somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম তরুণদের পরিবর্তনের বিপ্লব দরকার।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলায় এক গল্প শুনেছিলাম। এক ছেলে প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসত। শিক্ষক তাকে দেরি করে আসার কারণ জিজ্ঞেস করাতে সে বলতো: স্যার, বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এক পা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাই। তাই আসতে দেরি হয় স্যার। শিক্ষক তখন বললেন: ঠিকাছে, কাল থেকে তুমি স্কুলের দিকে পিঠ দিয়ে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করবা। তাহলে একপা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাবে এবং সঠিক সময়ের আগেই স্কুলে উপস্থিত হতে পারবে। মুসলিম তরুণদের এখন নতুন করে ভাবার সময় আসছে। যেই পথে মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘদিন যাবৎ হাটছে তাতে দিন দিন পিছিয়েই পড়ছে। নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনৈক্য। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে নিজেদের ভুমি। অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রেই লেগে রয়েছে অশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসকারি মুসলিম তরুণরা ধীরেধীরে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিনত হচ্ছে। এমত অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে সামনে আরো কঠিন বিপদ দেখতে হবে নিশ্চিত। কাজেই এখন কেবল দোয়ায় বিশ্বাস করে বসে থাকলে চলবে না। দোয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের শক্তিশালি করতে হবে। গাজা কিংবা বাগদাদের শিশুদের যুদ্ধবাজ না বানিয়ে বিজ্ঞানি বানানোর চিন্তা করতে হবে। হাতের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তরুণদের কাজে যোগ দেয়ার তাগিদ দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি হলে তখন শত্রুরা ঠিকই ভয় পাবে। বন্ধু হয়ে কাছেও আসবে অনেক দেশ। ইমোশনাল হয়ে শত্রুর সামনে জীবন দেয়ার শিক্ষা না দিয়ে তরুণদের বিজয়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিশুকে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন সাহস ও উপকরন দিয়ে গঠন করতে হবে। জানি এসব কথা বলা যতটা শহজ করা ততটাই কঠিন। এসব বলতে গেলে অনেক ফতুয়ার সম্মুখিন হতে হবে। অনেকের চোখ রাঙানীও দেখতে হবে। তাইবলে হাল ছেড়ে দিয়ে শ্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দিলেতো নিজেকেও ভেসে যেতে হবে অতল গহ্বরে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক শক্তির পাশাপাশি মুসলিম তরুণদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেশী বেশী রাজনৈতিকমুখি হতে হবে। প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের আরো বেশী বেশী রাজনৈতিক পাওয়ার অর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জন করে আরো বেশী কৌশলি হতে হবে। তবেই হয়তো আসতে পারে সেই কাঙ্খিত পারিবর্তন। শান্তির ধর্মের লোকেরা আবার শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। মানবতা লংঘিত হবে না কোথাও।

ফিলিস্তিনের জন্য এখনো যারা দোয়া চায় বা দোয়া করে তাদের জন্য আমার করুণা হয় এবং হাসি পায়। কাল দেখলাম ভাটিক্যানসিটিতে পোপ তার সঙ্গি সাথি নিয়ে ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করছে। কিন্তু তার দোয়া তো কবুল হলো না....!!! মক্কাশরীফ, মদীনা শরীফ সহ বিশ্বের সকল মসজিদে কোটি কোটি মুসলিম রোজাদার দোয়া করছে, কই কোন পরিবর্তন তো আসল না??? আসবেও না। দোয়া কবুল করে আল্লাহ কখনো আবাবিল পাঠাবেন না। পাঠালে এই অকর্মা জাতি আরো অকর্মা হয়ে যাবে। ফিলিস্তিন কেন? এর পর যদি মক্কা মদিনাও ইসরাইল দ্বারা আক্রান্ত হয় তবুও ইসরাইল ই জিতবে। কাবা শরীফ ধ্বংস করে দিলেও আল্লাহ তায়ালা আর আবাবিল পাঠাবেন না। যা করার তা মুসলমানদেরই করতে হবে। যত দিন কামান ট্যান্ক কিংবা বিমান ধ্বংসের মত পর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা না করতে পারবে ততদিন মুসলমানদের ভূমি এক এক করে হারাতেই থাকবে। কামানের সামনে গুল্টি নিয়ে মোকাবেলা করাকে তোমরা ঈমানের জোড় বলতে পারো আমি একে বোকামিই বলবো।

তুমি মক্কায় কিংবা লন্ডনের মসজিদে লক্ষ টাকা খরচা করে দোয়ার ব্যাবস্থা করার চেয়ে যে বা যারা মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিংবা ঐষধ কিনে গাজায় পাঠাবে সেই তোমার থেকে উত্তম।

-তুমি মক্কা মদীনার মসজিদের ইমাম, লাখো মানুষ নিয়ে দোয়া করতে পারো অথচ তোমার সরকারকে বাধ্যকরতে পারো না এই শিশু হত্যা বন্ধে ইসরাইলকে চাপ দিতে তাহলে তোমার চেয়ে ঢের ভাল ঐ রাশিয়ান কাফের পুতিন যে কিনা কেবল মানবতার জন্যেই ইসরাইলকে হুমকি দিচ্ছে এই গণহত্যা বন্ধ করার জন্য।

ছোটবেলায় এক গল্প শুনেছিলাম। এক ছেলে প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসত। শিক্ষক তাকে দেরি করে আসার কারণ জিজ্ঞেস করাতে সে বলতো: স্যার, বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এক পা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাই। তাই আসতে দেরি হয় স্যার। শিক্ষক তখন বললেন: ঠিকাছে, কাল থেকে তুমি স্কুলের দিকে পিঠ দিয়ে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করবা। তাহলে একপা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাবে এবং সঠিক সময়ের আগেই স্কুলে উপস্থিত হতে পারবে। মুসলিম তরুণদের এখন নতুন করে ভাবার সময় আসছে। যেই পথে মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘদিন যাবৎ হাটছে তাতে দিন দিন পিছিয়েই পড়ছে। নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনৈক্য। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে নিজেদের ভুমি। অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রেই লেগে রয়েছে অশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসকারি মুসলিম তরুণরা ধীরেধীরে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিনত হচ্ছে। এমত অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে সামনে আরো কঠিন বিপদ দেখতে হবে নিশ্চিত। কাজেই এখন কেবল দোয়ায় বিশ্বাস করে বসে থাকলে চলবে না। দোয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের শক্তিশালি করতে হবে। গাজা কিংবা বাগদাদের শিশুদের যুদ্ধবাজ না বানিয়ে বিজ্ঞানি বানানোর চিন্তা করতে হবে। হাতের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তরুণদের কাজে যোগ দেয়ার তাগিদ দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি হলে তখন শত্রুরা ঠিকই ভয় পাবে। বন্ধু হয়ে কাছেও আসবে অনেক দেশ। ইমোশনাল হয়ে শত্রুর সামনে জীবন দেয়ার শিক্ষা না দিয়ে তরুণদের বিজয়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিশুকে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন সাহস ও উপকরন দিয়ে গঠন করতে হবে। জানি এসব কথা বলা যতটা শহজ করা ততটাই কঠিন। এসব বলতে গেলে অনেক ফতুয়ার সম্মুখিন হতে হবে। অনেকের চোখ রাঙানীও দেখতে হবে। তাইবলে হাল ছেড়ে দিয়ে শ্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দিলেতো নিজেকেও ভেসে যেতে হবে অতল গহ্বরে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক শক্তির পাশাপাশি মুসলিম তরুণদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেশী বেশী রাজনৈতিকমুখি হতে হবে। প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের আরো বেশী বেশী রাজনৈতিক পাওয়ার অর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জন করে আরো বেশী কৌশলি হতে হবে। তবেই হয়তো আসতে পারে সেই কাঙ্খিত পারিবর্তন। শান্তির ধর্মের লোকেরা আবার শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। মানবতা লংঘিত হবে না কোথাও।

কাজেই কিছু কিছু মানুষ যাদের সত্য বলার ক্ষমতা আছে, সৎ কাজের আদেশ নিষেধ করার ক্ষমতা আছে অথচ সেটা করল না আমি মনে করি তার দোয়া করার অধিকার নাই।

আমরা যখন ঈদের নতুন কাপর পড়ব তখন ফিলিস্তিনের কোন পিতা তার সন্তানের জন্য পুরাতন কাফন ভিক্ষা করে ফিরবে। সারা দুনিয়ার মুসলিম যখন ঈদের নামাজ আদায় করবে ফিলিস্তিনবাসি তখন জানাজায় কাতারবদ্ধ হবে। ঈদের নামাজ শেষে আমরা জখন কুলাকুলি করব তখন ফিলিস্তিনবাসি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে। কাজেই পরিবর্তনের বিপ্লবের সারা না দিলে আর বুঝি নিস্তার নাই। তা না হলে গোলাম থেকে মুসলিমরা কোনদিন মুক্তি পাবে না।

কাজেই কিছু কিছু মানুষ যাদের সত্য বলার ক্ষমতা আছে, সৎ কাজের আদেশ নিষেধ করার ক্ষমতা আছে অথচ সেটা করল না আমি মনে করি তার দোয়া করার অধিকার নাই।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×