somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেরোরিজম এন্ড দ্যা ইলুমিনাতি (তিন হাজার বছরের ইতিহাস): (পর্ব ০১)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“আমেরিকার জনগন যদি জানত যে আমরা কি করি তাহলে তারা আমাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিত।” George H.W. Bush
সূচনা : ইসলাম পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কখানো হুমকির কারণ হয়নী বরং এর বিপরিদ অবস্থাটাই বাস্তবসঙ্গত। ইসলামিক সন্ত্রসবাদী সংগঠনগুলো পশিচমাদের প্লান বাস্তবায়নের জন্য অগ্রগামী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে থাকে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাথে ইসলামিক সন্ত্রসবাদীদের গোপন ও সন্দেহজনক সম্পর্ক বজায় রয়েছে তা সর্বজনবিদীত। সত্য ঘটনা এ থেক সম্পূর্নই আড়ালে।

সিক্রেট সোসাইট/ গোপন সংগঠন এর মাধ্যমে সন্ত্রসবাদীদের সাথে একটি জটিল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত। প্রকাশ্য সন্ত্রসবাদীরা নিজেদেরকে ধর্মের অনুগত বললেও তারা বিশেষ এক প্রকারের মতবাদে বিশ্বাস করে যার মুল পশিচমাদের ওকাল্ট (গোপন বিদ্যা) মতবাদের সাথে যুক্ত। যারা দেবতা লুসিফারের উপাসক এবং তারা জনগনকে প্রতারনা করার জন্য বিভিন্ন ধর্মের ছদ্ববেশ ধারন করে। সমস্টিগত ভাবে এই নেটওযার্কের প্রধান থাকেন কুখ্যাত সংগঠন যা সামস্টিকভাবে ইলুমিনাতি নামে পরিচিত তার সদস্য।

ইলুমিনাতি একটি সিক্রেট সোসাইটির নাম যা রথচাইল্ড এর আর্থিক সহায়তা ও পামর্শের মাধ্যমে এডাম উইসপট ১৭৭৬ সালে জার্মানিতে প্রতিষ্টা করেন ।



ইলুমিনাতি এর উদ্দেশ্য হল অন্তর্ঘাত মুলক কাজের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহন এবং লুসিফারের সর্বাত্তকবাদী শাসন প্রতিষ্টা করা। পৃথিবীব্যাপি যে ষড়যন্ত্র রয়েছে তার পেছনে ইলুমিনাতিদের অস্তিতেত্বর কথা ঐতিহাসিকরার স্বীকার করেন। ১৭৮৪ সালে এই সংগঠনের ষড়যন্ত্রের কথা (ফরাসী বিপ্লব ঘটানোর কৌশলপত্র) প্রকাশ হয়ে যাবার পর সংগঠনকে জার্মানির ফ্রাংফুট থেকে বের করে দেয়া হয় । এ ঘটনার পর প্রতিষ্টাতা উইসপট গর্ব করে বলেন “ আমি সবকিছু বিবেচনা করে সেভাবেই এটি প্রতিষ্টা করেছি যে যদি সংগঠনটি আজকে ধ্বংস হয় তবে ঠিক এক বছরের মধ্য এর চেয়ে আরো ব্রিলিয়ান্ট উপায়ে পুন: প্রতিষ্ঠ্ হবে।

বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা এই একই উদ্দেশ্য বিভিন্ সেক্রেট সোসাইটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তাদেরকের কমন নাম ইলুমিনাতি বলা হয়। বাস্তবিকভাবে এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ১৮ শতকের ও বহু পূর্বে খ্রীস্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকে ব্যাবিলনে ইহুদি ধর্ম থেকে অসংখ্য অপরাধের দায়ে বহিস্কৃত কাবব্বালাহ সম্প্রদায়। তাদের নিজস্ব বর্ননা মতে ইলুমিনাতিরা সেই পতিত/বিতাড়িত এনজেল এর উত্ত্তরসূরি যিনি ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ আটলান্টিসে বাস করতেন। এই এনজেলের সাথে প্রজননের মাধ্যমে যে সুপিরিযর রেসের উৎপন্ন হয়েছে তারা আরিয়ন নামে পরিচিত এবং যাদেরকে তিনি (ফলেন এনজেল/ডেভিল/স্যাটান/আযাযিল) প্রাচীন প্রজ্ঞা শিক্ষা দিতেন। ইলুমিনাতিরা নিজেদেরকে তাদের উত্তরসূরী মনে করেন যারা বহুশত বছর ধরে সকল প্রতিষ্টিত শাসনব্যবস্থা ও ধর্মের বিরুদ্ধে নিজেদের অকাল্ট (গোপন/ঐন্দ্রজালিক) জ্ঞান ব্যবহার করে আসছে। প্রকৃত পক্ষে তারা এটাকে তাদের চ’ড়ান্ত দায়িত্ব হিসেবে মনে করেন যা ক্লাস অব সিভিলাইজেশন নামে পরিচিত। (হান্টিংটন এই গ্রপেরই সদস্য যিনি নতুন করে তাদের এই তত্ব প্রকাশ করেন)

একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গঠন, তাদের কাল্টকে বিশ্বেও একমাত্র ধর্ম/মতাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্টা করা এবং তাদেও নিজেদের দ্বারা সমগ্র বিশ্ব শাসন করার জজন্য ইলুমিনাতিরা খুব গোপনে শত শত বছর ধরে নিজেদের মধ্য আন্তবিাহের মাধ্যমে তাদের ‘পবিত্র বংশধারা’ বজায় রেখেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তারা তাদের ইসোটারিক (দুর্বোধ্য/বাতেনি) জ্ঞান হস্তান্তর করেছে এবং মসিহ আবির্ভুত হওয়া পর্যন্ত তারা তা চালিয়ে যাবে। এ কারণে তারা নিজেদেরকে ‘পরিবার’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।

বর্তমানে ইলুমিনাতিরা ইউরোপের শক্তিশালি ব্যাংকিং ডিনাস্টির (রথচাইল্ড) সহায্যে পৃথিবীর সকল সরকার, অর্থনীতি,এমনকি কালচারের উপর নিজেদের সুপ্রিমেসি/প্রাধান্য বজায় রেখেছে। বস্তুত ইলুমিনাতিরা হল আন্তজার্তিক নেটওয়ার্ক যারা সমগ্র বিশ্বে ব্লাক মার্কেট ও আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের তৎপরতা বজায় রেখেছে। তাদের বিজয়ের মুল পদ্ধতি হল সেক্সিুয়াল বঞ্চনা,লোভ ও যুদ্ধ সহ সকল প্রকার মন্দ কর্মকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে বিশ্ব সমাজকে অনৈতিক করা।


ইলুমিনাতি (রথচাইল্ড) বিশ্ব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান

সমগ্র বিশ্বে ঋণের বোঝা চাপিয়ে সমগ্র জাতিকে দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে তাদের গ্লোবাল গভমেন্টর কাছে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ধীরে ধীরে হস্তান্তর করা (জাতিসংঘ ও এর সকল প্রকার অংগ সংগঠন)। স্টক মার্কেট ফটকাবাজিতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে অজ্ঞ জনগণের সম্পদ নিজেদের করে নেয়া এবং সর্বশেষে বিশ্ব ব্যাপি অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও অবর্ননীয় দুর্ভোগ তৈরীর করার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তাদের অযোগ্যতা ও অসহায়ত্বকে প্রদর্শন করাবে এবং মুক্তির উপায় হিসেবে ইলুমিনাতিদের প্রত্যাশিত মসীহ কর্তক শাসীত গ্লোবাল ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থাকে গ্রহন করতে অফার করবে। (প্রকৃতপক্ষে লুসিফারের শাসন)

অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, ড্রাগ চোরাচালানী ও প্রস্টিটিউশন এর মাধ্যমে তারা তাদের গোপ কর্মকান্ডের অর্থ সরবরাহ করে। পৃথিবীর শীর্স গোয়েন্দা সার্ভিস সিআইএ, মোসাদ. এমআই-১৬ এবং ক্রাইম সিন্ডিকেট মাফিয়া, আসিয়ান ত্রিয়াদ এবং জাপানের ইয়াকুদা এর সাথে তাদের কর্মকান্ড সংযুক্ত। তাদেও সামস্টিক স্বার্থ অর্জন করার জন্য তারা ফ্রিম্যাসন এবং অসংখ্য সিক্রেট সোসাইটির সাথে কাজ করে থাকে এবং বিভিন্ন উগ্র কাল্ট যথা হিন্দুদের হরে কৃষ্ণ (এসকন) মুসলমান ও খিস্টানদের মধ্য অসংখ্য মৌলবাদী সন্ত্রসবাদী গ্রপ তৈরীর জন্যও তারা দায়ী


সোর্স: TERRORISM AND THE ILLUMINATI
A T h r e e T ho u s a n d Y e a r H I S TORy

লেখক: DAVID LIVINGSTONE

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×