জীবন যুদ্ধে হার মানতে নারাজ ফরিদগঞ্জের আশিউর্ধ এই বৃদ্ধ!
ছেলে সন্তান থাকা সত্তেও দিনের পর দিন গাছ বেয়ে, ঝুঁকি নিয়ে ই জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপাড় ওপাড়।
নানা রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী।
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
জীবনের একটা ক্লান্তি লগ্ন পার করে এসেছেন অলি আহমেদ।
চার ছেলে আর এক মেয়ের জনক এই বৃদ্ধ লোকটি।
সম্পত্তি বলতে যাহা ছিলো তার বেশীরভাগ ই দিয়ে দিয়েছেন তার সন্তান দের।
বৃদ্ধ এই লোকটির এক ছেলে প্রবাসী, ৭ বছর প্রবাস জীবনে কোনদিন খবর ও নেন নি।
অলি আহমেদের স্ত্রী এখন ও জীবিত।
ঝুঁকির কাজ বলতে তিনি প্রতিনিয়ত ই গাছ বেয়ে বেড়ান,এই কাজ করে যেই অর্থ পান তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ছেলেদের মধ্যে যে গ্রামে থাকে সে সাহায্য সহযোগিতা কিছুটা করে।
এছাড়া চিটাগাং এ যে ছেলে সে ও কিছু দেয়।
কথা গুলো তিনি নিজে ই বলেছেন।
আশ্চার্যের বিষয় হলো এই রমজান মাসে তিনি রোজা রেখে ই বেয়ে চলেছেন গাছ।
বিয়ের পর সন্তান বউ ভক্ত হয় এটা যেমন মিথ্যা নয়,তেমনি জন্মদাতা পিতামাতাকে কষ্ট দেয়াটা সেটার ফল যে ভোগ করবে না সন্তান এটা ও মিথ্যা নয়।
কোন বইয়ে জেনো পড়েছিলাম সন্তান কুসন্তান হলেও,পিতা,মাতা কু পিতা মাতা হন না।
এর পর ও ওই বৃদ্ধ দম্পতি প্রতিনিয়ত শ্রষ্ঠার কাছে তার সন্তান দের মঙ্গল কামনা করে বেড়ান।
আমার এই লেখাটির কারনে হয়তো তার ভাগ্যের চাকা ঘুড়বে না,হয়তো তার জীবনে আসবে না নতুন কোন সম্ভাবনা।
কিন্তু বিশ্বাস শ্রষ্ঠা চাইলে ঠিক ই তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
হয়তো একদিন এই বৃদ্ধ দম্পতির জীবন যুদ্ধ থেমে যাবে, কিন্তু ওই যে সন্তানের প্রতি ভালবাসা সেটা হয়তো চিরদিন রয়ে যাবে।
ছবি :- রিফাত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৩