১) জঙ্গি ইস্যু একটি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যু। কাজেই কোথাও এমন আস্তানা খুঁজে পেলে আরো কম সময়ে এটার সমাধান করা উচিত, কারন এতে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টির পাশাপাশি বড় ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়. এবং, এইধরনের জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্যের একটিই হলো সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা. তাই, মরতে মরতে এরা যদি আতঙ্ক সৃষ্টি করে যেতে পারে তাহলে এটাও তাদের জন্য এক সফলতা।
২) ছোট্ট একটি বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ৪/৫ জন জঙ্গি সন্ত্রাস দমন করতে এত বড় একটি রাষ্ট্রের সর্বশক্তি ব্যয় করে ২/৩ দিন সময় লাগানো রাষ্ট্রটিরই দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
৩) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই ধরনের অপারেশন করার জন্য রিক্স নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক. এবং এই জন্যেই এইসব বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করে গড়েতোলা হয়। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দীর্ঘ সময় ধরে এদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, এবং এই পেশার লোকজনদের আলাদা সম্মান দেয়া হয়. সকল দেশের সরকার ও সাধারণ মানুষ এই বাহিনীর সদস্যদের আলাদা সম্মান ও গুরুত্ব দিয়ে থাকে, কারন বিশেষ মুহূর্তে তারা জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে দাঁড়াবে সেই ভরসায়.
আমি আশাবাদী অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মৌলভী বাজারের দুই জঙ্গি আস্তানা এবং সামনে এমন যে কোন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার পূর্বেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম হবেন।