somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পলিটিক্স ইজ নট মাই ক্যারিয়ার

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা যখন ছোট ছিলাম, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারের ভিড়ে কেউ কি আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে আমি বড় হয়ে মন্ত্রী হব, প্রধানমন্ত্রী হব।কিংবা আমি হয়ে উঠব একজন বঙ্গবন্ধু ,ভাসানী, শেরেবাংলা,সোহরাওয়ার্দী। আমাদের ছোটবেলা থেকে মনের ভেতর দেশপ্রেমের একটা বীজ বপণ হয়ে যায়।বীজ থেকে চারা হয়,চারাটা সযত্নে বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে একটা সময় গাছটা থমকে দাড়ায়। বলতে গেলে থামিয়ে দেয়া হয়।তার ডালপালা ছড়াবার আগেই। যে গাছটা বড় হয়ে ছায়া দিতে পারত।আমাদের স্বপ্ন দেখানো হয় ডাক্তার হওয়ার ,
প্রকৌশলী হওয়ার, পাইলট হওয়ার। আমরা আমাদের হওয়াটা বুঝার আগেই অভিবাবকদের বাধা ধরা স্বপ্নে নিজেকে নিমজ্জিত করে ফেলি। আমরা কেউ এতে সফলতার উচ্চ শিখড়ে পৌছাই।কেউবা অঙ্কুরোদগমেই ঝড়ে পড়ি। আমাদের কখনো রাজনীতিবিদ হওয়ার
স্বপ্ন দেখানো হয় না।আমরা বলতে পারি না আমি মন্ত্রী হব।প্রধানমন্ত্রী হব।আমরা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়ে যেরকম দেশকে সেবা দিতে পারি,জনগণের প্রতিনিধি হয়ে সরাসরি দেশকে সেবা দেয়ার মত বড় মাধ্যম আর কি হতে পারে। যেখানে আমার ধ্যান, কর্ম সবই দেশের কল্যাণ, মানুষের কল্যাণ। । দেশকে, দেশের মানুষকে ভালবাসার বড় একটা পথে কাটা বিছিয়ে রাখা। আজকাল ফেসবুকে অনেকের প্রফোইল ইনফোতে পলিটিক্যাল ভিউ এ লেখা "আই হ্যাট পলিটিক্স"। রাজনীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। যেখানে সুষ্ঠ রাজনীতি চর্চা প্রায় বিলুপ্ত। যেখানে রাজনীতির মানে বুঝানো মানে হয় জ্বালাও পোড়াও, ক্ষমতার অপব্যবহার, রেশারেশি সেখানে ঘৃণা করাটাই স্বাভাবিক। অথচ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তরের রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।একটা সময় সব শ্রেণী পেশার মানুষের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ছিল। দেশের স্বার্থে নি:স্বার্থভাবে সবাই এক কাতারে দাড়াত।

বর্তমান কিপ্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে শিশু ভূমিষ্ঠ হয় হরতালে আটকে থাকা এ্যাম্বুল্যান্সে। বিশুদ্ধ বাতাস নেবার আগে বোমা, বারুদের গন্ধ তার ফুসফুসে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এই নবপ্রজন্ম কখনো গণতন্ত্রের সুদর্শন রূপ দেখতে পাবে? আমাদের অতীতের গর্বের ইতিহাস ভবিষ্যত কত প্রজন্ম পর্যন্ত টিকে থাকবে? পচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক পথ প্রদর্শকরা শুধু একে কলুসিতই করে গেছেন।রাজনীতিতে চলে আসে কিছু ভূইফোর লোক। যারা শুধু রাজনীতিকে ব্যবহারই করে গেছে,নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে। কেউবা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠা নিজের সামাজিক মর্যাদার স্বার্থে।যেখানে রাজনীতির মূল উৎস হয়ে গেছে অর্থ। ক্ষমতার পালাবদলে কতজন এল গেল।কেউ আর সুষ্ঠ গণতন্ত্রের চর্চা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনবোধ করলেন না।

এক সময় আমাদের গর্ব করার মত যে ছাত্ররাজনীতি ছিল, যেখান থেকে মেধাবি ছাত্রনেতা বের হয়ে আসত, সে ছাত্র রাজনীতি আজ সবচে বিপথে। ছাত্র রাজজনীতি এখন এক আতঙ্কের নাম। যে ছেলেটা আজ কলেজ, ভার্সিটিতে রাজনীতি করে মানুষের চোখে সে মন্দ। কলেজ/ভার্সিটির সবচেয়ে মেধাবি ছাত্রটি এখন আর স্বপ্নেও ভাবে না রাজনীতিতে আসার। ছাত্ররাজনীতি এখন শুধু ক্ষমতার প্রলোভনেই আটকে আছে। অথচ এখান থেকে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরী হওয়ার কথা। যারা দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে পারত। এ বছরই স্কুল পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল ক্যাবিনেট নির্বাচন। উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র চর্চা, অপরের মতামতকে মূল্যায়ণ করা ইত্যাদি। এখন তারা কোন গণতন্ত্রের চর্চা করবে? এর সুফল কি? আমাদের দেশে সরকার দল বিরোধী দলকে কতটুকু মূল্যায়ন করে? দেশের অগ্রযাত্রায় বিরোধি দলের ভূমিকাই কতটুকু। যেখানে যেটার প্রয়োগ নেই সেখানে সেটার চর্চা কখনো আশা করা যায় না। এমনও হতে পারত জন্ম থেকে আমাদের রক্তে মিশে যেত সুষ্ঠ চর্চা। যে জিনিস আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসব,শুনে আসব সেটা সহজেই আমার নিজের মাঝে ধারণ করে নিতে পারতাম।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নটা আরও দ্রুত হতে পারত।

মানুষ এখন রাজনীতিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলে। যেন কোন এক নর্দমা থেকে এর সৃষ্টি। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এর সুইতিহাস দিন দিন খসে পড়ছে।বর্তমান সময়ে রাজনীতির কুৎসিত রূপটাই শুধু আমাদের চোখে ভেসে উঠে। সুষ্ঠ রাজনৈতিক বিকাশের সুযোগ এখন আর নেই। ফলে দেশের মেধাবি নেতৃত্ব তৈরী হচ্চে না। দেশের নতুন প্রজন্ম সুশিিক্ষত হয়ে গড়ে উঠছে। তারা রাজনীতি সচেতন। এখন রাজনীতি সচেতন মানেই রাজনীতি থেকে বিরত থাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×