somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যাটান প্রিন্স অব দিস ওয়াল্ড: (পর্ব্ 05)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাইবেরিয়ার সর্বোউত্তরে রিমোট অঞ্চলে বসবাসকারী Yakuts সম্প্রদায়ের কাহিনী মতে শুরুতে সম্পূর্ণ পৃথিবী পানি দিয়ে আবৃত ছিল। Ai-tojon (সুপ্রিম ক্ষমতাবান)পানিতে এমন একটি বুদবুদ দেখতে পেল যে, সেখান থেকে শব্দ উৎপন্ন হচ্ছে। Ai-tojon শব্দটিকে(Voice) জিজ্ঞেস করল কে তুমি এবং কোথা থেকে এসেছো? শব্দটি উত্তর দিল আমি ডেভিল (devil)। আমি পানির নিচের পৃথিবীতে বাস করি।
Ai-tojon তাকে বলল যদি তাই হয় তবে আমার কাছে সেখান থেকে কিছু মাটি নিয়ে এস। ডেভিল ডেুব দিয়ে সেখান থেকে মাটি নিয়ে আসল।
Ai-tojon এটা নিয়ে তার ইচ্ছামত করুনাসিক্ত করে মাটির টুকরোটি পানির উপর রেখে দিলেন। ডেভিল মাটির টুকরোটি টেনে ডুবানোর চেষ্টা করতে লাগল কিন্তু যতই সে টানতে লাগল ততই মাটির টুকরোটি বড় হতে হতে বর্তমান পৃথিবীর আকার ধারণ করল যেখানে আমরা বসবাস করি।

Altai পর্ব্ত এলাকার Tartars সম্প্রদায়ও ইয়াকুতদের ন্যায় একই ধরনে বিশ্বাস পোষণ করে। তবে যে পার্থক্য আছে তাহল সুপ্রিম বিং এর নের্দেশে Erlik (ডেভিল) পানির নিচ থেকে মাটি আনার পর সৃষ্টিকর্তা তা নিয়ে শুকালেন এবং তাকে পুনরায় মাটি নিয়ে আসতে বলেন।এতে বুঝতে পারলেন যে সৃষ্টিকর্তা মাটি দিয়ে কি করবেন । এবার সে ডুব দিয়ে দুই টুকরো মাটি নিয়ে আসলেন তার মধ্য এক টুকরো মুখের মধ্য লুকিয়ে রাখলেন। সৃষ্টিকর্তা তা দিয়ে পৃথিবী তৈরী করলেন। অপরদিকে যে টুকরো টুকো মুখের মধ্য করে লুকিয়ে রাখলেন তা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে Erlik তা ফেলে/বেড় দেন। এবং সেখান থেকে পৃথিবীর পাহাড় ও জলাভুমি সমূহ তৈরী হল।

তখন সৃষ্টিকর্তা Erlik কে বললেন তুমি বড় পাপ করে ফেললে।তুমি আমাকে খারাপ কিছুর দিকে নেয়ার চেষ্টা করেছিলে।এখন থেকে যে সকল লোক খারাপ কিছু ধারণ করকব তারা তোমার লোক হিসেবে পরিচিত হবে এবং কিন্তু ভাল লোকেরা হবে আমার।

পৃথিবী তৈরীর পূর্ব থেকেই ভাল মন্দের মধ্য পাথ্যক্য শুরু হয়েছিল যা ডেভিলের মাধমে পৃথিবীতে স্থানান্তরিতে হয়েছে যাকে (ডেভিলকে) আমরা খিস্টানরা (লেখক) স্যাটান বলি।
আমাদের প্রথম পিতা-মাতা আ্যাডাম এবং ইভিকে গডের কাছে দোষী করার মা্ধ্যমে স্যাটান এবং তার বংশধর রক্তমাংসের মানুষের ন্যায় পৃথিভীতে বাস করে লুসিফারিও(সটান) ধারণাকে বজায় রেখেছে। এবং তাদের মতে তারা পৃথিবেীতে পুনরায় জম্গ্রহণ করে গডের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে। লুসিফার (সটান) যেভাবে পৃথিবী তৈরীর পুর্বে সমগ্র বিশ্বে তার সৃপ্রিম কর্তত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রহ করেছিল একইভাবে পৃথিবী তৈরী হবার পরও স্যাটান (King of Hell)সেই বিদ্রহ পৃথিবীতে স্থানান্তিরিত করেছে যাতে পৃথিবী এবং তার অধিবাসীকেও তার আয়ত্বাধীনে (domain) আনা যায়।

ডেভিল শক্তি বা স্যাটান যারা পৃথিবীতে লুসিফারিও ষড়যন্ত্র পৃথিবীতে স্থানান্তরিত করেছে তারা সবসময় সত্যকে গোপন রেখেছে (TRUTH to be hidden)।এবং সত্য জানাকে তারা এত কঠিন করেছে যে সাধারণ জনগনের পক্ষে তা জানা খুবই কঠিন যদিও তার চিরন্তন মুক্তলাভ এই সত্য জানার উপরই নির্ভরশীল(eternal salvation may depend on knowing these TRUTH।

লুসফারিও ষড়যন্ত সম্পর্কে উপলদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল যে, ডেভিল/স্যাটান সম্পর্কে বিরাজমান ভুল ধারনার অপসারণ। কারণ আমাদের কে জানানো হয়েছে যে, ডেভিল হল কুৎসিত/কদাকার প্রানী যার কুৎসিৎ চেহারা, শিং বিশিষ্ট মাথা, বড় নখ এবং একাধিক লেজ বিশিষ্ট।‘ডেভিল হল আমাদের শত্রুদের মধ্য সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধুর্ত্ এবং যাকে চেনা সবচেয়ে কঠিন কাজ। সমগ্র পৃথিবীকে ও এর অধিবাসীকে তার অধীনে নেয়ার মত দক্ষতা ডেভিলের আছে।সেন্ট আরো বলেছেন – ডেভিল জীবনকে স্বারথক করার জন্য যে ধর্ম্ তাকে অতি অধিক পুরমাণে ধ্বংস করেছে।

প্রাথমিক সময়ের খিস্টিয় থিওলজিয়ান এবং বর্তমান সময়ের ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ্ এ বিষয়ে একমত যে, ডেভিল সম্পর্কে সাধারণ যে ধারণা প্রচলিত বাস্তবে ডেভিল তা থেকে সর্ম্পর্ণ্ ভিন্ন ধরণের সৃষ্টি। ডেভিল সম্পর্কে ভুল ধারণার কারণ হয়তো ডেভিলের ধুরততা ও চালাকী এবং তার ইচ্ছামত মানবে পরিচালনার দক্ষতার কারণেই হয়েছে।

পবিত্র গ্রন্থ মতে যে, সমগ্র বিশ্বে গডের কর্তত্বের বিরদ্ধে বিরোধিতা করেছিল সে হল লুসিফার। তার এরুপ নামের কারণ হল গডের সৃষ্টির মধ্য সবচেয়ে মেধাবী ও বুদ্ধিমান সৃষ্টি। তার নাম হল “Prince of the Dawn,” “Holder of the Light.” । সে হল সর্ম্পর্ণ্ একটি স্পিরিট (ইসিলামের ধারণা হল স্যাটান ছিল জ্বিন বাট তার অসাধারণ ইবাদত ও আনুগত্য এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে খোদা তাকে তার ফেরেস্তাদের মধ্য আসীন করে)। সে হল এজলেস/অনন্তকালের এবং অধ্বংসনীয়।মানব ব্রেইন যা উপলদ্ধি করতে পারেনা এমনি বিষয়ও বুঝা এবং উপলদ্ধির ক্ষমতা তার রয়েছে। সে এই দ্ষতাকে সেলফিস ও অশুভ উদ্দেশ্য ব্যবহার করে।

পবিত্র গ্রন্থ (বাইবেল)মতে, তার অহংকারের জন্য সে গডের বিরুদ্ধে বিদ্রহ কর। তার যোগ্যতা ও প্রভাবের কারণে সে এক তৃতিয়াংশ স্বর্গীয় দূতদেরকেও তার বিদ্রহের সাথে অন্তভুক্ত করে।যদি কোন সত্য বলা হয় তবে তা ডেভিলকে লাঞ্চিত ও হতভম্ব করে (shames and confounds the Devil)।আমার (লেখক) নিজস্ব মত এবং সেন্ট জনের মতে- ডেভিলের চতুরতার কারণেই অসংখ্য খিস্টান সম্প্রদায়ের প্রার্থ্নাতেও ডেভিল এবং ফলেন এনজেল (স্যাটান) সম্পর্কে পর্যাপ্ত সত্য শেখানো হয় না। যারা অস্ত্বিমান এবং সংক্যায় অনেক যারা এ পৃথিবীসহ সমগ্র বিশ্বজগতে ঘুরে বেড়ায় আমাদের আত্বার(জীবনের) ধ্বংস করার জন্য।

এই বিষয়টি (উপরোল্লিখিত) গ্রহন করার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়পর্যন্তও মানুষকে ব্রেইনওয়াশ করার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।এমনকি যারা খিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী তাদের মধ্যও অনেকেই স্যাটান এবং ভাল স্পিরিট আমদের গার্ডিয়ান এনজেল সম্পর্কে এক প্রকার সুপারন্যাচারাল কাহিনী বিশ্বাস করে।খিস্টান ধর্মের বাইরে মিলিয়ন মিলিয়ন লোক রয়েছে যারা স্বর্গ জগতের অস্তিত্ব বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে। অনেক আধুনীকবিদ রয়েছেন যারা এ জাতীয় অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ে বিশ্বস করাকে বাতুলতা মনে করেন (sure symptom of insanity)।

এমন অনেক বিষয়ই আছে যা গড মানুষের বৃদ্ধিকে উপলদ্ধি করার ক্ষমতা প্রদান করেননি।আমরা এ পৃথিবীতে পরীক্ষার(ট্রায়ালে) জন্য প্রেরিত। আমাদেরকে বুদ্ধি ও স্বাধীন ইচ্ছা প্রদান কেরা হয়েছে যে, আমরা স্বেচ্ছায় ও স্বপ্রণদিত হয়ে চিরন্তন জীবনের গডকে ভালবাসি? না কিপ্রেকৃতপক্ষে ডেভিলেএর পথে থাকি।বিশ্বসগত দিক থেকে, আমাদের (খিস্ট)ধর্মগ্রন্থ, প্রফেট এবং খ্রাইস্ট এর শিক্ষা হল যে, আমরা অব্যশ্যই সত্য বিশ্বাস এবং গ্রহন করব যদিও তা মানব বুদ্ধি দ্বারা উপলদ্ধি করা সম্ভব নয়।আমরা অবশ্যই গর্ব্ এর পরিবর্তে বিনম্র হব।যারা বিনম্র থাকবে এবং বিশ্বাস করবে তারাই গডের সান্নিধ্য পাবে (will see God.)।তাদের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব/ সীমাব্ধতা সম্পর্কে উপলদ্ধি হারানোর পরও যারা গর্ব্ করে এবং তাদের অহংকার নিয়ে চলে তারা ডেভিলের সাথে যাবে।


চলবে . . . . .. .



প্রথম পর্ব্: Click This Link

2য় পর্ব্: Click This Link

3য় পর্ব্: Click This Link

2য় পর্ব্: Click This Link

সোর্স: Satan, Prince Of This World
By, William Guy Carr,
অনুবাদ- আবু মুছা আল আজাদ

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×