somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যাটান প্রিন্স অব দিস ওয়াল্ড: (পর্ব্ 06)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এটিযুক্তিসংগত যে গড যদি তার সৃষ্টি জীবকে নিরংকুশ স্বাধীন চিন্তার ক্ষমতা না দিতেন তাহলে হয়তো তিনি তার সৃষ্টির কাছ থেকে বেশী সন্তুষ্টি অর্জন করতেননা। গডের অবিনশ্বর ও চিরন্তন ক্ষমতার জন্য যে তার আনুগত্য করবে, বিশ্বাসযোগ্য হবে এবং স্বতস্ফুর্তভাবে ভালবাসবে তার জন্যই হয়তো গড খুশি হন। এজন্য আমরা বলতে পারি যে যতই অহংকার ততই পতন। লুসিফারের অহংকারই তাকে তার মহৎ সম্মানের স্থান থেকে পতন ঘটালো। সে গডের দূতদের মধ্য দ্বিতীয় প্রধান ছিলেন। তার অহংকার/অপরাধ তাকে নরকের শাসক বানিয়ে দিলেন।

অহংকারের কারণে লুসিফারের পতনের ঘটনা প্রমান করে যে, সকল এনজেল এবং মানুষই ইচ্ছা করলে ইভল হতে পারে। স্বর্গতে সেন্ট মিখাইল কর্তক লুসিফারের বিদ্রহ দমনের পর বিশ্বজগৎ ২টি অতিপ্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা শাসিত ও প্রভাবিত হচ্ছে (গড ও স্যাটান/গুড ও উভল )। গড তাদেরকেই শাসন করে যারা তার প্রতি লয়াল বা আনুগত থাকে অপরদিকে লুসিফার অন্ধ জগতের শাসক এবং তাদেকেই শাসন করে যারা ইচ্চাকৃতভাবে গডের কাছে অপরাধ করে তার বিদ্রহে অংশগ্রহন করে্

পরবর্তিতে সাধারণ জনগনের জন্য সত্য জানাতে সবচেযে বড় বাধা হল, ইডেন গার্ডেন থেকেই যে লুসফারের/স্যাটানের ষড়যন্ত্র পৃথিবীতে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং তা এখনো চলতে এই সত্যটি বুঝতে না দেয়া (মানব জাতির চিরন্তন এবং প্রকৃত শত্রু লুসিফার/স্যাটান)। কারণ পবিত্র গ্রন্থ এবং থিওলজিয়ানরাও এবিষয়ে বেশী বিস্তারিত বলেনি।

প্রবাদ মতে A Fool will rush in where angels fear to tread,” বোকা সেখানেই ছুটে চলে যেখানে এনজেল ভয় পায়। তবুও এরুপ গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে মতামত ব্যাক্ত করাকে আমার দায়িত্ব মনে করি যেই মতামত বহু বছর ধরে একান্ত চিন্তা ও অধ্যায়নের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। বিশ্ব জগত শাসন করার জন্য যদি গডের প্লান এমন হয় যে,তার নিরংকুশ মহনত্বের জন্য অল্প সংখ্যক সৃষ্টি তাকে জানবে, আনুগত্য ও সেবার করবে তাহলে এটি হয়তো যুক্তিযুক্ত হত যে সমগ্র বিশ্বজগতের উপর গডের যে শাসনের ইচ্ছা তা দুর্বল এবং অবাস্তব (বাসতবে তা নয় কারণ সমগ্র বিশ্বজগতে সকল কিছুর উপরই তার শাসন কর্তত্ব রয়েছে)। যদি এমনই হয় তবে লুসিফারের মতবাদ হবে মাইট এজ রাইট এবং শাসন হবে সর্বাত্বকবাদী। স্ববগীয় দূতদের মধ্য যারা অসাধারন যোগ্য ও বুদ্ধিমান তাদের এক তৃতিীয়াংশ যদি তার সাথে বিদ্রহে অংশ গ্রহন করে তবে্ এটা যুক্তিযুক্ত মনে হয় যে লুসিফার সর্বাত্বকবাদী নীতি গ্রহন করছে যাতে সুপিরিয়র বুদ্ধিমানেরা কম বুদ্ধিমানদের শাসন করবে।

অন্যকথায় লুসিফরের স্যাটানিক এজেন্টদের প্রতারণা, মিথ্যা ও প্রলভনের পরও যারা গডের প্রতি আনুগত্য থাকবে তাদের ভালবাসা ও স্বতস্ফূর্ত সেবা থেকেই খুশি হওয়া। লুসিফারের মতবাদ হল সকল কম বুদিধমান (গডের অনুগত) মানুষকে নিরংকুশ স্বৈরতন্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে তার সুপ্রিম কর্তত্ব মান্য করা। পৃথিবীতে আমরা এমনইে এক রকম অবস্থার মধ্যই আছি। যারা (স্যাটানিাস্টরা) সর্বাত্বকবাদকে আনুকুল্য প্রদান করে তারা তারেকে এনস্লেভ/দাস করতে চায় যারা সব্তস্ফুর্ত সেবা ও স্বাদীনতাকে আনুকল্য করে (গডের অনুগত)।

যখন আমি আলবার্ট পাইকের কর গোপন ও প্রকাশ্য জীবন অনুসন্ধান করে দেখলাম, তখন আমি নিম্নোক্ত বিসয়গুলো জানতে পারলাম যা আমার এ বিশ্বসকে আরো শক্তিশালী করল যে, লুসিফার যেমন স্বর্গে বিদ্রহ করেছিল আমরাও এখন পৃথিবীতে ঠিক একই অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। পবিত্র গ্রন্থে অনেক বর্ণনা পেয়েছি যে, পৃথিবীতে লুসিফারের বিদ্রহও একদিন শেষ হবে যেমন স্বর্গে তার বিদ্রহ দমন হয়েছিল সেন্ট মিখাইলেন মাধমৈ। যদি এটিই সত্য হয় তাহলে যারা গডের প্রতি আনগত্য এবং বিশ্বসপরায়ন থাকবে তারা স্বরর্গ তার সাথে মিলিত হবে এবং যারা গডের কাছে অপরাদী হবে তারা নরকে লুসিফারের সাথে জয়েন করবে।

Weishaupt and Pike, Lucifer, এর ব্যাখ্যা মতে, লুসিফারের মতবাদ - সমগ্র বিশ্বের উপর গডের নিরংকুশ অধিকারের বিরুদ্ধে যে স্স্বর্গীয় সবচেয়ে বড় ও বুদ্ধিমান দূতেরা যে যুক্তির উপর বিদ্রহ করেছিল তা হল শুধুমাত্র সর্বাত্বকবাদী স্বেরতন্ত্রই একমাত্র শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে। যাতে নিরংকুশ (স্যাটানিক) স্বৈরতন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কম বুদ্ধিমানদেরকে সুপ্রিম বুদ্ধিমানের নির্দেশ মান্য করতে বাধ করা।

W.R.M (World Revolutionary Movement) অদ্যয়ন করার ক্ষেত্রে আমরা কখনোই ভুলবনা যে, এই পৃথিবী, সকল গ্রহ ও নক্ষত্র যাকে আমরা সৌর মন্ডলে বলি তা গ্যাক্সির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আরো স্পস্ট বলতে গেলে এই সৌরমন্ডল বিশ্বজগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটি পরিস্খার রাতের আকাশে আামদের খোলা আকাশে অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র দেখতে পাই যা আমাদের পৃথিবীর চেযে অনেক বড়। প্রতিটা গ্যালাক্সিরই অছে অসংখ্য নক্ষত্র, গ্রহ। প্রতিটা সুর্য/নক্ষত্রই তার অধিনস্থর উপর নিরংকুশ নিয়ন্ত্রন বজায় রাখে। যখন আমরা ভাবি যে, আামদের দৃষ্টির বাইরেও মিলিয়ন মিলিয়ন সৌরমন্ডল রয়েছে যাদেরকে বিজ্ঞানিরা আমারা যা দেখি তাদের চেয়ে বহুগুন বড় বলে ঘোষনা দিয়েছেন তখন এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তার মহন্বত্বের কথাও উপলদ্ধি করা সম্ভব হয়।

যে পয়েন্ট আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে তাহল HEAVEN বলতে বুঝায় যেখানে সকল এনজেল, সুপারন্যাচারাল বিং, ও পত্রি আত্ব যারা স্মপূর্ন স্বতস্ফুর্তভাবে গডকে ভালবাসে তারা যেখানে অনন্তকালে জন্য অবস্থান করে তাকেই বুঝায়। স্বর্গ হল পরম সুখ, আন্ন্দ ও সুখের যায়গা যা মানব বুদ্ধি দ্বার উলদ্ধির বাইরে। Christ বলেছেন- স্বর্গীয় পিতার আবাস হল বহু পৃথিবী জোড়া এবং সেখানে তিনি আমাদের জন্য আবাস তৈরী করছেন। খ্রাইস্ট অারো বলেছেন তথায় সাতটি HEAVEN আছে এবং তার আয়তন এত বড় যে যা মানব জ্ঞানের বাইরে।

Holy Scriptures আমদেরকে বলেছে লুসিফার সম্পূর্ন একটি স্পিরিট। সে ধ্বংসও হবার নয়। সে অনন্তকাল ধরেই বাস করবে। মৃত্যুর পরে একটি বিচার হবে এবং চুড়ান্ত বিচারের পর সকল সৃষ্টিই দুটি দলে ভাগ হযে যাবে। যাদেরকে শিপ/ভেরা হিসেবে উ্ল্লখ করা হয়েছে তারা স্বর্গে যাবে এবং যদেরকে ছাগল/The Goats” বলা হযেছে তারা নরকে যাবে যেখানে লুসিফার চিরন্তন কালের জন্য রাজত্ব করবে।

পবিত্র গন্থ আমাদের বলেছেন- হেল/নরক হবে এমন যায়গা যেখানে ব্যাপক নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার মধ্য লুসিফারের সর্বাত্বকবাদী শাসন প্রতিষ্টিত হবে। সেখানে প্রত্যকেই প্রত্যককে ঘৃণা করবে কারণ নরকে সবাই জানতে পারবে যে তারা লুসিফার/ষ্যাটান এবং তার এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতারনার শিকার হয়ে গডের কাছে অপরাদী হয়েছে। নরকের অগ্নি তাদেরকে পুড়াতে থাকবে কিন্তু তারা সর্ম্পর্ন শেষ/মৃত্যু হবে না।

চলবে ...........

প্রথম পর্ব্: Click This Link

2য় পর্ব্: Click This Link

3য় পর্ব্: Click This Link

4র্থ্ পর্ব্: Click This Link
5ম পর্ব্: Click This Link

সোর্স: Satan, Prince Of This World
By, William Guy Carr,
অনুবাদ- আবু মুছা আল আজাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×