দৈনন্দিন জীবনে আমরা সাধারনত একেবারেই সিম্পল সাইন্স ফ্যাক্ট গুলো জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই খুবই শক্ত টাইপ বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টগুলোর সম্পর্কে পরিচিত নয়। কারন এগুলো এতটা সহজ ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয় না। তাই আসুন এমন কিছু বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট সম্পর্কে জানি যেগুলো আমরা সচারচর জানিনা বা বুঝিনা।
২০) আমরা জানি আনুমানিক ১৩৫০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের সূচনা হয় বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরন এর মাধ্যমে। এর আগে এই বিশাল মহা বিশ্ব একটা বিন্দুতে সুরক্ষিত ছিল। এই বিস্ফোরনের পরিমান কেমন ছিল সেটা আমাদের এই ছোট মস্তিস্কের কল্পনার বাইরের বিষয়। তো যেটা আন্দাজ করা যায় যে বিগ ব্যাং এর সময় যে বিস্ফোরন ঘটে তার ফলে মহাশুন্যে প্রচন্ড রেডিয়েশন এবং এক ধরনের প্রচন্ড শক্তিশালি মাইক্রোওয়েভ ছরিয়ে পরে।
দারুন মজার বিষয় হচ্ছে আপনার টিভিতে মাঝে মধ্যে অথব প্রায়ই ঝির করার সমস্যা হয়ে থাকে। তো এই ঝিরঝির করার মোটামুটি ১ শতাংশ কারন হচ্ছে সেই কসমিক মাইক্রোওয়েভ। এবার কল্পনা করেন কেমন বিস্ফোরন হয়েছিল যার প্রভাব এখনো পুরো মহাবিশ্বে ছরিয়ে আছে।
১৯) একজন মানুষের পরিপাক তন্ত্র বা পাকস্থলির ঠিক নিচের লম্বা নলটি যার মধ্যে হজম করা বাকি খাবার টা জমা হয় সেখানে মাত্র এক সেন্টিমিটারে যে পরিমান ব্যাক্টেরিয়া থাকে এবং কাজ করে তার সংখ্যা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত জন্মগ্রহন করা সব মানুষের থেকেও বেশি। একচুয়ালি পুরো পরিপাকতন্ত্রে এই সংখা কয়েক হাজার কোটির উপরে। এরাই আমাদের পুরো পরিপাকতন্ত্রটাকে সচল রাখে আর আমাদেরকে জীবনধারনে সহোযোগিতা করে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মতন করে। আর আমরা মানুষ প্রজাতি মনে করি আমাদের শরিরের কন্ট্রোল শুধু আমাদেরই হাতেই আছে শুধু মাত্র আমরাই এটাকে চালাই। হে হে হে...............
১৮) আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। আমাদের দেশের মতন আরো ২০১ টা দেশ এবং ৮ টা মহাসাগর নিয়ে আমাদের গ্রহের নাম পৃথিবী। এই পৃথিবী সুর্য নামক একটা তারাকে প্রদক্ষিন করছে। আমরা মহাবিশ্বের যে গ্যালাক্সিতে থাকি তার নাম মিল্কিওয়ে। মহাকাশে অবস্থিত হাবল টেলিস্কপের সাহায্যে দেখা গেছে যে এই গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি তারা আছে। যারা সুর্যের চেয়ে অনেক অনেক গুন শক্তিশালি। এদের অনেকের গ্রহ আছে আবার অনেকের নাই। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে মহাশুন্যে মিল্কিওয়ে শুধু একাই নয়। এরকম আরো ১ হাজার কোটি গ্যালাক্সি আছে। এবার চিন্তাকরেন তার মধ্যে কি পরিমান তারা আছে। আর সেই তারাদের আবর্তন কারি গ্রহের সংখ্যা কি পরিমান হতে পারে। তার মধ্যে কি একটাতেও কোন প্রানের অস্তিত্ব নাই??
১৭) মানুষের নাকের মধ্যে এক ধরনের কোষ আছে যেগুলো গন্ধ শোকার জন্য ব্যাবহৃত হয়। এখন আমরা জানি এই কোষ সৃস্টি হয় অনুর মাধ্যমে। তো এই কোষগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০ ধরনের সেন্ট রিসেপ্টর বা গন্ধ আস্বাদন করার অনু থাকে যা এক সথে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রায় হাজার কোটি গন্ধ আলাদা আলাদা ভাবে বুঝতে পারে। মুলত এই অনুগুলো বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গন্ধগুলোকে আলাদা করে ফেলে। এই এই ৪০০ অনু মারাত্মক সব জটিল বিক্রিয়াল মাধ্যমে এত বিপুল পরিমানের গন্ধ আলাদা করতে পারে।
মানুষ কি সৃস্টি হয়েছে নাকি বিবর্তন হয়েছে তার একটা দারুন তর্ক জমবে এই তথ্যটার মাধ্যমে। কারন সাধারনত বিবর্তনের ফলে এই ধরনের কিছু ঘটা প্রায় অসম্ভব।
১৬) হে হে এইটা খুবই মজার। আমরা যদি পৃথিবী থেকে একটা নির্দিস্ট আলোক বর্ষ দুরত্বে(আলো এক বছরে যতদুর পর্যন্ত যায়) একটা যথেস্ট বড় আয়না সেট করতে পারি এবং ততধিক শক্তিশালি একটা টেলিস্কোপ সেট করতে পারি আমাদের পৃথিবীর অরবিটে তাহলে আমরা হয়ত আজকে বসে বসে মুক্তিযুদ্ধ লাইভ দেখতে পারবো। হয়ত শেখ মুজিবর রহমানের ভাষন অথবা মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষনাও একেবারে সরাসরি শুনতে পারবো।
এর মানে হচ্ছে আমাদের এই গ্যালাক্সি যার নাম মিল্কিওয়ে এটার পরিধি এতই বেশি বা এটার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তের দুরত্ব এতই বেশি যে আজ থেকে একশ বছর আগে আমাদের পৃথিবীতে যা ঘটেছে তা হয়ত ওই প্রান্তের কোন গ্রহের কোন টেলিস্কোপের চোখে এখনো পৌছায় নাই। কারন আলোরই এই দুরত্ব পারি দিতে সময় লাগে শত শত বছর। হয়ত হাজার বছর হয়ত লক্ষাধিক বছরও লেগে যেতে পারে তবে এটা দুরত্বের উপরে নির্ভর করবে। আরো মজার বিষয় হচ্ছে ওই গ্রহে আপনাকে তাহলে আলোর চেয়ে আরো হাজার গুন বেশি গতিতে যেতে হবে। যেটা প্রাক্টিক্যালি অসম্ভব। কারন আলোর চেয়ে বেশি দৌর দিলে আপনি স্থির হয়ে যাবেন। এমনও হতে পারে আপনি ওই গ্রহথেকে ঘুরে এসে দেখবেন পৃথিবীতে আর মানুষ বাস করে না কারন ততদিনে এক লক্ষবছর পৃথিবী পার করে ফেলেছে। ওই শালা আইনস্টাইন এই ত্যানা প্যাচানিটা লাগাইছে। এইটা বুঝার দরকার নাই বাদ দেন।
১৫) নাসার মকাশচারি বা অস্ট্রোনটদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মহাশুন্যের গন্ধ কিরকম। তাদের ভাষায় এটা কিছুটা পোরা মাংস, গলিত ধাতব বা ঝালাই এর ধোয়ার গন্ধের মত পোড়া টাইপ। বিজ্ঞানিদের ধারনা তারা যে গন্ধটা পান সেটা হচ্ছে মহাশুন্যে ছরিয়ে থাকা খুবই উচ্চশাক্তি সম্পন্ন কম্পমান কনার সাথে বাতাসের মিশ্রন যা তারা তাদের শরিরের সাথে করে স্পেস স্টেশনে নিয়ে আসেন। এগুলোই স্পেস স্টেশনের বাতাসের সাথে মিশে এই ধরনে গন্ধের সৃস্টি করে।
১৪) গবেষনায় দেখা গেছে পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের পানিতে মিশ্রিত অবস্থায় প্রায় ২ কোটি টন গোল্ড বা খাটি স্বর্ন আছে। দারান এখনই দৌর দিয়েন না। গবেষনায় আরো দেখা গেছে এক লিটার সমুদ্রের পানিতে একগ্রামের ১৩ কোটি ভাগেরও এক ভাগ স্বর্ন থাকে। তার মানে এক গ্রাম স্বর্ন পাইতে আপনাকে ১৩ কোটি লিটার পানি ছাকতে হবে। বাদ দেন স্বর্নের আশা।
১৩) আমরা যখন পরিস্কার আকাশের দিকে তাকাই তখন আকাশে এক একটা স্থান দেখতে পাই যেখানে তারাগুলো একটা একটা নির্দিস্ট প্যাটর্নে সাজানো থাকে। এগুলোকে নক্ষত্র পুঞ্জ বলে। একটা নক্ষত্রপুঞ্জের ভিতরে প্রচুর গ্যাস পুঞ্জিভুত অবস্থায় থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে Aquila নামক একটা নক্ষত্রপুঞ্জের গ্যাসের ভিতরে এত পরিমান এলকোহল আছে যে তা আমাদের সমুদ্রের পানিকে ছারিয়ে যাবে। অর্থাৎ এই এলকোহল দিয়ে যদি মদ বানানো হয় তবে সেই মদ সমুদ্রের পানিকে ছারিয়ে যাবে। কি যাবেন নাকি একুলিয়াতে।
১২) আমরা বলে থাকি দুনিয়াতে কোন কিছুই অমর না। কিন্তু বিজ্ঞানিরা সমুদ্রের মধ্যে Turritopsis dohrnii নামক এক ধরনের জেলিফিস এর খোজ পেয়েছেন যা বায়োলজিক্যালি অমর। এই জেলিফিসগুলো জন্মের সময় একটা স্টেজ পার হয়ে আছে যাকে Polyp স্টেজ নামে ডাকা হয়। সাধারনত খুব কম সংখক প্রানিই এই স্টেজটা পার হয় জন্মের সময়। তো এসার যখন বার্ধক্য অথবা অন্যকোন প্রানির হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয় তখন এরা আবার সেই Polyp স্টেজে ফেরত যেতে পারে এবং কোস পুনস্থাপন করতে পারে। ফলে তার সেই যৌবন আবার ফেরত আসে। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তো সমুদ্রে শুধু এদেরই প্রচুর পরিমানে দেখা যেত। দেখা না যাওয়ার কারন হচ্ছে এরা সমুদ্রে অন্যান্য প্রানিদের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। তাই বড় মাছ এবং অন্যান্য জেলিফিসের জন্য এরা বেশ সুস্বাদু এবং ওষুধি খাবার। মজার বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানিরা এদের নিয়ে প্রচুর গবেষনা করছেন যাতে মানুষের শরিরে কোষ পুনস্থাপনের কাজ করা যায় এবং মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করা যায়।
১১) আমাদের চোখে আমরা যে আলো দেখতে পাই তা সুর্যথেকে সৃস্ট ফোটন কনা আমাদের চোখে আঘাত করে তার ফলশ্রুতিতে। এই ফোটন কনাগুলো সুর্যের কেন্দ্রস্থলে উৎপাত্তি হবার পরে সুর্যের উপরি ভাগে মানে সারফেসে আসতে সময় লাগে গড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার বছর। আর সেই উপরিভাগ থেকে আমাদের পৃথিবীতে এসে আমদের চোখে আসতে সময় নেয় মাত্র ৮ মিনিট। তার মানে আমরা এখন যে আলো দেখছি এটা আরো ২ লক্ষাধিক বছর আগে সুর্যের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে। আর এখন যেটা তৈরি হচ্ছে সেটা পৃথিবীর পর্যন্ত আসেত আরো দুইলক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে। প্রশ্ন আশে এই মহাবিশ্ব কি আসলেই কেউ এত সুন্দর করে সৃস্টি করেছে নাকি এমনি এমনিই এটা হয়েছে??
১০) আমরা জানি মানুষের শরির গঠিত হয়েছে কোটি কোটি কোষের দ্বারা। এই ক্ষুদ্র ক্ষ্রদ্র কোষগুলোই আমাদের শরিরের হাড় হতে শুরু করে পেশি, রক্ত, এবং শিরা ধমনি সৃস্টি করেছে। তো এই কোষ সৃস্টি হয়েছে আবার অনুর দ্বারা। একটা অনুর সাইজ এতই ছোট যে নরমাল মাইক্রোস্কোপ দ্বারাও দেখা সম্ভবপর নয়। তো এই অনুর গঠন দেখলে দেখা যাবে এর মধ্যে অত্যান্ত অল্প কিছু জিনিষ বাদে বাকি সবই খালি স্থান। তো বিজ্ঞানিরা দেখেছেন এই শুন্যস্থানের পরিমান এতবেশি যে আপনি যদি পৃথিবীতে বর্তমানে যত মানুষ আছে তাদের শরিরের এই অনুগুলোর ভিতরে থাকা খালি স্থান গুলো বাদ দেন তাহলে বাকি যে বস্তু থাকবে তার সাইজ একটা চিনির দানার সমান হবে। আর সেই চিনির দানার ভর হবে এই সবগুলো মানুষের সমান। তাহলে বুঝেন আপনার শরিরটা আসলে একটা শুন্য স্থান যেখানে একচুয়ালি কিছুই নাই। এই জন্যই মানুষরে ফানুষ বললে কিছই ভুল হবে না। মানুষ তার নিজের সম্পর্কে আসলেই কিছুই জানে না।
৯) আমাদের সবগুলো সমুদ্রে সর্বমোট ৩২ কোটি কিউবিক মাইল পানি আছে।(কিউবিক মাইল এর হিসাব যাদের জানা নাই তারা এতটুকুন জানেন আমাদের পৃথিবীর সব মানুষ এক সাথে এক কিউবিক মাইলের মধ্যে রাখা যাবে। মানে পাশাপাশি না স্তুপের মতন করে রাখলে আরকি)
এই পানি আমাদের পুরো পৃথিবীর ৭১ শতাংশ দখল করে রেখেছে। এখন যদি এই সবগুলো সমুদ্রের পানি শুকিয়ে ফেলা হয় তবে যে পরিমান লবন পরে থাকবে তার নিচে আমাদের ভুভাগ মানে ৭ টা মহাদেশ খুব আনায়সে ৫০০ ফিট নিচে হারিয়ে যতে পারবে। মানে এখন আমাদের এন্টার্কটিকা যেভাবে বরফের নিচে ঢেকে আছে তখন সবকিছু এর চেয়েও গভির লবনের চাকার নিচে ঢেকে থাকবে। প্রয়োজন নাই পানি শুকানোর যা আছে তাই ভালো।
৮) আমাদের এই মহাবিশ্বের যেখানে লক্ষ কোটি তারা আর গ্যালাক্সি আছে এর কোন কেন্দ্র বা শেষ প্রান্ত নেই। বিজ্ঞানি আইনস্টাইন এর theory of relativity বা আপেক্ষিক তত্ত অনুযায়ি গ্রাভিটি বা মধ্যাকর্ষন শক্তি মহাবিশ্বের সকল সময়কে এমন ভাবে মোচরাইছে যে এটা এখন একটা endless curve বা অবিরাম বক্ররেখা হয়ে গেছে মানে এই বক্রের কোন শেষ বা কেন্দ্র খুজে পাওয়া যাবে না। মজার বিষয় হচ্ছে আমি তো দুরের কথা ভালো ভালো বিজ্ঞানিরা এই জিনিষ ভালো করে বুঝেন না। তাই আপনার এইটা নিয়ে মাথা চিন্তা কইরা মাথা গরম করার দরকার নাই। আপাতত পরের পয়েন্টে চলে যান।
৭) আমাদের শরিরে প্রায় ০.২ মিলিগ্রাম এর মতন পিউর স্বর্ন আছে। এই স্বর্নের পুরোটাই থাকে মানুষের রক্তের মধ্যে। তো মজার বিষয় হচ্ছে মোটামুটি এক ক্যারেট সোনার জন্য প্রৃায় এক হাজার মানুষের রক্ত রিফাইন করতে হবে। হাউ চুইট।
৬) প্রজাপতি তাদের পায়ের মাধ্যমে যেকোন কিছু স্বাদ পরখ করে। আমরা যেমন জিহ্বা দিয়ে স্বাদ নেই তারা নেয় তাদের পাযের মাধ্যমে। বিজ্ঞানিরা গবেষনা করে দেখেছেন এটার কারন হচ্ছে যখনই তারা কোন ফুলের বসে সাথে সাথে তাদের পায়ের থাকা একধরনের কোষ উক্ত ফুলের গন্ধ এবং স্বাদ আস্বাদন করে নেয় এবং প্রজাপতিটা বুঝে নেয় ফুলটি খাবারের জন্য উপযুক্ত কিনা অথবা এটির উপরে ডিম পারার উপযুক্ত কিনা।
৫) সমুদ্রে সবচেয়ে গভির অংশ হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নামক স্থানটি। এর মধ্যে সবচেয়ে গভি হচেরছ Challenger Deep নামক একটা স্থান। এটা এতই গভির যে আমাদের এভারেস্ট পর্বত এটার সামনে একবারেই দুধভাত। এর গভিরতা প্রায় ১১ কিলোমিটার। মানে হচ্ছে আপনাকে মোটামুটি পানির এগারো কিলোমিটার নিচে যেতে হবে এই স্থানের মাটি স্পর্শ করতে হলে। মজার বিষয় হচ্ছে এই স্থানে মানে এই মাটিতে পানির চাপ হচ্ছে প্রায় 15,750 psi। যারা psi বুঝেন না তাদের বলছি। মোটামুটি একটা স্টিলের বক্সকে চ্যাপ্টা বানাইয়া ফেলানোর জন্য যথেস্ট। এটা কিভাবে সৃস্টি হল এটা নিয়ে আমার একটা ডিটেইলস পোস্ট আসতেছে।
৪) একজন মানুষের শরিরে যে পরিমান শিরা,উপশিরা এবং অন্যান্য রক্তবহন কারি অংশ আছে তাদেরকে যদি একটার পরে একটা রেখে লম্বালম্বি ভাবে সাজানো যায় তবে তার দৈর্ঘ হবে ৬২ হাজার কিলোমিটার। মানে পুরো পৃথিবীরকে এক বার নয় দুই বার নয় প্রায় আড়াই বার মুরে দিতে পারবেন শুধু আপনার শরিরের শিরা উপশিরা দিয়ে। আমার মাথায় ঢুকে না এত জটিল এবং বিশাল একটা স্ট্রাকচার কিভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে আসলো।
৩) আমরা জানি ইনফ্রারেড ক্যামেরা এয়ারপোর্ট এবং বন্দরগুলোর কাস্টমস এ ব্যাহার হয়। এই ক্যামেরা গুলোর বৈশিষ্ট হল এগুলো হিট সেন্সেটিভ। মানে হচ্ছে তাপমাত্রার ভেরিয়েশন সেন্স করে এই ক্যামেরাটা যে কোন কিছু ডিটেক্ট করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে পোলার বিয়ার বা মরু ভাল্লুক হচ্ছে একমাত্র প্রানি যে এই ক্যামেরাতে একেবারে অদৃশ্য থাকে। কেন??
কারন ওদের শরিরের চামরা এতটাই মোটা এবং চর্বিবহুল যে কোন ধরনের তাপমাত্রা শরিরথেকে বের হয় না বা ঢুকতেও পারে না।
২) অস্ট্রোলিয়ান উপকুলে অবস্থিত কোরাল রিফ বা প্রবাল প্রাচির Great Barrier Reef হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জিবন্ত স্ট্রাকচার। প্রায় ৩০০০ প্রচাতির প্রবাল, এবং প্রায় ৯০০ দ্বিপ-উপদ্বিপ নিয়ে এই স্ট্রাকচারটা গঠিত। এখানকার জীব বৈচিত্র এতটাই সমৃদ্ধ যে পৃথিবীর কোন স্থানে এত বৈচিত্র খুজে পাওয়া যাবে না। প্রায় ২০০০ কিলোমিটার লম্বা এই প্রবাল প্রচিরটি সরাসরি মহাকাশ থেকে দেখা যায়। জীবনে যদি অসাধারন কিছু দেখতে চান তবে অস্ট্রেলিয়া গেলে এই স্থানটিতে একটা সাবমেরিন ট্রিপ দিতে পারেন। বাকি জীবন শুধু এটার গল্পই করে যাবেন।
১) সবচেয়ে মারত্মক এবং দারুন তথ্যটা হচ্ছে আপনার শরিরে ৯০ শতাংশ বস্তুই মুলত stardust বা তারা মধ্যে থাকা ধুলোর অংশ। মানে হচ্ছে শুধু মাত্র হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাস ছারা আমাদের শরিরে সবকিছুই সৃস্টি হয়েছে একটা তারার মধ্যে থাকা ধুলোর গ্যাস এর মধ্যে থেকে। এই জন্য মাটির সাথে আমাদের শরিরে বা যে কোন প্রানির এতটা মিল এবং সখ্যতা। খুব সহজেই আপনি মাটির সাথে মিসে যেতে পারেন। কারন তারার অভ্যন্তরেই এই দুইপক্ষেরই জন্ম হয়েছে। এটা কোন থিউরি না। একেবারে প্রমানিত সত্য।
আচ্ছা বিবলিক্যাল ধর্মমতে(ইসলাম, খিস্ট, ইহুদি) সৃস্টা প্রথম মানব এডাম বা আদম কে কিভাবে জানি সৃস্টি করেছেন??
পুরো কালেকশনটি একটা ইউটিউব ভিডিও থেকে নেয়া হয়েছে। যদি আমি আমার মতন ব্যাখ্যা করেছি ইন্টারনেটের অনেক অনেক ওয়েবসাইট আর আমার নিজস্ব জানার পরিধি থেকে। সেক্ষেত্রে প্রচুর ভুল থাকতে পারে। অথবা অনেক অজানা বিষও থাকতে পারে যেগুলো আপনি হয়ত জেনে থাকবেন। তাই আশা করবো ভুলগুলো অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন এবং আপনার মতামত প্রদান করবনে।
ধন্যবাদ।
আমার ফেসবুক আইডির সাথে যুক্ত থাকতে চাইলে নিচের এইখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১০