somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেরোরিজম এন্ড দ্যা ইলুমিনাতি: তিন হাজার বছরের ইতিহাস (পর্ব ০৩)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফলেন এনজেল:

খ্রীষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে জুডাইজম থেকে বিপথগামী হয়ে একটি গোত্র ব্যাবিলিনীয় ম্যাজিক ও জৌতিশাস্ত্র অনুসরণ করে তাদেরকে কাব্বালা বলা হয়। কাব্বলারা তাদের নতুন ব্যাবিলনীয় শিক্ষা স্থায়ীকরনের জন্য বাইবেলের বিভিন্ন সংষ্করণে নিজেদের মত পরিবর্তন করে নেয়। এজন্য ইলুমিনাতিদের ইতিহাস জানার জন্য প্রথমে বাইবেলের ইতিহাস জানা দরকার। তাদের উদ্ভবের ইতিহাস জানার মাধ্যমে আমার তাদের বিশ্বাসের প্রকৃতি সম্পর্কেও জানতে পারি। একইভাবে হিরোদ দ্যা গ্রেট থেকে শুরু করে খাজার, ক্রুসেডস, এবং বর্তমান সময়ে আল কায়েদাসহ বিভন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্রের বিবর্তন চলছে।



লুমিনাতিরা নিজেদেরকে ফলেন এনজেল/বিতাড়িত ফেরেস্তার উত্তরসূরি বলে দাবি করেন । যেই ফেরেস্তার কাছ থেকে তারা ‘প্রাচীন প্রজ্ঞা’ লাভ করেছেন যারা কাব্বালা নামেও পরিচিত (বর্তমানে এরা রথচাইল্ড/রকফেলা/ডুপন্ট জায়োন্টি এবং হলিউডের এলিয়েন নিয়ে তৈরী মুভীর থিমও এটাই)। এই ফলেন এনজেলকে বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে ‘নেফিলিম’ বা ‘সান অব গড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যিনি পৃথিবীতে অবতড়ন করে মানুষের সাথে প্রজননের মাধমে সুপার রেস তৈরী করেছে। খ্রষ্টীয় অনুবাদ ও ব্যাখ্যায় এই এনজেলকে ‘মাইট ম্যান’ বলা হয়েছে। জিউইস গ্রন্থে তাকে লুসিফার বলা হয়েছে যিনি তার দলবল সহ স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে পৃথিবীতে আন্তবিবাহের মাধ্যমে একটি রেইস তৈরী করে যাদেরকে বাইবেলে ‘আনাকিম’ বলা হয়েছে। (রথচাইল্ড/রকফেলা/ডুপন্ট জায়োন্টিরা মোসেস/মুসা প্রবর্তিত ধর্ম/ইহুদি নয় তারা লুসিফারের পূজক)

ইলুমিনাতিদের ভাষ্য মতে এরাই পৃথিবীতে অন্যগ্রহের জৌর্তিবিদ্যা, ম্যাজিক ও আলকেমি সহ ওকাল্ট/ঐন্দ্রজালিক শিক্ষা প্রদান করে। ওকাল্টিস্টদের বিশ্বাসমতে ফলেন এনজেলরা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ আটলান্টিসে বসবাস করত এবং মানুষের সাথে মিশ্রনের ফলে যে উচ্চ রেসের উৎপন্ন হয় তারা হলেন আরিয়া/আর্য। মনে করা হয় যে, পৃথিবীতে তাদের দুর্নিতি ও অনাচার এমনভাবে ছড়িয়ে ছিল যে গড তাদেরকে ফ্লাড/বন্যার মাধ্যমে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।



বাইবেলের বর্ণনা মতে নূহের পুত্র সাম যখন পাপকর্মে লিপ্ত হবার মাধমে পৃথিবীতে আবার পাপাচার ফিরে আসে। সাম আফ্রিকার দিকে দাক্ষিণ-পশ্চিমে এবং নিকট প্রাচ্য বসবাস শুরু করেন। হামের সন্তানদের মধ্য মিজরেইম মিশরে, এবং কুশিত ইথওপিয়াতে বসবাস শুরু করেন। কুশের পুত্র ছিলেন নমরুদ যিনি ঐতিহাসিক ব্যাবিলনে শহর প্রতিষ্ঠা এবং টাওয়ার অবব বাবেল তৈরিতে উৎসাহ দান করেন।

ধারণা করা হয়,হামের ভাই সাম তার ভ্রাতুস্পুত্র নমরুদের অসৎ কর্মে ভীত হয়ে নমরুদকে হত্যা করে। নমরুদ নিহত হবার পূর্বে সে তার নিজ মাতা সামিরামিসকে বিবাহ করে এবং প্রিগন্যান্ট করে। নমরুদ নিহত হবার পর সামিরামিস ব্যাবিলনের জনগনের মধ্য নিজেকে এবং নিজের সন্তান (স্বামী) নমরুদকে পূজা করার প্রথা চালু করেন। নমরুদকে সান গড এবং সামিরামিসকে দেবী বা ¯^র্গের রানী হিসেবে আর্চনা করত। নমরুদ বা বেলকে গ্রীসে ওরিওন দেবতা এবং সামিরামিসকে ইস্টার দেবী (ভেনাস/শুক্রগ্রহ) বা সকল দেবীদের দেবী হিসেবে অর্চনা করা হত।

আব্রাহাম (ইব্রাহিম) যিনি জিউইস ( ইহুদি, খ্রীষ্টান ও ইসলাম) ধর্মের প্রতিষ্টাতা তিনি নমরুদের বিরোধীতার মুখে নিজ জাতিকে ত্যগ করেন। তিনি নতুন করে সর্বশক্তির আধার এক ইশ্বরের ধর্ম, ন্যায়ও করুণার বানী প্রচার করেন। এই ধর্মই জুডাইজম নামে পরিচিত। আব্রাহামের ২ পুত্রের মধ্য ইয়াকুবে ১২ টি সন্তানের মাধ্যমে ইসরাঈলের ১২ গোত্রের উৎপত্তি। পরবর্তিতে বাইবেলে কাব্বালাদের প্রভাবে এ সকল গোত্রগুলো রহস্যময় জ্ঞান ও প্রতীক (কাব্বালা প্রতীক) ব্যবহার শুরু করেন। ইউরোপের বিভিন্ন রাজপরিবার ও অভিজাতদের মধ্য এই সকল প্রতীক ব্যবহার দেখা য়ায়। উল্লেখ্য, এই ১২ গোত্রের নাম অনুসারেই রাশিচক্রের নাম দেয়া হয়।

ইয়াকুবের পুত্রদেতর মধ্য জোসেফ (ইউসুফ) যাকে তার ভ্রাতাগণ হত্যা করার উদ্দেশ্য কুপে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি পরবর্তিতে মিশরের গভর্নর হন। ইসরাঈলীরা দুর্ভিক্ষের কারণে মিশরে জোসেফের সাহায্য গ্রহণ করেন। প্রায় ৪০০ বছর ইসরাঈলীরা মিশরে বাস করার পর তাদের সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে, তা ফারাওদের উদ্বিগ্ন করে তোলে এবং বনি এসরাঈলেিদরকে নির্যাতন আরম্ভ করে। এ সময় গড় আব্রাহামের একত্ববাদী ধর্মকে পুনরুদ্ধার ও ইসরাঈলীদের মধ্য পুন:প্রচারের জন্য মোসেসকে (মুসা) প্রেরণ করেন। মোসেস তাদের জাতিকে নিয়ে তাদের প্রতিশ্রতিবদ্ধ ও পূর্বপুরুষের আবাস্থল ইসরাঈলে (ফিলিস্তিনে) নিয়ে যান। বাইবেলের ভাষ্য মতে, গড তার নির্দেশ মান্য করার জন্য জিউইসদেরকে অন্য সকল জাতির উপরে স্থান দিয়েছেন।




মিশরে ফারাওদের নির্যাতনের কারণে মোসেস তার অনুসারী বনি ইসরাঈলকে নিযে মিশর ত্যাগ করেন। লোহিত সাগর পার হবার পর তার অনুসারীদেরকে কিছুদিনের জন্য প্রভুর নির্দেশ লাভের জন্য সিনাই পর্বতে যান। এই সময় অনুসারীদের মধ্য কতিপয় একটি স্বর্নের বাছুর বানিয়ে তার পূজা করতে থাকে। স্কলারদের মতে তারা এটি মিশর থেকে সঙ্গে করে আনেন যা মিশরিওরা অসিরিস দেবতা। অসিরিস বা আইএসআইএস (OSIRIS and ISIS now IS in Iraq and Syria) হল ব্যাবিলনের নমরুদ ও সেমিরামিসের মিশরীও নাম।

মোসেসের ৭০ জন এল্ডার/প্রবীণ বিজ্ঞ লোককে নির্দেশ দেন মুর্তি পূজকদের হত্যা করার জন্য এবং তারা আবার তাদের প্রমিজড ল্যান্ডের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন। মোসেস ৭০ জন বিজ্ঞকে তার প্রত্যাদেশ শিক্ষাদেন এবং ফিলিস্তিনে বসবাস করেন। মোসেস ইসরাঈলী ১২ গোত্রের মধ্য লেভি গোত্রের অরুনকে (হারুন) পছন্দ করেন। জিউইস ধর্মপ্রচারকরা নিজেদেরকে হারুন এর উত্রসূরী বলেন।

মোসেস যখন তার অনুসারী সহ ফিলিস্তিনে আসে তখন সেখানে হামের ৪র্থ পুত্র কানানের উত্তরসূরীরা বসবাস করতেন। বাইবেলের বর্ণনা মতে ‘ হামের পুত্র কানানের উত্তরসূরীদের অপরাধের কারণে তাদের উপর অভিশাপ নেমে আসে। ওহে ইসরাঈলীরা তোমরা শোন! তোমরা জর্দান অতিক্রম করে এমন জাতিকে পরাজিত করার জন্য যাচ্ছ যারা তোমাদেও চেয়ে সংখ্যায় বেশী, অধিক শক্তিশালী, তাদেশ নগরগুলো অতি সুরক্ষিত,লোকজন তোামদেও চেয়ে লম্বা যারা আনাকিমের বংশধর যাদেরকে বলতে শুনেছ যে, এমন কে আছে যে আনাকের সন্তানদের সামনে দাড়াতে পরে?

অবশেষে প্রভুর সাহায্য ইসরাঈলীরা তাদের প্রমিজড ল্যান্ড ফিলিস্তিন ফিরে পায় কিন্তু তারা শীঘ্র্রই প্যাগান দেবীদের আর্চনা শুরু করে দেয়। তাদেরকে বারং বার স্বরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছিল যে, তারা যেন কানাতিদের বিয়ে ও তাদের দেবতাদের পূজা না করে। সতর্কববণী স্বত্তেও তারা নমরুদ ও সেমিরামিসের কানাতি প্যাগান ভার্সন বাল ও অসটার দেবতার পূজা শুরা করে এবং তাদের সমাজের সাথে মিশে যায়। বাল ও অসটার দেবতা সূর্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত যে শীতকালে পৃথিবীর নীচে আন্ডারওয়ার্ল্ড এ ভ্রমন করে। এজন্য এসময় এই দেবতাকে মৃত বলা হয় যে বসন্তকালে আবার জেগে ওঠে। যেহেতু বাল এবং অসটারি জমজ এবং পরস্পর বিবাহিত একমাত্র এনড্রেজেনাস (পুরুষ ও মহিলা উভয়) দেবতা যা বেনাসের প্রতীক যার প্রকৃত ল্রাটিন নাম হল লুসিফার।

প্রাচীন প্যাগানদের বিশ্বাস ছিল দৈতবাদ। তারা বিশ্বাস করত স্বর্গ ২টি শক্তি আছে একটি হল ভাল দেবতা অপরটি হল ইভল/অশুভ দেবতা। শীতকালে যেহেতু আন্ডারওয়াল্ডে ভ্র্রমন করে এবং মৃত আত্বার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেজন্য তাকে ইভল বলাহয়। তাকে খুশি করার জন্য ঘুণ্য নরহত্যা প্রথা চালু হয়। যা এখন রথচাইল্ড জায়োনিস্ট সহ তাদের সমগোত্রীয়রা শিশু হত্যা করে তার রক্ত গডকে উপহার দেয়। (এ প্রথা মুল ইহুদিরা পালন করে না)

চলবে ...................

১ম পর্ব দেখতে: Click This Link

২য় পব দেখতে: Click This Link


সোরস ©: TERRORISM AND THE ILLUMINATI
A T h r e e T ho u s a n d Y e a r H I S TORy

লেখক: DAVID LIVINGSTONE
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×