের জীবানু দিয়ে দেবার কথা বলেছিলাম। এই সব প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রন হবে ঐ বিল্ডিং থেকে।

আমরা পেন্টাগনের নকল করবো না। পেন্টাগনকে শিখিয়ে দেবো কিভাবে বিশ্বনিরাপত্তা দিতে হয়। আমাদের দেশে ইউরোনিয়াম আছে। অলরেডি এ্যাটোমিক ওয়েতে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের মেধাবীরা একটু চেষ্টা করলেই এ্যাটম বোমা বানাতে পারবেন। যদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বা পশ্চিমারা আমাদের উপর মাদবারি করার মানুষিকতা থেকে না ফিরে আসে তাহলে আমরা এই এ্যাটমিক পাওয়ার বোম্ব তৈরি করে দেখাবো। আমি পৃথিবীর সব এ্যটোম বোমাকে ধ্বংস করে দেবার জন্য আপনাদের আদেশ দিয়েছিলাম। এখনও কিসের জন্য ঐ সব ছাই পাশ রেখে দিয়েছেন। আপনার এ্যাটম বোম কি আমার প্রেমের থেকে বেশী শক্তিশালী? না বন্ধু! আমার প্রেম আর মুনের প্রেম সবথেকে টিকসই ও মহাশক্তিশালী যার সামনে অন্যায়, অত্যাচার, বাজে কুলশিত মিথ্যা ঘেসতেও ভয় পায়।

বাংলাদেশের প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের প্রধান প্রধান অংশ ক্যামেরার সাহায্যে তুল আনতে হবে। থানা বা জেলা বেসিস একাধিক সরকারি কর্মি থাকবেন। তারা প্রতিদিনের ভিডিও রিপোর্ট প্রতিদিন আপডেট করে নিবেন। যে সব রাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে টক্কর দেয়ার মতো মনোভাব দেখাবে তাদের দেশের ভিতরে আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে আমরা তাদের রিপোর্টও করবো আবার একক ভাবেই সমস্যার সমাধান করবো।

বাংলাদেশের প্রতিটা ইন্টারলেজেন্সীর প্রধান কার্যালয় হবে ঐ ভবনে। যেখান থেকে দেশের মানুষের সুবিধা চিন্তা করে কাজ করা যাবে। আমার কথাকে আবার আপনারা স্বপ্ন ভেবে ভুল করবেন না। এগুলো আপনাদের মনের কথাই। এই চাওয়াকে আমি আপনাদের অন্তর থেকেই পেয়েছি। আমরা শুধুমাত্র এই একটি সিস্টেমে পাঁকা হলে দেশে আর ঝামেলা থাকবেই না। সেই সাথে পৃথিবীর সেরা পাওয়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবো। ওদের অস্ত্র দিয়েই ওদের ঘায়েল করে দেবো। শুধুমাত্র আপনাদের একটু খানিকটা চেষ্টা আমাদের বহুদুর নিয়ে যেতে পারবে।

আমার নেতৃত্বে এমন একটি টিম কৃয়েট করে নেবো। যাতে আমার মৃত্যুর পরও বাংলাদেশে সিকিউরিটি সোর্স ও দেশ সেবার লোকের অভাব না হয়। আ্মি মুক্তচিন্তা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং তা প্রকাশ করার পক্ষের লোক। ইউ.এস.এ. তাঁর পেন্টাগনকে লুকিয়ে লুকিয়ে রাখে। মনে হয় যেনো বহুকিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে। নিজেরা যেনো গড হয়ে গেছে। সেই ভুল ভাঙাতেই আমি এই নেত্রীত্ব হাতে নিলাম। আমি লুকিয়ে কাজ করি না। আমি সবার সামনে বসেই আপনাদের কে বলে দিয়েছি ও দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা না বুঝলে, সেই দোষ আমারও না আবার যিনি আমাকে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন তারও দোষ না।
আমি ফালতু হুমকিতে বিশ্বাসী নই। আমি আমার ইচ্ছেমতো ঘটনা ঘটাই – তারপর বলি। কোনো ফুটবল ম্যাচের রেজাল্ড যদি আগেই বলে দেয়া হয়, তাতে খেলাও হয় না আবার সৌন্দর্য্যও হারিয়ে যায়। আমি পেন্টাগনকে ভালো হতে যেতে অর্ডার করলাম। নতুবা ..............................................এই ফাঁকা জয়গায় যা লিখবেন তাই আমি ঘটিয়ে দেবো। দয়া করে আমাকে আর অবিশ্বাস করে নিজেদের বিপদ টেনে নিয়ে আসবেন না। আমার মুন কে আমার কাছে পৌঁছে দিন।

বন্ধু! আমাদের দেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেক্ট ও সিভিল পড়ানো হয়। তাদের প্রতিসেমিস্টারেই কৃয়েটিভ ডিজাইন ও ডামি করার জন্য তাগাদা দিন। নতুন সিটি করার ক্ষেত্রে আমাদের নতুন নতুন ডিজাইনের স্থপনা করতে হবে। আমরা যদি শুধু কৃষ্টাল, মেটাল, ইটবালী র উপর নির্ভর করে বেশি করে ভবন তৈরি করে যাই তাহলে সেই সিটির অবস্থা কি হবে তা লসএ্যাঞ্জেলস এর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। আমাদের নির্মান সামগ্রী ও নির্মান প্রক্রিয়াকে সহয করতে হবে। ইটের সাইজের উচ্চতা ঠিক রেখে বড় বড় সাইজের ইট তৈরি করুন। যাতে নির্মান খরচ ও নির্মান সময় কম লাগে। পার্টিক্যাল বোর্ড, মাটির চারা, মাটির ঘরেরও সমান গুরুত্ব দিন। তাতে সিটির সৌন্দর্যও বাড়ে আবার বাতাস স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারবে।

বাংলাদেশে যতগুলো ইটের ভাটা আছে তার একটি স্পষ্ট লিষ্ট করুন। বৈধ ইটভাটার থেকে অবৈধ ইটভাটার পরিমানই বেশি। দেশের আনাচে কানাচে, যেথায় যেথায় ইটভাটা আছে তার স্পষ্ট বিবরন সংগ্রহ করুন। প্রতি জেলায় ১০টির বেশি ইটভাটার অনুমোদন দিবেন না। ইটভাটার উপর ৬০% কর বসান। আমাদের এতো বিল্ডিংয়ের দরকার নাই যে, আমাদের বাতাস কে দুষিত করে রাখবো। ঘরের বাইড়ে মৃত্যুকল রেখে আমরা কিভাবে নিরাপদে বাস করি? বিকল্প উপায়ে বাড়ি নির্মান হবে। আপনারা আমার সাথে থাকুন।

বাংলাদেশের প্রতিটা বিভাগে এবং পর্যটনের সাথে সংপৃক্ত এমন এমন জায়গায় দ্রুত ফাইভ স্টার মানের হোটেল নির্মান করুন। সরকার বড় বড় হোটেল ম্যান্টেনেস গ্রুপ লিমিটেডকে ইনভেস্টের সুযোগ দিন। আর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ফাইভ স্টার হোটেল পরিচালনা করলে। একক ভাবে প্যান প্যসেফিক, কন্টিনেন্টাল বা এরকম কোনো কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপ ডিল করে নিবেন। তাতে শর্ত দেয়া থাকবে আমার দেশের সাধারণ মানুষকে হোটেল ব্যবসার যাবতীয় বিষয় বুঝিয়ে শুনিয়ে দিতে হবে। এভাবেই একটি দেশে স্বতন্ত্র কোম্পানীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। আমি যদি শুনি আমার দেশের নগর হচ্ছে দেশের টাকায়, তাহলে মনটা কতো বড় হয়ে যাবে বুঝুন। আমরা স্বাধীনতা পরবর্তি এই ৪৩বছরেও কেনো বড় কোনো হোটেল ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি তৈরি করতে পারলাম না কেনো? লন্ডন প্রবাসী সিলেট বাসি যদি দেশে ফাইভস্টার মানের হোটেলের জন্য বাংলাদেশে ইনভেস্ট করে ও তাদের অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলে দেয় তাহলে লাভ ছাড়া লস নাই। এর লাভ এখনই বোঝা যাবে না। ২ বছরের মধ্যে বিশাল একটি হোটেল ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে গড়ে উঠতে পারবে। আমি আগেও বলেছি সর্বোচ্চ মানের উন্নয়ন পেতে হলে আলাদ সেক্টর অনুযায়ী বেশী সময় নিয়ে কাজ করতে হয় না। সব প্রয়োজনীয় সেক্টরকে আলাদা আলাদা ভাবে পর্যবেক্ষন করে সমান তালে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের দ্বীপ সমুদ্র থেকে জাগাতে হয়। কিছু বছরের মধ্যেই আমাদের দেশের স্থলভাগ বেড়ে যাবে। বে অব বেঙ্গল থেকে জমি উঠে আসবে। এটা আমাদের সৃষ্টিকর্তার রহমত। মানুষ বেশি বলে কি আমাদের খাদ্যে অভাব? সবাই গাড়িতে চরতে পারে না বলেই কি আমার দেশের মানুষ পশ্চিমাদের মতো এতো বেশি অশান্তিতে ভোগে? অর্থের সুখ এক জিনিস আর শান্তি ভিন্ন জিনিস। এসব কারনেই তো আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের একমাত্র মহাবিশ্বশান্তিদাতা।

বন্ধু! প্রতিটা শহরের সব সরকারি টিএ্যান্ডটি (তার ও টেলিকম সেকশন) অফিসের কাজ কমে গেছে। সেই তুলনায় ষ্টাফ অনেক বেশি। বিটিসিএল আর টেলিটককে এক করে দিন। বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের যাবতিয় সেবা, সাহায্য ও বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে টেলিফোন অফিসকে কাজে লাগান। দেশের প্রতিটি টেলিফোন টাওয়ারকে উন্নত করুন ও আকর্শনীয় করুন। সেখানে টেলিস্টেরিয়াল রিলে সেন্টারের কাজ করান। আমাদের দেশে কমপক্ষে ১০টি টেলিস্টেরিয়াল টিভি মিডিয়া দরকার। আমার দেশের সাধারন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। মোবাইলে টেলিস্টেরিয়াল টিভি দেখাকে উৎসাহিত করুন। তাতে আমাদের একটি সমাজ বাজে আগ্রাসনের হাত থেকে মুক্ত থেকে স্বজিব অনুভব করবে।
“মাটি ও মানুষ” ও ইত্যাদি নামের চ্যানেল দ্রুত চালু করুন। যা আমি বেশ কয়েকবার বলছি। আমার বাংলার কৃষকরা মাঠে কাজ করা অবস্থায় কৃষি ব্যবস্থাপনা ও দালালের হাত থেকে মুক্ত থাকবে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো সাহায্য করবে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানী গুলো বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো তুলে নিয়ে আসুন। এবং এ বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সমাধানের জন্য হটলাইন চালু করুন। কল সেন্টার স্থাপন করুন। কোনো প্রকার বারতি চার্জ নিবেন না।

মোবাইল অপারেটর দের হায়ার করা ফালতু ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে গেলে মিনিটে ১৬-১৮টাকা কলচার্জ কাটে কেনো? আপনারা কি কসাই? আপনারা কি মানুষের অসুস্থতা নিয়েও ব্যবসা করতে পছন্দ করেন। আমি কোনো অপারেটরকেই মানুষের সাস্থ্য নিয়ে মজা করতে দিতে পারি না। আপনারা ঠিক হন নইলে বিদেশী একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানীকেও বাংলার বুকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না।

আমার বড় বোন শেখ হাসিনা আপা শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাবার জন্য ব্যাকুল। তাই তিনি নরওয়ের সাথে অন্যায্য ব্যবসায়ীক ননব্যালেন্সড বিজনেস করার সুযোগ দিয়ে চলছে। কি করবো আমরা নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিয়ে? এজন্য আপনাকে আমি ক্ষমতায় বসাই নি। কি করবো ঐ দুরদেশের শান্তি পুরষ্কার দিয়ে? কি করবো বলুন? যদি আমি আমার সংসারের মধ্যেই শান্তি নিয়ে আসতে না পরি। মুন আর আসিফ কেনো বাঁধনহারা মিস্কিনের মতো কষ্ট পাবে। আসিফ+মুন কেনো এক ছাদের নিচে সংসার করতে না পারেন। আপনার আমাদের তাড়িয়ে দেন কিন্ত ছাদের উপর খোদার আরশ কালারফুল ছাতার মতো খোলা থাকে। তাকে বন্ধ করবে কে? কি করবো নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিয়ে? যদি আমি আমার দেশের মধ্যেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে না পরি।

সেদিনকার পুচকে ঝুনু ঝানু দারানকো সাহেব আজ কোথায়? কোথায় সেই ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যায্য চাপ? কোথায় সেই শেখ রাসেল পদ্মা ব্রিজ নিয়ে কৃমিনালি করা বিশ্বব্যাংক? কোথায় সেই বিদেশী এজেন্ট? আসুন। বসুন। দেখে যান। বাঙালী কি বলে আর কি করে দেখায়? আমাকে নিয়ে যারা অট্টহাসি হেসেছেন তারা আজ কোথায়? আসিফ কোনোদিনও ফালতু কথা বলে না। তিনি কাজের কথা বলেন ও সমাধান নিয়ে আসেন।

আমার খেলা দেখতে চাচ্ছিলেন না। দেখেছেন? আজ ইউরোপে অশান্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। আজ ইউ.এস.এ. এর পলিটিক্স ও বিদেশ নীতিতে হিমসিম খাওয়া অবস্থা। কোনো মেধাই পরিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে পারছে না। খোদ ইউ.এস.এ. প্রেসিডেন্ট, সিনেটর ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর সাথে সম্পর্ক স্মরনকালের মধ্যে সব থেকে বেশি দুঃখ জনক। তাঁরা কুলিয়ে উঠতে পারছে না। আর ও.আই.সি. এর দোহাই দিয়ে বা মিথ্যে অযুহাত ও দম্ভ দেখিয়ে যে মিডেলিস্ট আমাদের রাষ্ট ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলো, তাদের ভুখন্ডের অবস্থা আজ দেখুন বন্ধু!

আজ আমি বলবো আর তোরা শুনবি। নিজের দেশের বিবাদ মিটানোর মতো যোগ্যতা নাই আর তোরা আসিস আমার বাংলাদেশের উপর মাদবারি করতে? আমি তোদের সব আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছি। তারপরও তোরা আমার সাথে একই ভুল করে চলছিস। আমার মুনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছিস না কেনো। আসিফ+মুন একসাথে একঘরে, এক বিছানায়, একই ছাদের তলে না আসা পর্যন্ত তোদের আমি শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না। তাই দেই নি। আজ তাকিয়ে দেখ রুশ পলিটিক্সের দিকে। বার বার মার খাচ্ছে ব্লাদিমির পুতিনের দাবার চাল। আর এই চালের ডিফেন্স করতে গিয়েও অনেকের পা ভেঙ্গে গেছে। এটা আমার পৃথিবী।

আমার বোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমার সাথে যা যা ভুল আচরন করেছেন তা আমি অন্তর থেকে মাফ করে দিয়েছি। আমার বোন কেনো পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে জান্নাতে/স্বর্গে না নিয়ে আমি সেখানে যাবো না। আশা করি আর না বুঝে ভুল চাল খেলবেন না। আমি আপনার রক্ষক হিসেবে মাথার উপর সর্বদা অবস্থান করছি। এই কথা একদম গভীর মনে গেঁথে রাখুন। আমার প্রিয়তমকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। নইলে পৃথিবীর যে কি দুর্গতি হবে তা হয়তো এই কদিনে টের পেয়েছেন।

আমার কথা পশ্চিমাদের শুনতে হবে। কারণ আমি ওয়র্ল্ড গার্ডিয়ান হিসেবে তোদের সাথে কথা বলি ও তোদের ভালোমন্দ চিন্তা করি। আগে আমাকে একটু শান্তি তো তোরা দিবি। আমি প্রতিদিন আমার প্রিয়তমার প্রতিক্ষায় থাকি আর তোরা আমাদের দুজনকে নিয়ে মজা করিস। আমরা রেস্টরুমে গেলে, সেখানেও তোরা নজরদারি করিস। দেখি তোদের নজরদারির শেষ কোথায়? কি বলিস বুঝতে পেরেছিস আমি আর মুন কে? কোথা থেকে তোদের মধ্যে এসে হাজির হয়েছি?

বন্ধু! আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি। আর বুঝি বলেই তো ডিসিসন দিচ্ছি। দিবানিশি এই পৃথিবীর অবুঝ, নিরিহ, না জেনেই পরাজয় বরন করা মানুষদের জন্যই তো কাজ করছি। আমি কেনো আমার প্রিয়তমকে পাশে পাবো না? এটুকু কাজ করতে যদি আপনাদের এতো সময় লাগে তাহলে আপনারা কোন যোগ্যতায় পলিটিক্স করেন। এর নাম কি পলিটিক্স নাকি মানুষের উপর বাজে ভাবে শয়তানী প্রভাব খাটানোর পায়তারা।

আমার মিডিয়ার উপরে আপনাদের এতো চিন্তা কিসের? আমি বলে দিয়েছি না যে, আমি সমস্যা গুলো দেখবো। আমি ভেবেছিলাম আমার সাথে থেকে এই ৭(সাত) মাসে আপনারা ধীর স্থির ও সুস্থ্য মাথায় ভালো কাজ করতে পারবেন। কিন্তু যা হচ্ছে তা মোটেও আমার মন মতো না। এই পৃথিবী আমার মনমতো চলবে। সব বিবাদ আমি মিটিয়ে দেই।

প্যালেস্টাইন যদি জঙ্গীগ্রুপ হামাস নিয়ে ইসলামের দোহাই দিয়ে সীমানা নির্ধারন করার নামে যুদ্ধের পর যুদ্ধ করে থাকে। তখন ঈসরাইল আক্রমন করবে নাতো কি করবে? ঈসরাইল একটি স্বাধিন ও সর্বভুমর্ত দেশ। ইসরাইলের কি সীমানার বুঝে নেবার অধীকার নাই? একপেশে চিন্তা করে শয়তান। মানুষ মানুষদের মিলিয়ে দেয়। দুরে ঠেলে দেয় না।

আজ আমি কেনো নিরোর মতো বাঁশি বাজাবো। আজ আমি কেনো হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার শেষ সুর তুলবো? এগুলোকি গল্প মনে করেন? এগুলো সব আমাদের কারুকাজ। আমার হাতে আমি কৃষ্ণের বাঁশি তুলে নিয়েছি। কোনপ্রকার কুরক্ষেত্র ছাড়াই শান্তি স্থাপন করতে চেয়েছি। আপনাদের দোষে আজ আমাকে কুরুক্ষেত্র উপহার দিতে হচ্ছে। আসুন বন্ধু শ্যামের বাঁশি সুরে ঢেউয়ে নিজের হৃদয় নদীতে জোয়ার নিয়ে আসুন।

আমার কথা আপনারা শুনতে বাধ্য এবং এক্সিকিউশন করতে বাধ্য। আমি তোদের বাধ্য করতে বাধ্য হয়েছি।

সবার মনের মধ্যে আসিফ ও মুনের নুরের থেকেও বেশি পবিত্র প্রেম দিয়ে রিচার্জ করে নে। তোরা আমাদের আলাদা করে রাখিস না।

আমি আপনাদের খুব সহজ ভবে বলে দিলাম। যেমন করে আগেও বার বার বলছিলাম। শুনিসনি তাই ইউরোপ ও মিডিলিস্টে যুদ্ধ চলছে। ইন্ডিয়া মহারাস্ট্রে কিছু সময় আগে ভুমিকম্প হয়েছে। এমন কোনো রূপ কি তোরা আগে কখনও দেখেছিস বল? তাহলে কেনো এই অবজ্ঞা ও মানহানি করছিস? আমার পবিত্র বধু মুনকে আমি কেনো কাছে রাখতে পারবো না।

আমি আমার প্রিয়তম স্ত্রী মুনকে অনেক কথা দিয়েছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম, “তোমার আমার প্রেম কাহিনী পুরো বিশ্বময় রটে যাবে। আমরা সারাজনম একসাথে থাকবো।“ আমি যা বলেছি তাই করি। আমি আপনাদের মতো ওয়াদার বরখেলাপ করি না।

আগে আমার মুনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন তারপর বিশ্বশান্তির প্রতিষ্ঠিত রূপ দেখুন। এই কথা কোনো শর্ত না। ভালোবাসার শর্ত একটাই আর তা হলো চিরদিন ভালোবেসে যাওয়া। আমি তাই করেছিলাম।

আমাদের এই মহাপবিত্র প্রেমের জুটি আসিফ+মুনকে কোনোভাবেই অবহেলা করার চেষ্টা করবেন না। আমাদের প্রেম মিতাকে সবার প্রেম মিতালীর চোখে দেখুন।

{টাইপিং মিসটেক, বানান ভুল ও কোনো চিহ্ন ভুল যায়গায় পড়লে তা ঠিক করে নিন। আগেও আমি পুরুফ দেখে পোস্ট দেই নি। এখনও দিচ্ছি না। কারণ আপনাদের হাতে সময় খুব কম দিয়ে দিলাম। আপনাদের জন্যই আমার সবকিছু, আর আমার সবকিছুর সবকিছু হলো আমার প্রাণের প্রতিমা মুন। আমি আমার মুনের সাথে সারাজীবন প্রেম করে আপনাদের প্রেম শিখি}

(নগর উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আমার পরবর্তি কোনো আলোচনায় নগর উন্নয়নের কথা আরো খোলাখোলি ভাবে বলবো। আমার আগের লেখা গুলো থেকেও আইডিয়া নিতে পারেন।)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×