জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়......... লক্ষ লক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়।যেখানে ২১লক্ষ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত(২০১৫).. বর্তমান সময়ে এসে কিছু জ্ঞানপাপীদের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যত হুমকির মুখে....
ইতিহাসে জানা যায় যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঢাকা,রাজশাহী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অধিভুক্ত কলেজগুলোর তদারকি করতো..। ঢাকা, ট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অধিভুক্ত কলেজের তদারকি করতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় বাড়তি চাপে ছিল। সেই চাপ কমাতে ও অধিভূকক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নে ১৯৯২ সালে সংসদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামের আইন পাসের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ নতুন সিলেবাসের মাধ্যমে ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষ হতে চার(৪) বছর মেয়াদী স্নাতক(সম্মান) ও এক(১) বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করেছে। এছাড়াও তিন(৩) বছর মেয়াদী স্নাতক(পাস) কোর্স রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. ও এম.ফিলের. ব্যবস্থাও আছে।
গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজারে ১১.৩৯ একর জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত এবং ছাত্রছাত্রী সংখ্যার দিক দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম। ।
••• শিরোনামে উল্লেখ করেছিলাম কতিপয় জ্ঞান পাপী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ...।এখন তারই ব্যখ্যা দিবো.....
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো অধিভুক্ত কলেজগুলোর মান ও ছাত্র-ছাত্রিদের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে..।অনেক বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের এসব মান ঠিক করার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।কখনো তা রাজনৈতিক কারণে,কখনো বা তাদের শক্ত অবকাঠামোর অভাবে তেমন একটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।তবে বর্তমান সময়ে এসে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ (উপাচার্য) যখন সুন্দর অবকাঠামোর মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সাধনে কাজ করা শুরু করলেন ঠিক তখনি কতিপয় জ্ঞানপাপীদের চক্রান্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকে থাকাই আজ দায়...।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেজনজট নিরসনে যে পদক্ষেপ নিয়েছে ও বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে তাতে করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত অনেক উজ্জল হতো..।কিন্তু এ উজ্জলতাকে আঁধারে ঢেকে দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ কতিপয় জ্ঞানপাপী পায়তারা শুরু করেছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ঘোরতোর বিরোধী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক উন্নয়নে ইর্শান্যিত। ফলশ্রুতিতে এবছর তারা চক্রান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর মত একজন বিচক্ষণ মানুষকেও হাত করতে সক্ষম হয়েছে ও কথিত মান উন্নয়নের নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারী কলেজগুলোকে আলাদা করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভূক্ত করতে চাচ্ছে..।
এখন দেখা যাচ্ছে তাদের অবহেলা,ফালতু শিক্ষা কার্যক্রমের কারণে ১৯৯২ সালে কলেজগুলোকে আলাদা করা হয়েছিলো ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো সেই তাদের কাছেই আবার কলেজ গুলোকে দেয়া হবে!!!! এটা কতটুকু যুক্তিসংগত??????
যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ শিক্ষাকে দূরে ঠেলে দিয়ে রাজনীতি ও অপরাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে সারাদিন ব্যস্ত থাকে তাদের কাছে গিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয় রাজনৈতিক ক্যডার হয়ে বের হবো নয়তো রাজনীতির বলির পাঠা হবো..
তাছাড়া যারা নিজেদের ছাত্রদেরকেই কন্টোভরোল করতে পারেনা তারা আমাদের নিয়ে কি করবে!!!! ওখানে তো তাহলে সেজনজট আরো বাড়বে।ঐ আগের কারণটাই আবার সামনে চলে আসবে।মাঝখানে শুধু শুধু আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবো ও পাশাপাশি অবহেলাও থাকবে ফ্রি!!!!
কি দরকার এসব জগাখিচুরী করার!!!!
যারা এসব চক্রান্ত করছে তারা নিজেদের চকরায় আগে তেল দিক পরে না হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবে...।
২০০০একাডেমিক স্টাফ , ১৮০০ প্রশাসনিক স্টাফ ও ২১ লক্ষ শিক্ষার্থীর তিলে তিলে গড়ে তোলা একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কখনোই জ্ঞানপাপীদের একটি পরিকল্পিত চক্রান্তের কাছে মাথা নত করতে দেয়া হবেনা।
এ বিশ্ববিদ্যালয়কে টিকে রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের...।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলমন্ত্রটা মনে আছে তো????
"" সব জ্ঞানীর উপরে আছেন এক মহাজ্ঞানী""
সবাই দাঁতে দাঁত চেপে জ্ঞানার্জনের লড়াই চালিয়ে যান।উপরে মহাজ্ঞানী সবাইকে দেখছেন...।
The University is yours...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৯